আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয় তোকে বর্ণমালা খাওয়াবো.......[একটি সস্তা কবিতা ও কিছু অপ্রয়োজনীয় কথা]

....ভালো ভাবে বাঁচতে ভালোবাসি..........

ঘড়ি দেখে ঠিক সন্ধ্যা বেলায় একটু সময় করে আসিস আমার ঘরে সেদিন টিভির এক রান্নার অনুষ্ঠান দেখে নতুন এক ডিশের রেসিপি নিয়েছি শিখে সেটাই খাওয়ার দাওয়াত রইলো আসিস সময় করে মিস করলে লস হবে তোর আর পাবিনা পরে ময়দা আর ঘিয়ে চিনি মাখিয়ে সিরকা একটু খানি সয়া সস দিলে ভালো হয় তবে কম দিতে হবে পানি ভালো করে দুটো ডিম ফাটিয়ে ওভেনেতে করে বেক বিশ মিনিটের চক্করে রেডি বর্ণমালার কেক 'অ' থেকে পাবি 'ঐ' কার আর 'ক' থেকে পাবি 'ব' ময়দাটা যাদি বেচে যায তবে ২১ বানাবো আজকের দিনে শহীদ স্মরণে একটু করে আয়েশ খাওয়াবো তোকে ভীষণ শোকে অমর একুশে পায়েশ কি? জ্বীভে জল এলো নাকি তোর আর সইছেনা দেরী? সন্ধ্যে বেলায় খাবি যখ আসবি আমার বাড়ি সেটুক সময় পেটের পুজো একটু থামিয়ে রাখ ও! খেয়াল করে পড়ে আসিস বর্ণমালার পোশাক আড্ডা দিবো প্রাণটা খুলে হোকনা যত রাত ই আসতে পথে ভুলিস নাতো আনতে মোমবাতি.... প্রথমেই সকলকে একুশের শেষ বেলায় এসে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের জীবনে এই একুশ এখন কি অবস্থায় আছে তা নিয়ে আজ অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। আমি সেই জ্ঞানীদের আলোচনায় একেবারেই উপস্থিত থাকার যোগ্যতা রাখি না। এই কবিতাটা তেমন কিছুই বলার চেষ্টা করে না। শুধু আমার কিছু অনুভুতি রয়েছে একুশ নিয়ে।

প্রথমত আমরা একে আনুষ্ঠানিকতার ভেতরে ফেলে দিয়েছি। আরও বেশী ভাবে যে কাজটি করা হয় এই দিনে আমরা আমাদের ভাষার প্রতি কি দুর্বল ভালোবাসা দেখিয়ে চলেছি তার আলোচনা চলে। বরাবরের মত কালকে থেকে এই সব আলোচনা আর হবে না। কালকে থেকে আবার ফেসবুক প্রাফাইল পিকচার থেকে বর্ণমালা সরে যাবে। এসব কথাও প্রচুর বলা হয়েছে।

পঁচে গেছে বলতে বলতে। আমরা এক সস্তা বানিয়ে ফেলেছি। ধরলাম একুশ শুধুই ভাষার দিন। তারপরেও কি এই দিনটি আমাদের কে একবারো ভাবায় আগামী প্রজন্ম যেটি অন্যভাষা ও সংস্কৃতি সাথে মিশতে বাধ্য হবে. যখন আমাদের অধিকাংশ শিশুরাই ইংরেজী মাধ্যমে পড়ালেখা করে বড় হবে তাদের কাছে আমরা সেইদিনও ভাষাকে পৌছে দেবার কতটুকু চেষ্টা চালাচ্ছি? একটি ভাষার দিনে আমরা শপথ করি না কেন আমরা আমাদের ভাষাকে নতুন প্রজন্মের কাছে অক্ষত ভাবে পৌছে দেব? আমি আর ৩০ বছর পরের একুশকে কোথায় ঠেলে দিচ্ছি? হয়ত আমরা জানি না। এবার আশা যাক ভাষা ছাড়াও একুশের আরেকটি দিকে।

একুশ আমার কাছে কখনই শুধু ভাষা রক্ষার লড়াই না। এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। স্বকীয়তা রক্ষার লড়াই। অন্যায় মেনে নিবো না এই বিশ্বাস তৈরী করার লড়াই। যেখানে একুশের ভাষা ভিত্তিক আবেদন টিই এখন আমাদের হতাশ করে সেখানে স্বকীয়তা রক্ষার চেতনাটি কতটা দুর্বল আমাদের জীবনে তা সহজেই অনুমেয়।

যারা বায়ান্নোর একুশে লড়েছেন, তার আগে পড়ে সংগ্রাম চালিয়েছেন তারা আমাদেরই তো পূর্বপুরুষ। তারা অত্যাচারী শক্তির সামনে মাথা নোয়ায়নি। আমরা কেন নোয়াই? আমরা কি তবে দুর্বলদের জারজ?????????????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।