......শাফিক আফতাব.................................................................... আমি আর কাঁরো মৃত্যুবার্ষিকীতে যাই না, এমনকি আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীটি পালন করিনা ; এবং কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটিনা আর ; এবং বাংলা একাডেমীর চরিতাভিধানটিও খুলি না, কেনোনা তাঁরা আস্ত মানুষ হয়ে যায়, আমাকে শাসায়, তাঁরা সমবেতস্বরে বলতে থাকে : ‘এই জন্য তোমাদের কথা বলার ভাষা দিয়েছিলাম আমরা, এই জন্য একটি দেশের ভূ-খণ্ডকে স্বাধীন করেছিলাম, এই জন্য একটি নিরাপদ আবাসন নির্মাণ করে গেছি আমরা, কী সব করছো, দেশে এত কেনো হানাহানি কাটাকাটি, আর সহিংসতা কেনো ? আমরা ঘামে শ্রমে প্রেমে সংগ্রামে তোমাদের জন্য সভ্যতা গড়ি নি কি ? তোমার জাতিসত্তায় গেঁথে দেইনি ঐতিহ্যের বিশাল ভাণ্ডার ? আর তোমরা ভাই ভাইয়ের মাথা গাচ্ছো, শহর বন্দও গ্রাম পোড়াচ্ছো !’ আমি পুরুষোত্তম পুরুষদের কথার কোনো উত্তর মেলাতে পারিনা, কেনো না আমি নিজেই জড়িয়ে পড়েছি সহিংসতায়, ভূতপ্রেত ভেবে তাড়া করি এইসব কায়াহীন মানুষদের, অথচ আমি তো জানি এই সব পরমপুরুষের আত্মদান আর বিসর্জিত স্বার্থে আমাদের এই দেশ, আমাদের এই ভাষা আর এই দেশের উর্বরভূমি, শানবাঁধা ঘাটপুকুর, এই পিচ্ছিল রাজপথ, আধুনিক প্রযু্িক্ত। হে কালেরধারক পুরুশসকল, ক্ষমা করো, এই দেশের বেঈমান উত্তরাধিকার কেনো তোমরা আমাদের গলাটিপে মারোনি, হে বোদ্ধা পুরুষ তোমরা কি জানোনা পারক হলে আমরা তোমাদের কথা শুনবো না, অবাধ্য হবো, এখন পাজঁরহীন পাখনায় উড়ে এসে বোধে আর কতটুকু চেতনা দেবে, আমরা সময়ের স্রোতে তোমাদের ভুলে গেছি, অথচ তোমাদের রক্তবিন্দুর নিযার্সে এই ভাষা, দেশ, আর ভূখণ্ড, এই সভ্যতা আর ঐতিহ্য। ফলত আমি বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করিনা, চরিত্রাভিধান খুলিনা একটি বারের জন্য, শয়তান এই আমি পুর্বপুরুষের আদর্শভুলে গেছি ; তাদের আদেশ উপদেশ নির্দেশনা আমার কাছে বাতুলতা মনে হয় এখন, সত্যি বাতুলতা মনে হয় ? হে জন্মদাতা পিতাগণ, আমাদের ক্ষমা করো ! ০৩.০৩.২০১৩
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।