আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।
১০০ হাঁস খেয়ে সাবাড় করার পর অবশেষে মেছোবাঘটি ফাঁদে ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওর এলাকার বাইক্কা বিলের পাশে। হাঁস খামারের মালিক মো. আব্দুল মতিন জানান, বাইক্কা বিল এলাকায় তার একটি হাঁসের খামার রয়েছে। খামারটিতে রয়েছে প্রায় ৫০০ হাঁস।
গত ২ মাসে প্রায় ১০০ হাঁস খেয়ে ফেলেছে এই মেছোবাঘটি। দিশেহারা হয়ে খামারের মো. মালিক আব্দুল মতিন গত মঙ্গলবার রাতে একটি লোহার খাঁচা এনে তার খামারে ফাঁদ পেতে রাখেন। খাঁচার ভেতর মেছো বাঘের খাবার হিসেবে একটি হাঁসও বেঁধে রাখেন। রাত ঘনিয়ে আসলে আনুমানিক দু’টার দিকে মেছোবাঘটি হাঁস খাওয়ার জন্য খাঁচার ভেতর ঢুকেলে আব্দুল মতিন খাচার দরজা বন্ধ করে দেন। মেছো বাঘটি তখন খাঁচা থেকে মুক্ত হতে ছুটাছুটি ও লাফালাফি শুরু করে।
এতে মেছো বাঘটি সামান্য আহত হয়। পরদিন সকালে শ্রীমঙ্গলের মিনি চিড়িয়াখানায় সংবাদ দিলে চিড়িয়াখানার পরিচালক সীতেশ রঞ্জন দেবের পুত্র সজল দেব মেছো বাঘটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসেন। সজল দেব জানান, মেছো বাঘটির চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে এটিকে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেড়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপরে সীতেশ রঞ্জন দেব বরেন, বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য লাউয়াছড়া এখন প্রাণীকুলের জন্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
তিনি । তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে এসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে এবং স্থানীয় এলাবাসীর হাতে ধরা পড়ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।