যযতই জানিবে ততই অবাক হইবে.. মাথায় কালো সাদা ব্যান্ড । লিখা আছে "যুদ্ধাপরাধির ফাঁসি চাই " পক্ষ নিলে রক্ষা নাই " হা হা হা হা ..একটু হেঁসে নিলাম।
বাজি ধরে বলতে পারি ঐ ইমরান সাহেবেরও কুনো আইডিয়া নাই এখন সে ঠিক কুন জায়গাটায় দাড়িয়ে। বলবো। লেখার শেষে ডাক্তর ইমরান সাহেব কে কিছু বলবো।
দেখলাম সেদিন টিভি টক শোতে থ্রেট দিয়েও বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের । মজা পেলাম তার এই ঝড়ো কথা বার্তা শুনে।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পর বুদ্ধিজীব রা শাহবাগ স্কয়ারে এসে দাড়িয়ে বললেন- তোমরা যারা দেখনি স্বাধীনতা ,দেখে নাও । হুম ...দেখলাম । আমি দেখলাম কিছু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের আলোর সন্ধানে প্রদীপ শিখা প্রজ্জলোন।
মুক্তির জন্য কিছু শ্লোগান । কিসের মুক্তি চাইলেন তারা ?? কিছু ফাঁসির মধ্য দিয়ে আবারও স্বাধীনতার মুক্তি?? হাঁসি পেলো রে ভাই ।
আসেন আজ আমি আপনাদের বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন করি । নিজে নিজে উত্তর গুলো দিবেন । আশা করি পাঠ শেষে একটা কিছু ভালো জানতে পারবেন।
১৯৭১ এর পর চহ্নিত রাজাকার দের কেনো চৌ রাস্তার মোড়ে এনে শুলে চড়ানো হলো না ?
২০১৩ এ এসে আজ কেনো আবার যুদ্ধে অবতরন হল গোটা জাতি ?
ডা। ইমরান কি আজ সেই জাতির জনক মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন ?
এবার কিছু কঠিন সত্যি কথা বলি । এবং সত্যি গুলো মেনে নিন ।
আমাদের বাংলাদেশের একটা বিরাট অংশ এ-দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস রাখে না । আমি জানি আপনি একলাফে এখন বলে ফেলবেন তারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করে ? এখানেই আপনার আমার ভুল ।
৭১ এর পর থেকে এখন পর্যন্তত যত জন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন আর গিয়েছেন তাদের কেউ-ই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে কখনো বিশ্বাসি ছিলেন না। একারনেই স্বাধীনতার বিপক্ষের এই অপশক্তি ২০১৩ পর্যন্ত জীবিত আছে।
৭০ ভাগ এর বেশি রাজনৈতিক এবং আমলারা নিয়ে রেখেছেন দ্বৈ-ত্রৈ নাগরিকত্ব । জন্মের পরপরই ছেলে মেয়েদের সু শিক্ষার জন্য বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন । কারন এদেশের শিক্ষা ব্যবস্হাকে পংগু করে রেখেছেন তারা শুরু থেকেই ।
আর পংগু নয়-ই বা কোন ক্ষেত্র ?? আপনার সন্তান কে আপনি এমন একটি ভবনে কখনো রাখবেন না, যে ভাবনের প্রতিটি ইট বালুর ভেতর আছে আপনার দূর্নিতী ।
আজ ঐ বুড়া থুড়থুড়া সব মরার শেষ দিকে চলে আসছে । তাদের দিয়ে আর ফায়দা নাই। তাই প্রয়োজন হলো আবার একটা মুক্তি যুদ্ধের, আবার কিছু রাজাকারের । দরকার হলো কিছু তাজা রক্তের ।
আজ তোরা না চাইলেও তোদের মাঝ থেকে-ই জন্ম নেবে গোলাম আজম , সাঈদী , বাচ্চু রাজাকার। আবারও জন্ম নেবে মতিউর , নূর মুহাম্মদ , শফিক ,রফিক, জব্বার । আর ভাগ্যবতি হবেন কিছু সন্তান হারা জাহানারা ইমাম ।
আপনার কি মনে হয় গোলাম আজম ,সাইদী এত দিনে বসে বসে লক্ষ লক্ষ সা্চ্চা মুসলমান পয়দা করে ফেলসে ?? ভুল । ভুল ।
ভুল ।
১৯৭১ এর পর একদল প্রথমে তাদের চিহ্নিত করলেন , এর পর কালো সাপ নাম দিয়ে জিইয়ে রাখলেন। বলে দিলেন সময়-ই তাদের ফিরিয়ে আনবে । তখনই তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো । কিন্তু আজ কেউ একটু ভেবে দেখলেন না কেন এই দীর্ঘ ৪২ বছর পর তাদের ফাঁসিতে ঝুলানো হবে ?? কারন , ছবির বাঁকি এবং শেষ অংশ এখন শুরু হলো ভাই ।
"ডা: ইমরান । শেষে আপনাকে কিছু বলছি । এক ডাকে যুদ্ধ এনে দিলো শেখ মুজিবুর রহমান । আপনার ডাকে এলও তাই । যুদ্ধের দরকার নাই ।
স্বাধীন এই দেশে আমরা সবাই ভাই ভাই । " ----আশা করি আপনি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।
৭১ এর পর বিভিন্ন সুবিধাবাদি মহল রাজাকারদের সমান ভাবে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন । তাই ওরে আমার সোনার বাংলার ইমোশনাল ফুলেরা ....
আয় আজ কে হবি রে তুই মুক্তিযোদ্ধা ?? কে হবি রে তুই হানাদার ??
------ স হ ম ত হইলে চলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।