কাশ্মীরের হত্যাযজ্ঞ ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ জরুরি।
কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কাশ্মীরে আধিপত্যবাদী হিংস্রতার থাবা দিন দিন বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। ছোট একটি এলাকায় সাড়ে সাত লাখ বাহিনী নিয়োগ করে তারা সাধারণ জনগণকে হত্যা ও নারী শিশুদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। একের পর এক বর্রোচিত হত্যাকান্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিশ¡ নীরব রয়েছে। কিন্তু যত অত্যাচার নির্যাতনই চলুক কাশ্মীর অবশ্যই একদিন স্বাধীন হবে।
বালাদেশের সাধারণ মানুষ কাশ্মীরীদেও পাশে অতীতে যেমন ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।
ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ-কাশ্মীর ব্রাদারহুড কাউন্সিল আয়োজিত কাশীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)’র মহাসচিব শামীম আল মামুন, ইসলামিক পার্টির সভাপতি এডভাকেট আব্দুল মোবিন, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব এডভোকেট, ন্যাপ (ভাসানী) সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের ইউরোপ শাখা সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমদ প্রমুখ। মাওলানা মুহিউদ্দিন খান বলেন, কাশ্মীরে যে অত্যাচার নির্যাতন চলছে তার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তিনি এ অবস্থা উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত প্রস্তাব মোতাবেক গণভোটের মাধ্যমে কাশীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সুযাগ সৃষ্টির জন্য দাবি জানান।
তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পূর্ব তিমুরকে যেমন ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করেছে। তেমনভাবে বাংলাদেশের এক পঞ্চামাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। বিদেশীরা বর্তমান সরকারের ওপর এমনভাবে সওয়ার রয়েছে যে মুসলমানদেও কোন কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলাম উঠিয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। যে ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয় মুসলিমরা দোয়া পড়ে প্রতিটি ইট গেঁথেছে সেখানে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পড়তে দেয়া হচ্ছে না।
পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে। তিনি এসব অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। শফিউল আলম প্রধান বলেন, কাশ্মীরে আব্দুল−াহ শেখের কারণে ৬৩ বছর ধরে পরাধীন হয়ে আধিপত্যবাদী ভারতের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তরুণ-যুবকদের জীবন দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশকেও শেখরা ভারতের করদ রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। হিন্দুস্তানীদের মদদে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, সরকার ভারতের ইন্ধনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে রাজনৈতিক নেতাদের ধরে নিয়ে নিযার্ঞ্চতন করছে। বিচার করতে হলে আগে সীমলা চুক্তির মাধ্যমে যে ১৯৫ জন যুদ্ধপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা ছেড়ে দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে এবং ভারতীয় বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পর যে ২৫ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
সমাবেশে সবাই আশা পোষন করেন যে জাতি সংঘ করো শক্তির কাছে মাথা নত কনা করে কাশ্মীর বিষয়ে জনগনের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।