যা চাই তা ভুল করে চাই আর আর যা পাই তা চাই না
প্রতি দিন সাবান খান তিনি। সপ্তাহে গায়ে মাখার অন্তত গোটা পাঁচেক সাবান লাগে তাঁর। এ ছাড়া মুঠি মুঠি কাপড় ধোয়ার গুঁড়ো সাবান তো আছেই। চিকিৎসকেরা এরই মধ্যে তাঁকে সতর্ক করেছেন, সাবান খাওয়ার খেসারত হিসেবে প্রাণ যেতে পারে। এর পরও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর।
সাবান খাওয়া চলছেই।
সাবান খাওয়ার বাতিকে ভোগা ১৯ বছরের এই তরুণীর নাম টেম্পেস্ট হেনডারসন। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। গুঁড়ো সাবান চেখে দেখার মধ্য দিয়ে তাঁর সাবান খাওয়া শুরু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রথম যেদিন গুঁড়ো সাবান খেলাম, ওই দিনটির কথা এখনো বেশ মনে পড়ে।
প্রথমে আঙুলে একটুখানি গুঁড়ো সাবান নিয়ে স্বাদ নিলাম। দেখলাম, নোনতা নোনতা মজার স্বাদ, যা ভালো লেগে গেল। এর পর থেকে সাবান খেতে শুরু করলাম। ’
সেবিকা হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন টেম্পেস্ট হেনডারসন। তিনি জানান, সাবান খাওয়ার পরিণতি যে মারাত্মক হতে পারে, তা তিনি জানেন।
তার পরও এই অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না। রোজ সকাল থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কয়েক দফায় চলে তাঁর এই সাবান ভক্ষণ।
টেম্পেস্ট বলেন, ‘স্নান করার সময় সাবানের ফেনা খাই। আরও খাই গুঁড়ো সাবান। এ ছাড়া এক টুকরো সাবান মুখে পুরে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুষতে থাকি।
’
চিকিৎসকদের মতে, টেম্পেস্ট ‘পাইকা’ নামে এক ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত। এই সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, যা প্রচলিত নয় এবং এসব খাবারে পুষ্টি বলে কিছু নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ধাতব মুদ্রা, চক, ব্যাটারি ও টুথব্রাশের মতো অখাদ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে খনিজ উপাদানের ঘাটতি থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সন্তানসম্ভবা নারীকে গর্ভকালীন কয়লা খেতে দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব নারী তখনই কয়লা খান, যখন তাঁদের শরীরে লৌহ উপাদানের ঘটতি দেখা দেয়।
টেম্পেস্টের বেলায় শারীরিক কোনো পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে মনে করছেন না চিকিৎসকেরা। মানসিক অবসাদ থেকে তাঁর এই ক্ষতিকর অভ্যাসটি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। টেম্পেস্ট অবশ্য মানসিক অবসাদে ভোগার কথা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধু জেসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পর থেকে তিনি সত্যিই অবসাদে ভুগছেন।
’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।