আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
লোকে বলে বলে রে...কাইলকা বলে ভ্যালেনটাইন দিবস। জেবনে পালন কর্বার পার্লাম না এই টাইন-টুইন দিবস।
গিপটু দিতে না পয়সা লাগে তাই আমি না হয় না দিলাম তাই বইলা কি পামুও না! এইরাম পোড়া কফালী দুইন্যাইত আছেনি একটা আমি ছাড়া। দ্যাকছন্নি কেউ। কমই আছে।
বান্দুবী আমার একদিন কয়
এ ভ্যালেন্টাইন ডে তে আমারে কি দিবি?
তরে দিমু ঘোড়াড্ডিম
যাইহোক ঝাড়ি-ঝুড়ি মারলেও মাথায় ঘুর ঘুর কর্তাছিলো কি দেওয়া যায় কি দেওয়া যায়....পকেট থুক্কু ব্যাগ মোটামুটি গড়ের মাথা না হইলেও কম না দুই দিন গেল চিন্তাইতে চিন্তাইতে।
ব্লগে অপ্সরা আপু আর রুম্মা আপুর গ্লাস পেইন্টিং দেইখ্যা খায়েশ জাগছিল করার।
রং কিন্নাও আনছিলাম কিন্তু সদ্ব্যব্যাবহার আর করা হয় নাইক্কা। চিন্তা কর্লাম একটা মগে ভং চং কইর্যা রং চং লাগাইয়া তাই ধরাই দিমুনি টাইন-টুইন দিভছেস গিপু কইয়া।
মগ কিন্তে যাইয়া পর্ড়াল ফ্যাকরায়। এক দুকানে গেলাম যা চাই তা নাই। আরেক দুকানে গেলাম এক্টা আছে তাও ছাতা-মাতা পছন্দ অয় নাই।
নিরানব্বুইর ভংগির দুকানে যাইয়া মগ না পাইয়া পরে দুইডা ছুডু গেলাস কিন্না আনলাম।
ভাবলাম রংচং যেহেতু করুম এক্টা আর করুম ক্যা ছুডু বেলাথ্থিকা জানের-পরানের দুস্তরেও এক্টা দেওন যাইবো। দুইডাই নিলাম। বাসায় আইন্না শুরু কর্লাম রং চং। ডিব্বার রং মনের রং সব একাকার কইর্যা লাগাইলাম রং।
দেহেন দেহী কমুন হইল
১। রং করার পরে রৈদ্রে দিসি
২। দুই জনের লিগ্যা দুইডা
৩। আবার মিস্যু ও লিখ্যা দিসি
৪। অনেক আগে রং আইন্যা ফ্রেশ দুধের লগে পাওয়া থালায় রং কর্সিলাম
দিলে অ্যাম্তেই ইট্টু ইট্টু জ্বালা কেউ কুনো গিপটু দিবো না উল্টা আমারই দিতে হইতাসে, বিয়ান বেলা বান্দুবীরে মেসেজ দিয়া(ফুন্দিলে ট্যাকা বেশী যাইবো) জিগাইসি মেলায় যাইবো কিনা?
ফুন্দিসে
~হ্যালো
=আসসালামু-আলাইকুম(সবসুময় আমি সালাম দিই, আইজকা দিসে কারন জানে যহন কইবো মেলায় যাইবো না তহন মেজাজ ফোট্টি নাইন হইবো, তাই আগেই ত্যাল দিতাসে)
~ওয়ালাইকুম সালাম
=কি অবস্থা ম্যাডাম, কেমন আছেন?
~এইত্ত আলহামদুলিল্লাহ, আপ্নার কি অবস্থা?
=ভাল না, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি।
মেলায় যাবো টাকা নাই, গেলে বই কিন্তে হবে।
~ কত্ত বই কিন্যা উল্টায়লান। ধার কইরা মার্কেট যান আর এহন মেলায় যাইবার পার্বেন্না
= আজকে শাড়ী আসবে কুরিয়ারে, সেখানে যেতে হবে(আগের চেয়ে নরম গলায়)
শাড়ী কইথ্থিক্কা আইবো জানি তার পরেও জিগাইলাম
=কোথা থেকে আসতে পারে বুঝো না(জানি ঐসময় ৩৪টা দাঁত বাইর হইয়া গেসে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।