যা দেখবো তাই বিশ্বাস করবো। সকাল ছয়টা ৩০ মিনিট। এটা অনেক বেলা কিন্তু আমি যেহেতু রাত ২ টা ৩০ এ ঘুমাতে যাই তাই আমার জণ্য এটা খুব সকাল। আমার সদ্য মধ্যপ্রাচ্য ফেরত ভাগনের নম্বর থেকে বাড়ির ফোন। আমি এতটাই ঘুম যে আমার মনে হচ্ছে এখন হয়তো রাত চারটা বা সাড়ে চারটা।
আমি একটু ভয় পেলাম। ভাবলাম আমাদের বাড়িতে আমার স্ট্রক করা অসুস্থ বোনের কি কিছু হয়ে গেল কিনা এত রাতে ফোন! আমার বাড়িতে আমার বলে দেওয়া আছে আমাকে যেন ভয়ংকর কোন বিপদ ছাড়া কোনদিন সকাল নয়টার আগে ফোন দেওয়া না হয়। আমি ঘুম জড়ানো অবস্থায় ফোন কানে ধরলাম।
ও পাশ থেকে ভাগনের কন্ঠে ভেসে এল চান্দের ভিতর সাইদি হুজুরের ছবি দেহা যাচ্ছে। আমি বললাম সত্যিই দেখা যাচ্ছে?হয় দাঁড়ি চশমা টুপি সব দেহা যাচ্ছে।
আমি বললাম তুই কি নিজের চোখে দেখছিস? ভাগনে বল্ল তয় কি! মানুষ কি মিথ্যা কথা কচ্ছে নাকি? ওমান থেকে বেটারা ফোন করে আমারে জানাইছে। সারা দুনিয়া থেকে দেহা যাচ্ছে। আমি বল্লাম এখনো দেখা যাচ্ছে! ভাগনে বল্ল হয় দরজা খুলে বের হয়ে দেখেন আপনি। আমি দরজা খুলে গ্রিল খুলে সিরি বেয়ে বাইরে পা রাখলাম। তিনতলার এক করনারে দেখা পেলাম চাঁদের।
ক্ষয়ে যাওয়া অর্ধেক মরা চাঁদ। কাল কালো সেই পাহাড় পর্বতের দাগ।
আমি ঘরে ফিরে এলাম । শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড মাথা পেইন নিয়ে ভাগনেকে ফোন দিলাম।
বললাম আচ্ছা আল্লার যখন এতই লিলা খেলা এতই নগদ বিচার তাহলে বাংলাদেশের এক দালাল আর ওমানের নাগরিক তিন দালাল যে তোরে ভাল কাজের প্রোলোভোন দেখিয়ে তিন লক্ষ টাকা তোর থেকে নিয়ে তোরে জেল খাটাল আর আমার ব্রেন বেঁচা টাকায় তুই বিমানের টিকিট বাসের টিকিট কেটে যে বাংলাদেশে ফিরলি আর সুদ আর ধার দেনা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে সংসারের চাকা ভাল চলবে এই আশায় তোর মা বাব তোরে বিদেশ পাঠাল আর এখন তোর বাপ মা অর্ধ পাগল হয়ে গেছে দেনার চাপে। তা যারা তোরে নিয়ে এই সব বেইমানী করলো তাদের কেন আল্লা নগদ বিচার করলোনা! তাদের কারো একটা সন্তান কেন তোর মায়ের কন্নায় মরে গেল না! তারা কেন সুখে আসে! তুই কেন জেল খানয় বসে কাদতি বাড়ি ফিরতে! নগদ বিচার কেন হয়না তোদের মত দরিদ্র সহজ সরল মানুষদের সাথে মানুষ এই নারকীয় বেইমানী করলেও! ভাগনে চুপ। শুনতে পেলাম অজস্র মহিলাদের গলার আওয়াজ তারা চাঁদের বুকে সাইদি মওলানাকে দেখছে!!
ফোন কেটে দিয়ে আমি ঘুমাতে চেষ্টা করলাম কিন্তু একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমার আর ঘুম হয়না।
ফলাফলঃ
নগদ বিচার এবং আমার ভয়ংকর মাথা ব্যাথা অসময়ে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।