আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

RJ নামধারী উস্কানীদাতা শিবিরের কর্মী সালমানকে চিনে নিন! সতর্ক হোন!!

মানুষের সেবাই প্রকৃত ধর্ম। অন্যায়ের প্রতিবাদে ঝড় তোলা বাজপাখি হয়ে একাত্তরের চেতনা করি ধারণ। **আপডেট** ফেসবুকে এই পোস্টটি শেয়ার হতে থাকলে, আর মানুষ তার বিভিন্ন স্ট্যাটাসে গিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকলে সালমান তার বন্ধুদের জন্য খোলা ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দেয়। এরপর তার ফ্যানদের জন্য নির্দিষ্ট অন্য একাউন্টটি থেকে তার এতদিনের দেয়া মতের বিপরীত স্ট্যাটাস দিতে থাকে যাতে তার বিরুদ্ধে শিবিরকর্মী হিসেবে আনিত অভিযোগ সবার মিথ্যা মনে হয়। কিন্তু উপরে দেখুন তার স্ট্যাটাসে তার অন্য এক ফ্যানের মন্তব্য: "এতদিন জানতাম মানুষের একটা মুখ, এখন দেখতেসি সালমানের দুইটা মুখ।

এতদিন এক রূপ দেখেছি, এখন অন্য রূপ!" **মূল পোস্ট** অনেক সময় পর ব্লগে পোস্ট দিচ্ছি। ব্লগিং না করে, পড়তেই ভাল লাগে। কিন্তু এ বিষয়টা নিয়ে চুপ থাকতে পারলাম না। তাই পোস্ট দেয়া গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। সমস্যা হল বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে কিছু সেলিব্রেটি নামধারীকে দেখা যাচ্ছে সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে রীতিমত, যা নি:সন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাদের মধ্যে এই সালমান একজন। কে এই সালমান? আসুন একটু জেনে নিই। নাম: সালমান আব্দুল্লাহ পেশা: RJ, রেডিও টুডে পড়াশোনা: ৪র্থ বর্ষ, ফিন্যান্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মস্থান: চাঁদপুর লিংকসমূহ: ১. ফেবু ব্যক্তিগত আইডি (ডিএক্টিভ করে রেখেছে) ২. ফেবু আইডি (ফ্যানদের জন্য) ৩. ফেবু ফ্যান পেইজ আমি গত দুই বছর এই লোকের ফ্যান ছিলাম ভাবতেই অবাক লাগে। তাকে আমি ঘৃণা করা শুরু করলাম তার স্ট্যাটাসে দেশদ্রোহী কথাবার্তা দেখার পর থেকে। শাহবাগের ঘটনা নিয়ে সে এখন উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।

এসব দেখে চিন্তা করলাম, সবাই যখন এখন শিবির দমনে নেমেছে আমি একটু এই সেলিব্রিটির তলটা খতিয়ে দেখি। তারপর একটু খোঁজ খবর নিতেই বের হয়ে এল তার পেছনের কাহিনী। তার কাছের কিছু মানুষের কাছ থেকে তথ্যগুলো পেয়ে নিশ্চিত হয়ে এই পোস্টটা লিখতে বসলাম। এ থেকে বাকী সেলিব্রেটিদেরও আশা করি অনেক কিছু শেখার আছে। অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে RJ সালমানের কিছু সহপাঠীদের (নাম প্রকাশ করছি না) কাছ থেকে জানতে পারলাম সে ভার্সিটিতে ভর্তির পূর্বে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিল।

শিবিরের সাংগঠনিক কাজে তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল একসময়। এবং সে শিবিরের লিস্টেট সদস্য। তার নাম শিবিরের সদস্য বইতে পাওয়া যাবে। ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে 'গ' বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায় সে। এবং ফিন্যান্স সাবজেক্টে ভর্তি হয়।

ভার্সিটি ভর্তির প্রথম দুই বছর সে নানাভাবে শিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। অথচ সে তখন থেকেই ছাত্রলীগকে সমর্থন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাভাবে নিজের সুবিদা আদায় করে নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্রলীগের সমর্থক সেজে সূর্যসেন হলেও আদায় করে নেয় থাকার জায়গার। আমরা জানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি দলের ছাত্র রাজনীতির সমর্থক না দেখালে কেউ আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারে না। এমনকি কেউ বিরোধী দলের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে মেরে হল ছাড়া করা হয়।

এর মধ্যে ছাত্রলীগের ছেলেরা অনেক শিবির সদস্যকে হাতে নাতে ধরলেও এই ধূরন্ধর RJ শিবিরের সদস্য হওয়া সত্যেও তাকে কখনও ধরতে পারেনি। ২০১০ সালে সেপ্টেম্বরে সে RJ হয় বলে জানতে পেরেছি। এবং গত আড়াই বছরে মোটামুটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর মধ্যে বিভিন্ন মডেল ও মেয়ে সহকর্মীর সাথে ছবি তুলে সে ফেসবুকে আপলোড দেয়, কিন্তু ছবিগুলোর প্রাইভেসি দিয়ে রাখে, যাতে করে তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা শিবিরের বড় ভাইরা তার ছবিগুলো দেখতে না পায়। কারণ এই কাজ নাকি শিবিরের সদস্যদের নিয়মের পরিপন্থী! তার ফ্যান বলেই তার ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়মিত ফলো করতাম।

তাকে মার্ক করা শুরু করি গত বছর থেকে। গত বছর দুইটি ঘটনায় তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে সে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়। সেগুলো হল, (১) মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর হামলায় তাদের মুসলিম হিসেবে বাংলাদেশে জায়গা দেয়ার ব্যাপারে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য এবং (২) ফেসবুক ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবিরের প্ররোচনায় রামু'র বৌদ্ধ মন্দিরে ঘটে যাওয়া নৃশংস সাম্প্রদায়িক হামলায় উস্কানী। এখন শুরু করেছে নতুন কাহিনী! শাহবাগ আন্দোলনের শুরু থেকেই এ নিয়ে সে নিয়মিত উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। যা ইদানীং সহ্যেরও বাইরে চলে যাচ্ছে।

প্রশ্ন হল, তার মত বক্তব্য তো অনেকেই দিচ্ছে। সমস্যা কী? তার আরেকজন ভক্তের (আমার বন্ধু) মন্তব্য দেখুন: "আমি সালমানের অনেক বড় ফ্যান। কিন্তু একজন মানুষ যদি তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দেশদ্রোহীতা করে আর তার অনুসারীদের মধ্যে তা প্রমোট করে, তবে তার ফ্যান কীভাবে হবো? ভালো ছাত্র আর ভাল মানুষের মধ্যে তফাৎ অনেক। মাঝে মাঝে চিন্তা করে খারাপ লাগে, এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কোন যোগ্যতায়? কেবলমাত্র মেধাবী বলে? শুধুমাত্র মেধাই কি একজন মানুষের মানবিকতা ও জাতীয়তাবাদ মাপের মাপকাঠি হতে পারে? ঘৃণা জানাই এ সব নব্য রাজাকার সেলিব্রেটিদের। " হ্যাঁ, ধরতে পেরেছেন।

সমস্যাটা হল তার জনপ্রিয়তা। এটাকে পুঁজি করে সে হাজারও মানুষকে প্ররোচিত করছে প্রতিদিন। আর তার মত দেশদ্রোহী মানসিকতার মানুষগুলো তার স্ট্যাটাসকে বানাচ্ছে তাদের খোঁয়াড়। এবার দেখি তার ফেসবুক প্রোফাইলের অবস্থা: প্রথমেই দেখুন তার লাইককৃত পেইজগুলোর একটি হল শিবিরের জঘন্য মিথ্যাচারের ক্ষেত্র উস্কানীমূলক পেইজ "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella ", যে পেইজটি কিছুদিন আগে রিপোর্ট করে বন্ধ করে দেয়া হলে নতুনভাবে আবার খোলা হয় পাঁচদিন আগে এবং বর্তমানে উস্কানির জন্য পুলিশের সাইবার সেলের দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এটাকে। সালমান যেদিন নতুন পেইজটি খোলা হয় সেদিনই সেটাতে লাইক দিয়ে ফলো করা শুরু করে।

পেজটি সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের পোস্টটি দেখুন। এবার দেখুন ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পর তার স্ট্যাটাস: ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি রাজীবের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেখুন কিভাবে তার গায়ে লাগে শিবিরের সদস্য হওয়ার কারণে। এতক্ষন দেখলেন তার প্রোফাইলের স্ট্যাটাস। এবার চলুন দেখি তার ফ্যান পেইজে তার দেয়া স্ট্যাটাস। ২০ ফেব্রুয়ারি, মুক্তিযুদ্ধের "জয় বাংলা" স্লোগান নিয়ে তার আপত্তি বিষয়ক স্ট্যাটাস।

যখন শাহবাগে লাখ লাখ মানুষ আওয়ামীলীগের কাছ থেকে "জয় বাংলা" স্লোগান কেড়ে নিয়ে এখন নিজেদের চেতনাকে খুঁজে পাচ্ছে আর আওয়ামীলীগকে ধিক্কার দিচ্ছে এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য, সেখানে এই তথাকথিত সেলিব্রেটির "আপত্তি" টা বুঝে নিন। সে সাথে যোগও করে দিয়েছে, "Joy Bangladesh... jodi eta bolle keu apnake gali dei bujhben tini shei bishesh doler bishesh uddeshsho bastobayone niojito !." কে বলবে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে?? এতোটা মূর্খতা তো পাবলিক ভার্সিটি থেকে উঠে আসার কথা নয়! সাকার প্রতি ভালবাসা ও ফেভার দেখানোর সুযোগ সে মোটেও হাতছাড়া করেনি: ২৮ ফেব্রুয়ারি শিবিরের সহিংসতার ঘটনার ঘটনায় সারা দেশে অনেক মানুষের মৃত্যুকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির মত 'গনহত্যা' নামে অভিহিত করে স্ট্যাটাস: এইবার বিএনপির সমর্থকদেরকে উস্কানী দেয়ার চেষ্টা। আমি প্রতিদিন শাহবাগে গিয়েও শুনলাম না যে "খালেদা জিয়ার চামড়া, কুত্তা দিয়া কামড়া" স্লোগান দিতে, আর সেলিব্রিটির বেশে এই দেশদ্রোহী ও জারজ সালমান শিবিরের সদস্য হয়ে শাহবাগ না গিয়ে শুনে ফেলেছে যে এই স্লোগান দেয়া হচ্ছে। অনেক হয়েছে! অবিলম্বে এই RJ নামধারী শিবিরের সদস্য, জ্ঞানপাপী, ও উস্কানীদাতার ফেসবুক একাউন্ট জব্দ করে প্রয়োজনে তাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানাই। তুমি RJ হইছো ঠিক আছে, কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? নাকি RJ পেশায় রাজনীতি প্রমোট করার নিয়ম চালু হয়েছে? শেয়ার করে এই দেশদ্রোহীর কথা সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।