আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক যুগে এসিড-সন্ত্রাসের শিকার ৩ হাজার

নিজেকে জান এবং প্রকাশ কর!!

ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশে গত এক যুগে তিন হাজার একশ ৩৫ জন এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশের দুই হাজার চারশ ৭৬টি ঘটনায় এ এসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। ২০১০ সালে একশ ১৫টি ঘটনায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ ৫৩ জন। এর আগের বছর এ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশ ৫০। জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার এসিড সার্ভাইভার্স ফাউন্ডেশন (এএসএফ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

এতে এএসএফ'র বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মনিরা রহমান। তিনি বলেন, সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ২০১৫ সালের মধ্যে এসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা ৫০টির নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এসিড-সন্ত্রাসে শাস্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী আক্রমণকারী ব্যক্তি সর্বনিু তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আইনি ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। পোড়া রোগের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সালেক বলেন, ঘটনার পরপরই এসিড আক্রান্ত রোগীর দগ্ধ স্থানে ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত পরিষ্কার পানি ঢালতে হবে।

এতে পোড়া স্থান ঝুঁকিমুক্ত হয়। পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। এএসএফ হাসপাতাল বিনামূল্যে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। রোগীদের পরিবর্তে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তির অনুদানের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এএসএফ চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের পুনর্বাসন ও আইনি সহায়তাও দেয় বলে জানান তিনি।

এএসএফ'র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে '১০ সাল পর্যন্ত দেশে এসিড-সন্ত্রাসের ঘটনায় এক হাজার পাঁচশ ৯৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত নয়শ ৫০টি ঘটনায় অভিযোগপত্র (সিএস) দেওয়া হয়েছে। এ সব ঘটনার মধ্যে এ পর্যন্ত দেওয়া রায়ে তিনশ ২১ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. ইফতেখারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ ফজিলাতুন নেসা এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।