আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত শালিকের ডায়েরী-২

আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
১. প্রত্যন্ত শহুরে ছাদে ভিড় জমানো রোদেরা সম্প্রতি একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলো আমাকে, "কতটুকু দেখতে পাও?" আমি উত্তরটা ভেবে দেবার আগেই ক্ষণিকের উষ্ণতায় গুটিয়ে গিয়েছিলাম শুঁয়োপোকার মতোন। হ্যাঁ, এটুকু নিশ্চিত, দেয়ালঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা সময়ের ওপর ছুরি চালায়, ঠিক যেনো কেটে বসতে থাকে মাখনের ওপর অবিরাম। পরিধেয় বস্ত্রসকল ঘাম শুকিয়ে নির্দ্বিধায় ছড়ায় অনাগত মাঝবয়সের ঘ্রাণ। চারপাশের যন্ত্রগুলো একসাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে আর পুঁথিগুলো থিতিয়ে আসে সকল শব্দ নিয়ে। স্বীকার করে নিচ্ছি, সমানভাবে সম্মোহনী ছিল কোমরের বাঁক, উল্কা, দেয়ালচিত্র এবং বন্ধ জানালা; আর এখন, ক্যালেন্ডারের পাতায় আটকে থাকি জুন মাসে।

২. সম্প্রতি বিকেলগুলোকে মনে হচ্ছে ভীষণ দীর্ঘায়িত; এ ব্যাপারে দোষী সাব্যাস্ত করছি নাগরিক হয়ে যাওয়া সূর্যাস্তকে; রোজ দুপুরে আমার ঘুম ভেঙ্গে দেয়া অত্যুৎসাহী যান্ত্রিক করাত, ড্রিলমেশিন এবং হাতুড়ে শব্দগুলোকে নয়। তাই অন্দরমহল নির্মাণকাজে ব্যবহার করি ইটের বদলে সর্ষে তেলে ভেজে নেয়া পোড়ামাটির ফলক; প্রশস্ত রাজপথের কোন এক বিপন্ন প্রান্তে ইদানীং নিভৃতে পালক আঁচড়াই, একমুখী শহুরে প্রবাহ দেখি এবং আপনমনে ভাবি... সূর্যাস্তটা বিপথগামী। ৩. ইদানীং সংকল্পগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে অযথাই, এই তো গতকাল একজন রাত্রিবিরোধী মানুষকে টানা ছ'ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখলাম সূর্যোদয়ের। তার দিকে চেয়ে অবশেষে আলতো করে মাথা ঝাঁকিয়ে ফিরে এসেছিলাম শয্যা নামক রণক্ষেত্রে। ৪. হ্যাঁ, অবশেষে ভাড়া দিচ্ছি আমার বুড়ো আঙুলগুলো এবং ডানচোখ।

বিনিময়ে প্রতিমাসে প্রথম হপ্তার শনিবারটিতে ভদ্রলোকের মতোন হিসেব মেটাতে হবে একঝুড়ি নতুন রোদ নিয়ে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নোক্ত ঠিকানাগুলোয়... স্থায়ী ঠিকানাঃ সন্ধ্যাক্রান্ত কোন মফস্বলের বিষণ্ণ প্রান্ত। অস্থায়ী ঠিকানাঃ কোন প্রত্যন্ত শহুরে ছাদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।