এক বাংলাদেশী চিকিৎসককে (মেডিকেল ডাক্তার) খুঁজছে এফবিআই। তার বিরুদ্ধে কোর্ট ওয়ারেন্ট থাকার পরও তার দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে এফবিআই ওয়ানটেড হিসেবে সার্কুলার জারি করেছে সর্বত্র। যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল ব্যূরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তাদের ওয়েব সাইটে ওয়ানটেড হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে। কানাডা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা পত্রিকা এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে। সংবাদ অনুযায়ি, কথিত বাংলাদেশী চিকিৎসকের নাম জাহিদুল ইসলাম।
তার বর্তমান বয়স ৫৬ বছর। তার স্ত্রীও চিকিৎসক বলে জানা গেছে। এফবিআই বলেছে, ডা. জাহিদ একজন আমেরিকান মহিলাকে যৌন হয়রানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পর তিনি পালিয়ে যান। সূত্র নিউজ ওয়ার্ল্ড ।
এফবিআই’র অভিযোগে বলা হয়েছে, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে অবস্থিত এক বড় হাসপাতালে কাজ করতেন ডা. জাহিদুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালের ৩রা অক্টোবর একজন মহিলা রোগীকে সার্জারির সময় তিনি এক ধরনের ওষুধ দেন। এতে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হন ওই মহিলা।
এই সুযোগে ডা. জাহিদুল ইসলাম যৌন হয়রানি করেন তাকে। অবসাদ কেটে গেলে নিজেকে যৌন হয়রানির শিকার হিসেবে শনাক্ত করেন রোগী।
এই পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে পেনসিলভেনিয়া স্টেট থেকে অভিযোগ আনা হয়। এরপর আসে ফেডারেল চার্জ। পেনসিলভেনিয়া ফেডারেল কোর্ট ডা. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। কিন্তু তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এফবিআই বলেছে, ডা. জাহিদুল ইসলামকে সশস্ত্র বিপজ্জনক ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছে এফবিআই।
এ বিষয়ে যে কেউ কোন তথ্য পেলে নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাসকে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই সব বদলোকের জন্যে প্রবাসে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। আপনি কী বলেন? এইসব লোকের কী শাস্তি হওয়া উচিত?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।