সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। খুন,ধর্ষণ,পর্ণ ভিডিও,আত্মহত্যা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়গুলো সমাজ বিজ্ঞানীরাই ভাল বলতে পারবেন। এখানে আমি বিষয়টির কারণ ও প্রতিকার নিয়ে কিছু আলোচনা করব। আপনদের মতামত কামনা করছি।
কেন এ সামাজিক বিপর্যয় তার কারণগুলো অনুসন্ধান করলে নিচের বিষয়গুলো উঠে আসবে।
সামাজিক বন্ধনের আজ লাজুক অবস্থা । আমরা আজ অর্থ আর প্রাচুর্যের পিছনে ছুটছি। সন্তানের পিতা মাতারা অনেকেই এর পিছনে ছুটছে। ফলে সন্তান পিতৃ মাতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত।
পিতা মাতার সাথে সন্তানের একটা দুরত্ব তৈরী হচ্ছে। ফলে বাবা মা তার সন্তানের খবর রাখতে পারছে না। সন্তান কোথায় কার সাথে মেলামেশা করছে তার খবর বাবা মা জানে না।
ফলে সন্তান বিপদগামী হচ্ছে। অনেক পিতা মাতা আজ সন্তানের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড এর ব্যাপারে ফ্রি বা মেলামেশার স্বাধীনতা দিচ্ছে ফলে একজন যুবক যুবতী ছেলেমেয়ের অবৈধ সম্পর্ক হচ্ছে এবং এর পরিনামে কি ঘটছে তা পত্রিকা মারফত আমরা সবাই জানি।
বাবা মার প্রচুর অর্থের কারনে সন্তানকে কম্পিউটার বা দামী (ক্যামেরাসহ) মুঠোফোন কিনে দিচ্ছি । কিন্তু সেটা সে কিভাবে ব্যাবহার করছে তার খবর কি বাবা মার পক্ষে রাখা সম্ভব হচ্ছে। বাসায় থাকলে রাত জেগে সন্তানের কার সাথে এত কথা বলে ক'জন বাবা মা তার খোজ রাখে? আপনি সন্তানের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিবেন তো এরকম অনাকাক্ষিত সমস্যা মোকবিলা করার মানসিকতা থাকতে হবে।
আধুনিক যুগে পর্দা প্রথার অনেকেই বিপক্ষে। আমি বলছিনা বোরকা পরে মেয়েদের চলাফেরা করতে হবে।
কিন্তু একটা বিষয় সবাই একমত হবেন যে মার্জিত পোশাক আশাক চালচলন এক্ষেত্রে একান্ত কাম্য আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুসারে। আমাদের মিডিয়া এক্ষেত্রে দ্বৈত আচরণ করছে। একদিকে তারা অবাধ প্রেম(নাটক,সিনেমা,এড), মেলামেশা,উগ্র ফ্যাশনে পশ্চিমাদের মত হতে বলছে। অপর দিকে ইভ টিজিং ,ধর্ষণ প্রভৃতির কথা বলছে। পাশ্চার্তের দেশে ওপেন সেক্স কোন ব্যাপারই নয় , একজন জামা কাপড়ের বদরানোর মত বন্ধু বান্ধবী বদল করে।
পোশাক আমাকও সংক্ষিপ্ত । কিন্তু আমাদের দেশে আমরা ইচ্ছা করলেও আমরা তা পারি না । কারণ আমাদের কালচার সেরকম নয়। বর্তমানে মেয়েদের এমন নগ্ন পোশাক আশাক ইভ টিজিং সহ অন্যান্য অপরাধকে বাড়াচ্ছে বই কমাচ্ছে না কারণ বখাটে ছেলেরা এরকম মেয়ে দেখলে টিজ করবেই।
এখন প্রশ্ন হল ছেলেরা এমন কেন করছে? তারা ইন্টারনেট, সিডি , ডিস প্রভৃতি থেকে নিয়মিত এডাল্ট মুভি বা চুলকানি জাতীয় নাটক সিনেমা দেখছে।
নাটক সিনেমা দেখে তারা এসবের নায়ক হিসেবে নিজেদের দেখতে পছন্দ করে। মোবাইলের বা সিডির কারণে তারা এডাল্ট মুভিগুলো দেখছে এবং বাস্তবে এগুলোর প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।
তথাকথিত প্রেম এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষিত বলেন আর অশিক্ষিত বলেন সব ছেলে মেয়েরা আজ প্রেমের লাইলী মজনু সাজতে যাচ্ছে। ছোট বড়, ধনী গরীব , লীগ ,দল বা শিবির কেউ পিছিয় নেই।
সাবই আজ প্রেমিক । ঘটনা বিশেষে বিশ্ব প্রেমিক। এক্ষ্রেত্রে আমাদের যুব সমাজের নৈতিক অধপতন ঘটায় বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর চটক লাগানো রাত জানোর বিজ্ঞাপন। কোম্পানিগুলো শুধু কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছেনা সাথে আমাদের যুব সমাজের চরম নৈতিক অধপতন ঘটাচ্ছে। উদাহরন হিসেবে ডিজুস ছিল প্রথম পদক্ষেপ।
আমার এক বন্ধু একটি কবিতা লিখেছিল "ওরা আমার চোখের ঘুম কাইড়া নিতে চায়"। সে সময় দেশের হাজার হাজার ছেলে মেয়ে নিজের পড়াশুনা শিকেয় তুলে প্রেমের তুলকালাম ঘটনা ঘটিয়েছিল। একজন ছেলে মেয়ে একাধিক জনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করেছিল । এখনও করছে । আর মোবাইল প্রেমে কেউ কাউকে দেখেনা বলে ছেলেরা মেয়েদের প্রতারিত করে বেশি।
আর এরকম প্রেমের ফল কি হয় আমরা তা সবাই জানি। এক্ষ্েত্রে অভিভাবকদের কিছু অবশ্য করার নেই । মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের অফারগুলা রাত বারোটার পর কেন দেয় ? কাদের তাদের টার্গেট আমাদের সরকার বা বুদ্ধিজীবীরা বা অভিভাবকরা কোন টু শব্দ আজ পর্যন্ত করেছি কিনা তা আমার জানা নাই।
প্রেম হয়ে গেলে কি হয়? লাইলী মজনুর মত আবস্থা হয়? না ভাই যুগ পাল্টেছে । আজ প্রেম ,তো কাল ঘোরাঘুরি ,পরশু সেক্স।
তারপর দিন বাদ। এটাই অধিকাংশদের ক্ষেত্রে ঘটে। রুম ডেটিং আজ নরমাল ব্যাপার । আর এই রুম ডেটিং এর সময়ে বেশির ভাগ ছেলেরা তাদের গোপন সময়ের ভিডিওটি ধারন করে মেয়েটির জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে। এখানে বিদেশ হলে কথা ছিল না।
এই সময় আমারা বড় দেশীয় হয়ে যাই। ছি ছি রব তুলি । একজন মেয়ের রুম ডেটিং এর সময় সচেতন হওয়া বেশি জরুরী। দুইজনের সম্মতিতে সেক্স হতে পারে (ধর্মীয় ভাবে যা গ্রহন যোগ্য নয়)। এক্ষেত্রে ছেলেরা নানা ভাবে প্রলোভোন দেখায় যে ডিলিট করে দিব , প্রথম স্মৃতি সারাজীবন থাকবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় অধিকাংশ ছেলে কথা রাখে না। সেক্সের পরেই তারা এগুলো বন্ধু বান্ধবীদের দেখায়। আর বখাটে বা সংঘবদ্ধ চক্রতো এসব ভিডিও দিয়ে মেয়েটিকে নানা ভাবে ব্লাকমেইল করে বা ইন্টার নেটে ছড়ায় দেয় অথবা বাজারজাত করে। তাই মেয়েদের সাবধান হওয়া উচিৎ যাতে নিজের না হলেও পরিবারের সম্মানটা না যায়।
এমন ছেলেদের কথা আমরা বেশ জানি যে যারা মেয়েদেরকে পটিয়ে সেক্স করে পলায়ন করে।
আর এটাই তাদের নেশা। অনেক মেয়েরাই নাকি টাকা পয়সা , গাড়ী বাড়ী, ফাং ফুং, উরা ধুরা , তথাকথিত স্মাট ছেলেদের পছন্দ করে। আর তখন মেয়েদের প্রতি খুব ঘৃণা হয় । তারা একটি ছেলের মোটামুটি ব্যাপার গুলো না জেনে কিভাবে প্রেমে পরে যায়। ছেলেদের মিস্টি কথায় কিভাবে এত তাড়াতাড়ি ভুলে যায়।
মোবাইল/ইন্টারনেট/ফেসবুক প্রেমের ব্যাপারটি আমার বেশ আশ্চর্য লাগে । কারণ এভাবে প্রেমে পরস্পরকে ঠকানোর বেশ সুযোগ থাকে। অনেক মেয়েরাও নাকি আজকাল এভাবে সংঘবদ্ধভাবে শিকার খুজে আর ছেলে/ব্যবসায়ী/ধনিক শ্রেণীর সব কিছু কেড়ে নিচ্ছে। তাই মোবাইল/ইন্টারনেট/ফেসবুক প্রেম থেকে সাবধান থাকা উচিৎ।
সাম্প্রতিক সময়ে পরকীয়া স্বাভাবিক একটি ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।
পরকীয়ায় ছেলেদের রিস্ক নাকি কম। মজা করা যায় অবলীলায়। পরকীয়ার কারনে আজ নিজ সন্তানকেও খুন করতে (আদাবর আর খিলগাও এর ঘটনা থেকে) হাত কাপছে না আমাদের। কিন্তু কেন এরকম হচ্ছে? মতের বিপরীতে বিয়ে। উচ্কাক্ষা, বহুগামীতার সাধ , স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক ভালবাসার অভাব, স্বামী স্ত্রীকে সময় দেয়না বা স্বামী বাইরে থাকে বা যৌন অতৃপ্তি, আর ভারতীয় চ্যানেলের গাজাখুরী পরকীয়া কাহনীই তার কারণ।
ইভ টিজিং বর্তমানে একটি বিশাল সমষ্যা । এক্ষত্রে কারনগুলো পরিস্কার ।
বখাটেরা রাস্তার মোড়ে, স্কুলের সামনে আড্ডা দেয়। আর মেয়েদের টিজিং করে। পিতা মাতার প্রশ্রয়, বা সন্তানের প্রতি খোজ খবর না রাখা, সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ না থাকা, বখাটেদের রাজনৈতিক প্রভাব ,আইনের সুষ্ট প্রয়োগ না থাকাই এর প্রধান কারন।
মেয়েটির অভিযোগ কেউ কানে দেয় না উল্টা তাকেই আমরা দোষ দেই । ফলে কোন কোন সময় একটি সম্ভাবনার অকাল মৃত্যু হয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রশাসন, মিডিয়া , আইন সর্বোপরি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিকল্প নাই। আর এর শিকার মেয়েটির পাশে থাকা উচিৎ তাকে সাহস দেয়া উচিৎ।
রাজনৈতিক কারনে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়।
লিডারদের বিরুদ্ধে কেউই কথা বলতে পারে না। ইডেনের আর জাবির ঘটনা থেকে ই আমরা তা জানি। রাজনৈতিক ছাত্রনেতারা আজ এতটাই নগ্ন যে মেয়েদের (অনেক সময় জোর করে) এফায়ার করছে আর ভিডিও করে। বাজারেও ছাড়ছে। এদের বিরুদ্ধে কে কথা বলবে ? আমরা যে আজ অন্ধ ! আমিও নিজে যে একটি দলকে সাপোর্ট করি।
প্রশাসনও তাদের পক্ষে কথা বলে। তাই মেয়েদেরই এক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার বিকল্প নাই। আমরা রাজীব, মানিক, শাহিন রোকনদের কথা জানি । তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে বলে শুনিনি। বরং তাদের পুর্নবাসনের কথা শুনা গেছে।
আমাদের মেয়েরা আজ অনেক স্মার্ট। পোশাক যত সংক্ষিপ্ত হবে তত তারা স্মার্ট ! যত রাত পর্যন্ত তারা বাইরে থাকবে তত স্মার্ট ! যার যত বয়ফ্রেন্ড থাকবে তত তারা স্মার্ট ! আর কিছু বলব ! বাবা মাদের সামনে এমন পোশাক পরে কেমনে তারা বাহির হয় ! কেমনে একটা ইয়াং ছেলে মেয়েকে এক রুমে রেখে -"বাবা তোমরা গল্প কর আমি চা নিয় আসি " বলে ! (কলাবাগানের ঘটনা টা মনে পড়ে?) । বিশ্ববিদ্যালয় ক্যামপাসগুলোর কি অবস্থা তা সবার জানা। চিপা চাপায় বসে জুটি গুলো এমন ভাবে থাকে যা অত্যন্ত লজ্জার । কিছু কিছু ক্যামপাস আছে যা জঙ্গলে ভরা ।
দিনের বেলাই যেখানে কেউ যায় না সেখানে রাত দশটা পর্যন্ত হল খোলা থাকলে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু এর পক্ষেও কাজের কথা বলা যাবে কিন্তু সমাধান কি আপনাদের কারও জানা আছে কি?
সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। যারা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর আদর্শ হতে পারে। যারা দেশ গড়ার কারিগর। যারা হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক।
তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। কেন এমন হয়? আজকাল শিক্ষকদের নিয়োগ হয় রাজনেতিক বিবেচনায়। তাদের সাদা কালো দল থাকে। কোন না কোন দলের হয়ে কাজ করে। ছাত্রীদের বেশি মার্কসের কথা বলে বা ক্লাশ বহির্ভুত সময়ে দেখা করতে বলে বা পরীক্ষায় ফেল করে দিবে এ ভয় দেখায়ে এসব অপকর্ম করে থাকে।
লজ্জায় ব্যাপারগুলো অনেক মেয়েই এসব চেপে যায়। বাস্তব চিত্র আরও নাকি ভয়াভহ ! এদের শক্তি এত বেশি যে বছরের পর বছর আন্দোলন করেও এদের টিকি পর্যন্ত ছোয়া যায় না। এটা নৈতিক অবক্ষয়ের চুড়ান্ত অবক্ষয়।
আজ এদের কারনে বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের বিয়ে করতেও কেউ চায় না। অথচ সবাই খারাপ না।
সবাই প্রেম বা নস্টামিও করে না। সত্যিকার প্রেম ভালবাসাও কিছু আছে যা পবিত্র আর বিশ্বাসে ভরা।
এবার মিডিয়ার কথা বলি। বাস্তবতা বর্জিত বস্তাপচা প্রেমের নাটকে আজ চ্যানেল গুলো সয়লাপ। চুলকানি জাতীয় নাটক, বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।
সেখানে দেখানো হচ্ছে অবাঞ্চিত সব প্রেম কাহিনী । যারা গ্রামের পরিবেশ জানেনা তারা বানাচ্ছে গ্রাম্য নাটক। কপি পেস্ট করা এসব নাটক সিনেমায় বিজ্ঞাপনে স্পর্শকাতর নারী অঙ্গ দেখানো হচ্ছে। উর্ধাঙ্গে একটা ওড়না পরা যেন আজ অনেক মেয়ের ঝামেলা মনে হয়। তাই তো অনেক ছেলেদের বলতে শুনি দোস্ত কী মাল যায় ! আর মিডিয়ার ভিতরের কথা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা সবাই জানি।
কোন সেলিব্রটির নগ্ন ঘটনায় তরুনদের মধ্যে খুব প্রভাব ফেলে।
একটা অভিজ্ঞতা বলি, কয়েকদিন আগে মগবাজারে একটা সাইবার ক্যাফেতে যাই। ওখানেই সাধারণত নিয়মিত ব্রাউজিং করি। সেদিন দেখলাম অনেকগূলো ছোট ছোট ছেলে ( অষ্টম---দ্বাদশ শ্রেণী)র ভীড় । আমি মারিককে জিজ্ঞেস করলাম মামা এত ছেলের ভীড় কেন ।
মামা বলল এরা ভিডিও গেম খেলার জন্য এসেছে। যা হোক আমি যখন বের হই তখন লক্ষ করলাম তারা সাম্প্রতিক সময়ে বের হওয়া এক মডেলের পর্ণ ভিডিও দেখছে । বলুনতো এই অপরিণত ছেলে মেয়ে দের ভবিষ্যত কি? এর প্রবাবে এদের কি হতে পারে !
শেষে বলব সবচেয়ে বড় কথা আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব। ধর্মীয় অনুশাসন গুলো আমরা যদি মেনে চলতাম তাহলে এগুলোর অনেক কিছুই হত না।
সামপ্রতিক মেয়েদের আর্তহত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেয়েদের কাউন্সিলিং করার ব্যাবস্থা নাই। একারনে তারা মনের কথাগুলো কাউকে বলতে পারে না। প্রেমে ব্যর্থতার কারনে বা টিজিং এর কারনে অনেক মেধাবী আর্তহত্যার পথ বেচে নেয়। মেয়েদের বলি একটি প্রেমই সব কিছু নয়, বেঁচে থাকার অনেক উপায় আছে। যারা তোমার সাথে প্রতারনা বা খারাপ আচরণ করেছে তার জন্য তুমি দায়ী নও সেই দায়ী।
সাহসী হতে হবে। আর্তহত্যাই সব সমস্যার সমাধান নয়।
ধর্ষণ , খুন , এসিড নিক্ষেপ ,যৌতুকের ঘটনাও আমাদের এখন বড় সমস্যা।
আমাদের নৈতিক অবক্ষয়ই এসবের কারন। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব।
আর আমরা ভালবাসতে জানি না। কারণ ভালবাসলে তার কোন ক্ষতি করা যায় না, এসিড মারা যায় না, ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়া যায় না। পিতা মাতার উচিৎ সন্তানের খোজ খবর করা। বখাটেদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা । প্রেম ভালবাসায় সচেতন হওয়া।
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত থাকলে সাদরে গ্রহন করব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।