আমি, কথা কম -কাজ বেশীতে বিশ্বাসী......
মিলাদুন্নবী নামে উৎসবের আয়োজন তা কীসের জন্য ?
ধর্ম ব্যবসায়ী ভন্ড পীরদের আয় বৃদ্ধির জন্য না -কি বিধর্মীদের খুশি করার জন্য ।
বলা হয়ে থাকে নবীর জন্মদিন উপলক্ষে খুশির আয়োজন । নবী(সাঃ) এর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভিন্ন ব্যখ্যা রয়েছে । কারো কারো মতে ১২ রবিউল আউয়াল আবার কারো কারো মতে ৮ বা ১৩ রবিউল আউয়াল নবীজী(সাঃ) পৃথিবীর বুকে আগমন করেন।
জন্ম তারিখ নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও মৃত্যু তারিখ নিয়ে কারোও কোনো সন্দেহ নেই ।
সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ১২ রবিউল আউয়াল ওফাত দিবস।
এটাই স্বাভাবিক একজন মানুষ জন্মের সময় সে ভাবে কেউ ফলো করে না তার কীর্তিকে । কিন্তু তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনের মাঝে ঠায়ঁ করে নিলে বন্ধন বিচ্ছিন্নের তারিখটা আপন পর ভক্ত সমর্থক সহ সবাই মনে রাখে । মনে রাখে নিজ নিজ বিবেচনা বোধের তাগিদে ।
তাই ১২ রবিউল আউয়াল মৃত্যুর দিন লাখো লাখো সাহাবাদের হৃদয়ে দাগ কাটে ।
এবং একই দিন ইহুদী নাসারারা খুশি হয় আনন্দে । তা খুশিতে মনে রাখে ১২ রবিউল আউয়ালকে ।
জন্ম তারিখ নিয়ে মত পার্থক্যের কারণ , ঐ সময়ের আরবের সমাজ ব্যবস্হা । আধুনিক যুগের কথাই চিন্তা করি কয়জন মানুষ তার প্রকৃত জন্ম তারিখ জানে । কোনো ভাবে বিখ্যাত হয়ে গেলে খুজাঁ খুজিঁ শুরু হয় এমুক কবে কোথায় জন্ম গ্রহণ করেছে ।
অবশ্য বর্তমান জন্ম নিবন্ধন সে ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনবে আশা রাখি । দুর্নীতির কারণে এখনোও সেভাবে কাজ হচ্ছে না ।
যাই হোক আমরা দেখতে পাচ্ছি নবী (সাঃ) এর নিশ্চিত মৃত্যু দিনে জন্ম দিনের আমেজ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে । কেউ জেনে কেউ না জেনে । যদিও নবী (সাঃ) জন্ম দিন পালন-টালনের ঘোর বিরোধী ছিলেন ।
তাই আসুন সচেতন ভাবে ইসলামকে জানার চেষ্টা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।