আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ পর্যন্ত মেয়েরা সিগারেট বিক্রিতে! সাব্বাস বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের আইন

প্রতারিত সৈনিক, বেচে থাকা যোদ্ধা, বিজয়ের নেই কোন লেশ

আমাদের দেশে এখন সব খানেই মেয়েরা এগিয়ে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইন অমান্য করে হাতে হাতে সিগারেট নিয়ে বাজারে বাজারে ভাব ভঙ্গি দেখিয়ে ফসলিয়ে, সিগারেট বিক্রি করাটা কেমন দেখায়। মৌলভীবাজার জেলার বলিয়ারবাগ নামক একটি এলাকার একটি দোকানে বসে চা পান করছি। এমন সময় দেখলাম ওই দোকানে ৪/৫ জন ১৬ থেকে ২০ বছর বয়সি মেয়েরা হাতে কাগজ কলম ও রেলি নামের সিগারেট এর প্যাকেট নিয়ে ঢুকল। দোকানদারকে বলল ভাই আমরা আবুল খায়ের টোবাকো কোং থেকে আসছি। তারপর তাদের এই সিগারেটের মান, গুন, তামাক সম্পর্কে ভালো মন্তব্য এবং বিভিন্ন প্রাইজ এর কথা বলল।

দোকান দার তাদের কথা শুনার পর বললেন আপা আপনারদের এই সিগারেট টা আমার এখানে চলে না। তাই আমি এটা রাখবো না। এই মুহুর্তে ঝট করে একটা মেয়ে দোকানদারের সাথে হাত মিলালো এবং খুব সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে বলল ভাই আমরা এতগুলি মেয়েরা আপনার দোকানে আসছি বড় আশা করে আর আপনি যদি আমাদের ফিরিয়ে দেন তাহলে আমরা কষ্ট পাব। দোকানদার বেটা ওই মেয়ের সাথে হাত মিলিয়ে যেন একটি হাপিয়ে গেল। চোখ দুটি লাল লাল হয়ে আসছে।

কিছু লজ্জা ও পেয়েছে মনে হল। এক পর্যায়ে দোকানদার তাদের কলা কৌশলের কাছে হেরে গিয়ে ৫ পেকেট রেলি সিগারেট রাখতে বাধ্য হল। মেয়েরা ওই দোকান থেকে যাবার পর ওই মেয়েদেরকে নিয়ে দোকানি বা দোকানে বসা লোকজন যে কি মন্তব্য করা শুরু করল তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। অথচ সম্ভবতঃ বাংলাদেশ সরকারের আইনে এসব কাজ অবৈধ। তারপরও ওরা আইনের চুখ ফাকি দিয়ে এসব বেআইনী কাজ করছে।

অথচঃ সরকার এবং এনজিও সংস্থা তামাক দ্রব্য আইন মেনে চলতে কত টাকা এবং পরিশ্রম করতেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।