এইচ এস সি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় কারা জানো? যারা ফেল করে তারা । কারণ শুনবে?
১। ফেল করলে পুনরায় ইম্প্রুভ দেয়া যায়, সুতরাং যাদের মধ্যে কনফিডেন্স আছে তারা ভালো করে পড়লে পরেরবার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। মাঝখান থেকে লাভ একই বই তিনবছর ধরে পড়ার কারণে অপেক্ষাকৃত বেশি আয়ত্তে আসে, ফলে ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়।
২।
গোল্ডেন এ+ পেয়েও অনেকে কোথাও চান্স পায়না, আর তুমি যদি ফেল করেও পরেরবার ভালো জায়গায় চান্স পাও, তাহলে কার মূল্য বেশি?
৩। অনেকেই এতদিন ধরে "রেজাল্ট খারাপ করলে তোমার বন্ধুরা তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে, তোমাকে চিনবেনা" টাইপের উপদেশ দিয়েছে। মজার ব্যপার হলো, তোমার কাছের বন্ধুরা কখনই তোমাকে ছেড়ে যাবেনা, ছেড়ে যাবে শুধু ঐ উপদেশওয়ালারাই। সুতরাং কে তোমার আসল শুভাকাঙ্ক্ষী সেটি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারবে।
৪।
কথায় আছে "বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। " তুমি যদি ভালো স্টুডেন্ট হতে, তোমার আশেপাশে বন্ধুর অভাব হতো না, সবাই তোমাকে তোয়াজ করে চলত। ফেসবুকের উদাহরণ দিয়েই বলি, প্রোফাইলে একবার Studies in BUET/DMC/DU টাইপের লেখা দেখলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টের অভাব হতোনা, "আমি মুড়ি খাই" টাইপের স্ট্যাটাস দিলেও সেখানে পঞ্চাশোর্ধ্ব লাইক পড়ত। এমনকি হয়তো কোন এক কালে দুই ঘন্টার পরিচয় যাদের সাথে, তারাও দেখতে কোথায় কোথায় থেকে জানি মেসেজ দিচ্ছে, ফোন দিচ্ছে, তোমার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে। সুতরাং তারা কিন্ত তোমার পিঠে ঝুলানো ঐ ভালো প্রতিষ্ঠানের ব্যনারকেই ভালোবাসত, তোমাকে নয়।
তুমি কখনই বুঝতে পারতেনা তোমার আসল বন্ধু কে, কিন্তু এখন এই দুঃসময়ে যাদের পাশে পাবে, তাদেরকে সারাজীবনই পাশে পাবে। তারাই তোমার আসল বন্ধু।
৫। তোমার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড, কিংবা যাকে তুমি ভালবাসো, কিংবা যে তোমাকে ভালবাসে... সবাইকেই চেনার এটিই মোক্ষম সময়।
৬।
ফেল পরবর্তী সময়ে মাথায় অনেক আইডিয়া আসে। ঠিক এই সময়েই নিজের জীবনের আসল লক্ষ্য সম্পর্কে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা যায়, যা ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক বড় কিছু হওয়ার পাথেয় হিসেবে কাজ করে।
৭। এই এক বছর পদে পদে কঠিন কিছু বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে, মনের অহংকারগুলো ভেঙ্গে চূর্ণ হয়ে যাবে। আবেগের ভেলায় ভাসার আর সুযোগ পাবেনা, একটু একটু করে মানুষ চিনতে শুরু করবে, যা তোমাকে একজন খাঁটি বাস্তববাদী মানুষে পরিণত করবে।
মনে রাখবে, দুই বছর ধরে পড়তে দেয়া বারোটা বই তোমাকে যাচাই করার মাপকাঠি হতে পারে না। "খারাপ ছাত্র মানেই খারাপ/নিষ্কর্মা মানুষ" -এই টাইপের মনোভাবওয়ালা প্রতিবন্ধী সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগাও। নিজের ভুলগুলো শুধরে আর একটা বছর পরিশ্রম করো, সাফল্য তোমার সুনিশ্চিত।
আর একটা কথা মনে রাখো, আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। পারলে দু' রাকাত শুকরিয়ার নামাজ পড়ে মোনাজাত ধরে বলো, "হে আল্লাহ, সবকিছুর জন্যই আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ।
" দেখবে আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।