চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।
"হারেম" কথাটা শুনলেই কেমন যেন মেয়ে মেয়ে গন্ধ আসে। শব্দটা সম্ভবতঃ এ্যারাবিক। উন্মত্ততা, মাতালপনা, নগ্ন নৃত্য হচ্ছে "হারেম" এর অপরিহার্য উপাদান। এ্যারাব শেখ এবং আমাদের মোগল সম্রাট গণ এর বদৌলতে এই শব্দটার সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটে।
ভারতীয় উপমহাদেশে হারেম শব্দটা বাংলায় বা হিন্দীতে "জলসাঘর" বলে থাকি আমরা। সৃষ্টির শুরুতে মদ/নারী নিয়ে উন্মত্ততা না থাকলেও বহুকাল পূর্ব থেকেই এই রীতি চলে আসছে। অবৈধ যৌনমিলনে বা মদ/নারী নিয়ে উন্মত্ততায় সাধারণ জনগণের বিচার/সাজা হলেও অসাধারণ ব্যক্তিবর্গ যেমনঃ রাজা/সম্রাটদের বিচার/সাজা হয় না। ইউরোপে জলসাঘরের প্রচলন কেমন ছিল জানি না তবে রোমান সম্রাট ক্যালিগুলা এই ব্যাপারে সবিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন। আরব ভূমিতে রাজা/শেখদের মাঝে এই সংস্কৃতি (বহুবিবাহরুপে) এখনও বিদ্যমান থাকলেও ইউরোপে ইহা কল্পনাতীত।
তারপরেও ইতালী'র প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। বুড়ো ভাম এর বয়স কিন্তু ৭৪, এই বয়সে উনার কচি ডাব খাওয়ার শখ হয়েছে, যার জন্য কুখ্যাত ছিলেন ক্যালিগুলা। বেরলুসকোনির ‘হারেম’-এ ঠাঁই পেয়েছিলেন একজন দুইজন নয় ১৪ জন সুন্দরী । তাদেরকে রাজধানী মিলানের বাইরে বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে রাখতেন তিনি। ওইসব সুন্দরীর জন্য সেইসব এপার্টমেন্ট ছিল ফ্রি।
এর ভাড়া পরিশোধ করতেন সিলভিও বেরলুসকোনি। আর সেখানে শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে তাদেরকে ধরিয়ে দিতেন মুঠিমুঠি ইউরো। নারীসঙ্গের কারণে প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বিরোধী রাজনীতিকরা তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। ওদিকে তিনি তখন অপ্রাপ্ত বয়সী যে রুবি ওরফে কারিমা আল মাহরোজের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই রুবি কেঁদেছেন।
তিনি আবেগঘন এক ঘোষণায় বলেন, বেরলুসকোনি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি । এমনকি তার শরীরও স্পর্শ করেননি।
বেরলুসকোনি তার মিলানের এক বাড়িতে এক ‘সেক্স পার্টি’তে ১৭ বছর বয়সী বেরারদির সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। বিনিময়ে তাকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন নগদ অর্থ।
রুবি এবার একটু ভিন্ন সূরে কথা বলছে, কিছু কথা ফাঁসও করেছে।
কোন একদিনের উল্লেখ করে সে বলেছে, ওইদিন বেরলুসকোনির পার্টিতে যোগ দেয়া সবাই ছিল বিবস্ত্র। রুবি আরও বলে দিয়েছে, বেরলুসকোনি যৌনলীলায় মেতে উঠেছিলেন অন্তর্বাসের মডেল নাওমি লেতিজিয়া (২০)-র সঙ্গে । সে আরও বলেছে, আমি কখনও প্রধানমন্ত্রী বেরলুসকোনির রোমের বাসভবনে যাইনি। তবে আমি গিয়েছি ভিলা স্যান মারিটিনোতে। সেখানে আমি নাওমি লেতিজিয়াকে দেখতে পেয়েছি।
তখন তাকে অ্যাপল পাপি বলে ডাকতেন বেরলুসকোনি। তখন নাওমি আমার বয়স জানতে চান। আমি বলি ২৪ বছর। জবাবে নাওমি আমাকে নিয়ে কৌতুক করলো। বললো, সে-ই বেরলুসকোনির সবচেয়ে প্রিয়।
রুবি আরও বলেছে, সেখানে আমি অন্য যেসব মেয়েকে দেখেছি তাদের সঙ্গে বেরলুসকোনির যৌন সম্পর্কই ছিল।
বেরলুসকোনির যৌন লালসার শিকার রমণীরা এখন নাকি আর কোন কাজ পাচ্ছেন না। তাদের অনেকে এ কথা তুলে ধরেছেন মিডিয়ার কাছে। তাদের কেউ অভিনেত্রী, কেউ শো-গার্ল, কেউ ড্যান্সার। প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনির নৈতিকতার বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নেমে পড়লেন ইতালির নারীরা।
তারা সমস্বরে চিৎকার করে বললেন, ইতালি কোন পতিতালয় নয় । শুধু রাজধানী রোম নয়, সারাদেশে ওই বিক্ষোভ হয়েছে। হাজার হাজার নারীর হাতে এ সময় যেসব ব্যানার লেখা ছিল তাতে লেখা ছিল- ইতালি ইজ নট এ ব্রোথেল। ইতালিতে পরিণত বয়স ধরা হয় ১৮ বছর। তার কম বয়সী কোন কিশোরীর সঙ্গে কেউ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তার জেলে যাওয়ার নিয়ম আছে।
যদিও ইউরোপের অনেক দেশেই সম্মতিতে সেক্স করার সর্বনিম্ন বয়স ১৪ বছর , কিন্তু ইতালীতে এই বয়ঃসীমা ১৮ বছর। আর এই আইনের জালেই ফেঁসে যেতে বসেছেন বেরলুসকোনি।
এখন কথা হল, বেরলুসকোনি'র নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে এটা সত্য। তবে যে মেয়েটা পেশাগতভাবে পতিতা এবং এই পতিতাবৃত্তি করে আসছে এতদিন তার বয়ঃসীমা নিয়ে আইনের এত মমতা কেন?? রুবি'র ভার্জিনিটি প্রথম যেদিন নষ্ট হয় সেই লোককেও তো খোঁজা দরকার। আর তাছাড়া কচি ডাব/পাখি ভক্ষণের এই আচরনকে তো মানসিক বৈকল্য হিসেবেও ধরা যায়।
উনার বরং চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ জলসাঘর/হারেম/নারী নিয়ে উন্মত্ততায় মেতে থাকবেন এমনটা ভাবা যায় না, যদিও হালের ক্লাব/বার গুলোতে এই ধরণের উন্মত্ততা দেখা যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।