গত ১২-০২-২০১১ ছিল শীতের বিদায়-দিবস । এই দিনেই ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে ঘুরে এলাম মহাস্থানগড় । অনেক হই-হুল্লোর করে আমরা পুরো বিভাগ থেকে চারটা বাস নিয়ে গিয়েছিলাম ঐতিহাসিক স্থান দেখতে । প্রথমেই গেলাম সেই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীর আর প্রাচীরের ওপাশের আকর্ষণ গুলো দেখতে । মহাস্থানগড়ের সেই প্রাচীর আর চীনের মহাপ্রাচীর প্রায় একই রকমের ।
পার্থক্যটা শুধু দৈর্ঘের । আর একটা পার্থক্য আছে .....মহাস্থানের এই প্রাচীরটায় মাত্র তিনটা ঘোড়া একসাথে যেতে পারত ।
আমরাও ফ্রেন্ডরা প্রাচীরের উপরে অনেকখানি পথ দৌড়ে পার হয়েছি
সেই প্রাচীর :
এরপর আগাতে আগাতে দেখতে পেলাম এক রহস্যময় কুপ যার নাম জিয়ৎ কুপ । শোনা যায় , এর মধ্যে নাকি মৃত মানুষ ফেলে দিলে জ্যান্ত হয়ে উঠত ।
কুপের অভ্যন্তর ভাগ :
মহাস্থনগড়ে আবার দেখি কুমড়ার চাষও হয় ! হাটতে হাটতে যতই ভেতরে যাই খালি দেখি কুমড়া ক্ষেত ।
আবার দেখি ঝর্ণাও আছে কলকলিয়ে ঝর্ণার পানি নালা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ...তবে পানির উৎসটাই খুঁজে পেলাম না
ঝর্ণার স্বচ্ছ পানিতে পাথরের লুকোচুরি
এরপর চলতে চলতে দেখা পেলাম মানকালির ভিটার ।
ভিটার একটি অংশ :
সেখান থেকে বৈরাগীর ভিটায় চললাম বৈরাগী হতে
বিখ্যাত একটি পাথর...এটায় লোকে দুধ ঢালে ...পাথর নাকি দুধ খায়...আর যাদের মানত থাকে তারা এসে এখানে দুধ ঢালে :
এরপরে গেলাম সুলতান বলখীর মাজারে । মাজারের সামনে একটা গভীর কুপ আছে ।
সেই কুপটা :
মহাস্থান যাদুঘরের সামনে আমরা কয়েক ফ্রেন্ড :
যাদুঘরের সামনে ফুটন্ত গোলাপ :
এরপর ফিরে এসে দুপুরের খাবার...খেয়ে- দেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । মেয়েদের জন্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল ...হাড়ি ভাঙ্গা ....শুরু হওয়ার আগেই আমরা দুই ফ্রেন্ড দৌড়ে পালালাম ...কারণ, আমরা খেলতে পারিনা
পালানোর গন্তব্য গোবিন্দ ভিটা
গোবিন্দ ভিটায় শেষ বিকেলের আলো :
ব্যাক করলাম গাড়ির কাছে ....বেহুলা লক্ষীন্দরের বাসরঘর দেখতে যাব বলে ।
তখন পাঁচটা
বাজে প্রায় । বাস নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরে নেমে সবাই যার যার মত ভ্যান কিংবা স্ক্রুটারে উঠলাম । আমার ভ্যানে ছিলাম আমি , আমার এক ফ্রেন্ড আর এক স্যার ও তাঁর ফ্যামিলি ।
গেলাম ঠিকই ...কিন্তু কষ্ট বয়ে নিতে হল সেখানে গিয়ে তাই বেহুলার বাসরঘরের সাথে আমার কোন ছবি-স্মৃতি রইল না । তবে ছবি-স্মৃতি না থাকলেও একটা স্মৃতি রয়ে গেল...সেই স্মৃতিটাকে নিয়েই রাত ১টায় ক্যাম্পাসে এসে নামলাম ।
( ব্রেকিং নিউজ : গত ১২-০২-২০১১ তারিখ শনিবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের মেধাবী ছাত্রী খোন্দকার নূরুল একা উম্মে হানী মহাস্থানগড়ে বনভোজন করতে এসে বেহুলা-লক্ষীন্দরের বাসরঘর পরিদর্শন করতে যাওয়ার সময় সড়ক-দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন । স্থানীয় এক ফার্মেসী থেকে সাময়িক চিকিৎসা নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন । এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্হ হননি । তিনি সবার দোয়া-প্রার্থী । প্রেস রিলিজ : এএলডিইউ )
..........................................................................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।