হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।
সম্প্রতি টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন সরকার সিম ট্যাক্স তুলে নেবার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতিটি নতুন সংযোগ তথা সিম কার্ড বিক্রি করলে একজন অপারেটর কে ৮০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। এটা কমানোর জন্য অপারেটররা দীর্ঘদিন থেকেই দেন-দরবার করছে। কিন্তু কাজ হয়নি।
তবে এয়ারটেল আসবার পর থেকেই কানা-ঘুষা শোনা যাচ্ছে যে এবার সিম ট্যাক্স কমতে পারে।
বাংলাদেশে জিএসএম অপেরাটর যখন সিম বিক্রি শুরু করে তখন সিম-ট্যাক্সের প্রচলন ছিল না। বরং হ্যান্ডসেট আমদানী করতে প্রায় ৬০% কর দিতে হতো। কিন্তু দাম কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং), লাগেজে সেট আনা, কাস্টমস কে ম্যানেজ করে ফেলা সহ বিভিন্ন কারনে সরকার তার রেভিনিঊ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন হ্যান্ডসেটে কর একদম কমিয়ে দিয়ে সিম কার্ড বিক্রির উপর ট্যাক্স বসানো হয়। পরবর্তীতে মোবাইল গ্রাহক ব্যাপক বৃদ্ধি পাবার কারনে এবং এখানে রেভিনিউ লিকেজ না থাকবার কারনে সরকার এই খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আদায় করে।
যখন একটেল, সেবা এবং গ্রামীনফোন প্রতিটি কোম্পানীতেই বাংলাদেশি মালিকানা ছিল, টেলিকম খাতের ব্যাবসা বিকাশে অপেরাটর কোম্পানিগুলি হিমসিম খাচ্ছিল, বাড়তি ট্যাক্স জনগনকে পকেট থেকে সিম কিনবার সময় দিতে হচ্ছিল তখন সরকার এই ট্যাক্স কমানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। এখন গ্রামীনফোন ছাড়া সব কোম্পানীর ১০০% মালিকনা বিদেশি, প্রতিযোগিতা ও কোম্পানিগুলির সক্ষমতার কারণে যখন তারা ভর্তুকি দিয়ে কম দামে সিম বিক্রি করছে তখন এটি উঠিয়ে দিয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব হারানোর উপকার-ভোগি আসলে কে?
এয়ারটেল মোটামোটি গুছিয়ে এনেছে তাদের অপারেশন। এবার তাদের আগ্রাসি মার্কেটিং-এ যাবার কথা। তাদের ভর্তুকি রক্ষা করে ব্যাবসায়িক সাফল্য তরান্বিত করার জন্যই কি সরকারের বিপুল রাজস্ব হারানো সত্বেও এই সিম ট্যাক্স প্রত্যাহারের সম্ভবনা??
খবরের বিস্তারিত এখানে:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।