আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাল শেয়ারে ৮৯ লাখ টাকার ঋণ : চার্জশিট হচ্ছে বাদলের নামে



জাল শেয়ার দিয়ে ৮৯ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ হাতিয়ে নিয়েছে মেসার্স লতিফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দুই শীর্ষ কর্মকর্তার সহায়তায় মতিঝিল পূবালী ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা হতে লতিফ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান বাদল জালিয়াতির মাধ্যমে এ ঋণ হাতিয়ে নেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার ইনচার্জ শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানকে অভিযুক্ত করে অনুমোদনের জন্য কমিশনে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আবু নাছির জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে জাল শেয়ারে পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৯৪৭ সনের ২ এর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (ক) ধারায় অপরাধ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, মেসার্স লতিফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান বাদল তার চলতি হিসাব নং-১০০২২৯ পরিবর্তিত নং- ০৫৯০১৯০১৫৭৬ মতিঝিল পূবালী ব্যাংক লিমিটেড বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা হতে ১৯৯৯ সনের ৩০ ডিসেম্বর মোট ৭৫ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করিয়ে নেন। একইভাবে উক্ত ব্যাংক হতে তার নামে চলতি হিসাব নং-১০০২২৯ পরিবর্তিত নং- ২৯০৫৯০১৯০২২৯৭ এর অনুকূলে আরো ১৪ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ব্যাংক সার্কুলার অনুযায়ী মো. লুৎফর রহমানের নামে জমাকৃত শেয়ারের বিপরীতে এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়।

জমাকৃত তার শেয়ারের মধ্যে মেঘনা সিমেন্ট লিমিটেডের ১১ হাজার ১শটি এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ছিল মোট ৪শ ৮০টি জাল শেয়ার। জমাকৃত মোট ১১ হাজার ৫শ ৮০টি জাল শেয়ারের তৎকালীন গড়বাজার মূল্য ছিল ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯শ ৪০ টাকা। পূবালী ব্যাংকের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ও বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার ইনচার্জ শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও একই শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সহযোগিতায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লতিফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান বাদল জাল শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংক হতে এই ঋণ হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ধরা পড়লে পূবালী ব্যাংক একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির তদন্তেও জাল শেয়ারে ঋণ গ্রহণের বিষয়টি উদঘাটিত হলে এঘটনার জন্য শীর্ষ দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ২০০৪ সালে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং- ৬৯ (৩) ০৪। পরে জাল শেয়ারে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর কমিশনের সহকারি পরিচালক আবু নাছির প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে লতিফ সিকিউরিটিজের এমডি মো. লুৎফর রহমান বাদল এবং দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামি করে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬২। একই বছরের ১৮ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক আবু নাছিরকে দায়িত্ব দিলে তিনি মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাল শেয়ারে জালিয়াতি করে ৮৯ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ হাতিয়ে নেয়ার সত্যতা খুঁজে পান।

সূত্রbr /> Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।