আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে ইসলাম হে কাণ্ডারি আমাদের ক্ষমা কর /

দয়াল নবীজীর নির্দেশিত ইসলাম আর বর্তমান ইসলাম কি এক ********************************************* এক বুড়ী নবীজীর গমন পথে কাঁটা পুঁতে রাখত আর নবীজী একটা একটা করে কাটা তুলে আবার গন্তব্য যেতেন । একদিন পথিমধ্য খাঁটা দেখতে না পেয়ে তিনি খুজে খুজে বুড়ীর বাড়ি উপস্থিত হলেন , দেখলেন বুড়ি অসুস্থ হয়ে বিছানায় , তৎক্ষণাৎ বুড়িকে সেবা দিলেন , বুড়ি অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন । ********* মক্কা বিজয়ের পর বিখ্যাত মুনাফিক সরদার আবু সুফিয়ান কে হাতের মু টুয় পেয়েও ক্ষমা করে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যারা মক্কার কাবায় এবং আবু সুফিয়ানের ঘরে অবস্থান নেবে তারা অধিক নিরাপদ । অথচ এই আবু সুফিয়ান ইসলামের প্রাথমিক প্রচারে প্রধান বাধা ছিল । নবীজীর মহানুভবতায় সেও তওবা করে খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল ********** আবু জাহেলের পুত্র ইক্রামা নবীজীর প্রতি দুর্বল ছিল , জানতে পেরে তাকে বহু নির্যাতন করা হয় ।

চোখ বেধে পাহাড়ের উপর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এমনকি পাথরের সাথে বেধে সাগরে নিক্ষেপ করা হয় তবুও ঈমান থেকে তিনি বিচ্ছুতি হয়নি । আল্লাহর রহমতে তার কিছুই হয়নি । **************** নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা একদা মদিনায় বৃক্ষ নীড়ে অবকাশ যাপন করছিলেন । সুযোগ মত এক এহুদি উম্মুক্ত তরবারি লয়ে তার উপর তাক করে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন হে মুহাম্মদ আপনাকে এখন কে বাচাবে ।

নবীজী বললেন আল্লাহ সাথে সাথে তার হাত হতে তরবারি খসে পড়ল এবং নবীজী ঐ ইহুদির গাড়ে চেপে বললেন এখন তোমাকে কে বাচাবে । ইহুদি কাপতে কাঁপতে বললেন আপনি । দয়াল নবীজী তরবারি দূরে নিক্ষেপ করে লোকটিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন । লোকটি ইসলাম গ্রহন করে নবীজীর একজন বিশিষ্ট সাহাবা হয়েছিলেন তার নাম হিশাম এবনে মুয়াজ রা । ***************** একদিন এক বাজ পাখি একটি বাবই কে দৌড়ায়ে নবীজীর দরবারে উপস্থিত , পাখিদের জবান খুলে গেল , বাবই আরজ করল ইয়া রাছুলুল্লাহ বাজ আমাকে ভক্ষন অভিপ্রায়ে পিছু লেগেছে ।

নবীজী বাজ পাখিকে ডেকে বলল হে বাজ ঘটনা কি সত্য । বাজ সায় দিয়ে বলল ইয়া রাছুলুল্লাহ আজ থেকে এক মাস যাবত অভুক্ত কোন উপায়ান্তর না দেখে ঐ বাবই কেই আমি নবীজী বাজ কে ডেকে বললে হে অভুক্ত প্রানি আমার গাল থেকে কিছুটা মাংস তুমি নিয়ে ক্ষুদা নিভ্রিত্তি কর । দয়াল নবীজীর এহেন উক্তিতে পাখিদের চোখ দিয়ে দর দর পানি গড়াতে লাগল , ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনার নুরানি চেহারা মুবারক দেখে দেখে আমাদের পেটের ক্ষুদা নিবারন হয়ে গেছে ,। ***************** এক বুড়ি ভারী একটা পুটুলি বহন করে খুঁটিয়ে কুড়িয়ে হাঁটছিলেন । নবীজী নিজে তা বহন করে পাহাড়ে পৌঁছে দিলেন ।

বুড়িকে জিজ্ঞেসিলে বলল আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মদের ভয়ে আমরা পালাচ্ছিলাম । আমিই সেই মুহাম্মদ । বুড়ির সঙ্গীরা আগেই সেথায় ছিল , বুড়ি চিৎকার করে জানিয়ে দিলেন হে আমার কউমেরা মুহাম্মদ মানুষ নন নিশ্চয় আল্লাহর বাছুল আমি এক্ষনি তার নিকট মুসলমান হইব । পরবর্তীতে বাদ বাকিরাও মুসলমান হয়েছিল । ******************* বনের দ্বারে বৃক্ষ মাঝে এক হরিণ বাধা ছিল ।

জবান খুলে গেল ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার সদ্যপ্রসব জাত বাচ্ছা দুধ বিহনে মারা যাবে ,এক ইহুদি আমাকে বেধে রেখেছে । আমাকে ছেড়ে দিন , দুধ খাইয়ে আবার আপনার নিকট ফিরে আসব । দয়াল নবীজী হরিণের জাবিন হয়ে তাকে ছেড়ে দিলেন । শিকারি ফিরে এসে হরিণ না পেয়ে জিজ্ঞাসিলে । নবীজী বললেন আমি ছেড়ে দিয়েছি তার বাচ্ছাদের দুধ খাইয়ে আবার ফিরে আসবে ।

ইহুদি অবাক হয়ে বলে বনের পশু চলে গেলে ফিরে আসে সে কথা ত আর কভু শুনিনি ইহুদি লক্ষ্য করে হরিনির সাথে আরও তিনটি সদ্যজাত বাচ্ছা । নবীজীর পায়ে দরশন দেয় , আপনার জাবিনের কথা শুনে আমার দুধের বাচ্ছারাও দুধ খায়নি ইয়া রাছুলুল্লাহ । ইহুদি ঘটনা দেখে সাথে সাথে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে যায় এবং হরিণীকে ছেড়ে দেয় । এমন দয়ার সাগর যার দয়া ব্যতিত দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভ কি সম্ভব । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।