"সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
▼ ▼ আমি একটা কন্টেইনারবাহী জাহাজে চাকুরি করি। জাহাজটা বেশি বড় না। ১৩০ মিটারের একটা বাংলাদেশী ফিডার ভেসেল। ফিডার ভেসেলগুলো সাধারণত সাইজে ছোট হয়।
আমার জাহাজটা ছোট হলেও খারাপ না। ঝামেলা মুক্ত ঝরঝরে একটা জাহাজ। কন্টেইনার জাহাজের মাদার ভেসেলগুলো অনেক বড় হয়। একেটা মাদার ভেসেল ৪০০-৫০০ মিটার লম্বা, ধারন ক্ষমতা ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ ইউনিট কন্টেইনার (প্রায়)।
কন্টেইনার জাহাজে চাকরি করার কিছু সুবিধা আছে।
যেমন- কন্টেইনার জাহাজগুলো কন্টেইনার লোডিং ডিসচার্জ করার জন্য কিছুদিন পরপর সরাসরি পোর্ট টাচ করে- যেখানে ওয়েল ট্যাংকার কিংবা জেনারেল কার্গো ভেসেলগুলো অনেক সময় সরাসরি পোর্টে না ঢুকে আউটারে এংকরে তাদের কার্গো ডিসচার্জ করে।
আর আরেকটা বড় সুবিধা হল- কন্টেইনার জাহাজগুলো বেশির ভাগ ফিক্সড রুটে চলাচল করে যেখানে ওয়েল ট্যাংকার কিংবা অন্য জাহাজের কোন ফিক্সড রুট বেশির ভাগ সময় থাকে না। তারা আজ এই দেশে কাল ঐ দেশে। কোম্পানি যখন যেখানে পাঠায় তখন সেখানে যেতে হয়।
যাই হোক আমার জাহাজের রুট খুব সুন্দর।
বংলাদেশ- সিঙ্গাপুর- মালায়শিয়া- বাংলাদেশ। দেশী জাহাজ বাংলাদেশের পোর্ট টাচ করে বলে মেরিন অফিসার / ইঞ্জিনিয়াররা দেশি জাহাজে কম বেতনে, কম সুযোগ সুবিধায় চাকুরি করেন।
আমার জাহাজের অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার এবং সাধারন ক্রু সবাই বাংলাদেশী। খারাপ লাগে না। বাহিরের জাহাজে চাকরী করলে বেশীর ভাগ সময় মাল্টি ন্যাশনাল ক্রু থাকে তাই খাওয়াদাওয়ার একটা সমস্যা থেকে যায়।
কিন্তু আমাদের জাহাজে সে সমস্যা নেই বললেই চলে। সবাই বাংলাদেশী এবং খাবারও বাংলাদেশী খাবার।
▼ ▼ জুলাই ২০০৯ এর একটা বিকাল। জাহাজ সিংগাপুর পোর্ট থেকে ছাড়ল আজ ২ দিন। সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে যেতে আমাদের ৫ দিন লাগে।
এই পাঁচ দিন টানা জাহাজ চলে। জাহাজের রানিং অবস্থায় জাহাজের দুই ডিপার্টমেন্ট (ডেক – ইঞ্জিন)-এর তিন জন অফিসার এবং তিন জন ইঞ্জিনিয়ার প্রতিদিন আট ঘণ্টা (৪+৪) ডিউটি করেন।
জাহাজ এখন আন্দামান সাগরে।
বিকেল ৫ টা।
নেভিগেশান ব্রিজে আমি এবং আমার চিফ অফিসারের ডিউটি চলছে।
জাহাজ ফুল লোড করা আছে।
সাগরের অবস্থা বেশি সুবিধার নয়। এই আন্দামান সাগর মে, জুন, জুলাইতে খুব রাফ হয়ে যায়। সাগরে এখন মাঝারি আকারের ঢেউ। জাহাজ হালকা পাতলা রোলিং পিচিং করছে (ঢেউ এর জন্য জাহাজ ডানে বামে /সামনে পিছনে গড়াগড়ি করে- একে রোলিং পিচিং বলে)।
রোলিং পিচিংএ যে সমস্যাটা হয় তা হল অনেক সময় বমি বমি লাগে, মাথা ভার হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। এটা খুব বড় একটা সমস্যা। অনেকেই এই রোলিং পিচিং সহ্য করতে পারেন না।
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে টিপটিপ করে।
আকাশে প্রচুর মেঘ। বাইরে বাতাসের গতি অনেক। আমি চিফের সহকারী / তার আন্ডারে ট্রেইনি অফিসার। আমার চীফকে ভালই রোলিং পিচিংএ ধরছে। বেচারা বেশি রোলিং পিচিং সহ্য করতে পারেন না।
উনি পাইলট চেয়ারে বসে রাডারের দিকে চেয়ে আছেন। আশেপাশে কোন জাহাজ নেই। আমি ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে লুক আউট করছি। মাঝেমাঝে শিপের পজিশন নিচ্ছি।
এমন সময় আমাদের জাহাজের ক্যাপ্টেন ব্রিজে আসলেন।
চিফ অফিসার চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
ক্যাপ্টেন সেট সি থেকে ওয়েদার রিপোর্ট নিয়ে চোখ বুলালেন।
তারপর চিফ অফিসারকে বললেন- “মামুন, ওয়েদার রিপোর্ট তো ভাল না, সামনে একটা নিম্নচাপ আছে। আমারা মনে হয় আজ রাতেই ওটাকে ফেস করব”।
চিফ বললেন-“জি স্যার, রিপোর্ট আমিও দেখেছি।
“
ক্যাপ্টেন বললেন-“হুম। দেখা যাক কি হয়। আমি একটা নাইট অর্ডার লিখে দিচ্ছি। থার্ড অফিসার ডিউটিতে আসলে তাকে বলবা কোন সমস্যা হলে যেন আমাকে ডেকে দেয়। “
চিফ বললেন-“ঠিক আছে স্যার”।
▼ ▼ রাত ৮ টা।
আমার আর চিফ অফিসারের ডিউটি শেষ। আবার ভোর ৪ টায়। চিফ অফিসার থার্ড অফিসার কে ডিউটি হ্যান্ড অভার করলেন। আমরা ব্রিজ থেকে নিচে নেমে এলাম।
অন্যদিন ডিউটি শেষ করে আমরা অফিসারস মেচরুমে বসে টি ভি দেখি, কিন্তু আজ আর কেউ টি ভি দেখতে গেলাম না। বাইরে অশান্ত সাগর। জাহাজ একবার এপাশ আরেক বার ওপাশ হচ্ছে। রোলিং পিচিং এর কারনে মাথা ঘুরছে। ব্রিজে দেখে এসেছি জাহাজ পুরা ৮-১০ ডিগ্রি রোলিং করছে।
এত বড় জাহাজে ৮-১০ ডিগ্রি রোলিং মানে বিশাল ব্যাপার।
আমি আমার কেবিনে এসে ইউনিফর্ম ছেড়ে ফ্রেশ হলাম। মাথা ঘুরছে। আমাকে রোলিং পিচিং ধরে কম। তবুও আজ একটু বেশি খারাপ লাগছে।
কেবিনের পোর্ট হোল (জাহাজে জানালাকে পোর্ট হোল বলে) দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি পড়ছে অনেক।
আমি দেরি না করে লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম।
শুয়ে ঘুম আসছে না। ওয়েদারের যে অবস্থা ভয় লাগছে একটু একটু।
জাহাজের কিছু হলে লাইফ বোট আছে সত্যি কিন্তু এই ঝড়ের রাতে সে লাইফ বোট কত টুকু কাজে লাগবে কে জানে। এই ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম।
▼ ▼ ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। কিন্তু হটাত বিকট একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তাড়াতাড়ি লাইট জ্বালিয়ে দেখি আমার রুমের বড় ষ্টীলের চেয়ারটা পড়ে গেছে মেঝেতে।
জাহাজ অসম্ভব রোল করছে। আমার টেবিলের উপরে রাখা বই গুল সব ফ্লোরে পড়ে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ০৩৩০। একটু পড়ে আমাকে আবার ব্রিজে যেতে হবে। ডিউটির সময় হয়ে গেছে।
রোলিং এর কারনে আবার মাথা ভার হয়ে আছে। পোর্ট হোল দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে এখনো। একটু পর পর বাজ পড়ছে। জাহাজের রোলিং বেড়ে গেছে বুঝতে পারছি।
ঠিক ০৩৫০ তে ব্রিজে গেলাম।
গিয়ে দেখি ব্রিজে ক্যাপ্টেন, সেকেন্ড অফিসার আর একজন এ বি (এবল সি ম্যান) দাঁড়িয়ে আছেন। এবি জাহাজের স্টিয়ারিং হুইল ধরে আছেন। বুঝতে পারলাম- জাহাজের অটো পাইলট ফেল করছে। (সাধারন অবস্থায় জাহাজের অটোপাইলটে চলে, জাহাজের কোর্স সেট করে দিলে অটো পাইলট নিজে নিজে জাহাজ স্টিয়ারিং করে)। তারমানে এখন জাহাজ হ্যান্ড স্টিয়ারিং করে চালাতে হবে।
ঠিক ৪ টায় চিফ ব্রিজে আসলেন। ওনার চেহারা দেখে বুঝতেছি যে ওনার অবস্থা খারাপ। রোলিং পিচিং ওনাকে ভালই এফেক্ট করছে।
চিফ ক্যাপ্টেনকে বললেন-“স্যার, আমি ডিউটি করতে পারব না। আমার অবস্থা ভাল না।
“ বলেই ওয়াক ওয়াক করে উঠলেন।
ক্যাপ্টেন বললেন-“ওকে তুমি যাও, আমি আর ক্যাডেট আছি। সমস্যা নাই। “
ক্যাপ্টেনের সাথে ওয়াচ করতে হবে শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। এমনিতেই আমি ক্যাপ্টেনকে ভয় পাই।
বেশ রাশভারি মানুষ উনি। কখন কি জিজ্ঞাস করেন কে জানে।
ধুর!! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল আমার।
চিফ আর সেকেন্ড অফিসার চলে গেলেন। এবি-র ও ডিউটি শেষ।
আরেকজন এবি ডিউটিতে আসল।
ক্যাপ্টেন এবিকে বললেন-“জাকির, টেক দ্যা স্টিয়ারিং”।
জাকির অন্য এবি থেকে স্টিয়ারিং হুইল আর শিপ কোর্স বুঝে নিল।
তারপর বলল-“হুইল টেকেন ওভার। নাউ দ্যা শিপ কোর্স ইজ থ্রি থ্রি নাইন স্যার”।
ক্যাপ্টেন পাইলট চেয়ারে বসতে বসতে বললেন- ক্যাডেট চেক দ্যা কোর্স।
আমি মনোযোগ দিয়ে জাইরো কম্পাস দেখে বললাম- শিপ কোর্স ইজ ওকে স্যার’
ক্যাপ্টেন এক দৃষ্টিতে রাডারের দিকে তাকিয়ে আছন। আমি বাইরে লুক আউট করছি। জাহাজ ১২-১৪ ডিগ্রি রোল করছে। নিয়মানুসারে ১০ মিনিট পরপর আমি ব্রিজের এ আই এস, জি পি এস, এনামো মিটার ইত্যাদি চেক করে ক্যাপ্টেনকে রিপোর্ট করছি।
ক্যাপ্টেন আমার রিপোর্টের জবাবে হাঁ হু করছেন আর এক দৃষ্টিতে রাডারে তাকিয়ে আছেন।
জাহাজ ভালই চলছিল। ঠিক ভোর ০৫১০ এ অবস্থা আরও খারাপ হল। বাইরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ভিজিবিলিটি পুরা জিরো।
বাতাসের গতি বেড়ে গেছে। ভয়াভহ অবস্থা। ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। এবি জাকির অনেক কষ্টে স্টিয়ারিং হুইল ধরে আছে। বেচারা রোলিং এর সাথে সাথে একবার এদিকে আরেক বার ওদিকে যাচ্ছে।
আমি শক্ত করে ব্রিজের একটা টেবিল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ব্রিজের মৃদু আলোয় বুঝতে পারলাম ক্যাপ্টেনের মুখ শক্ত হয়ে আছে।
একমোডেশান থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ আসছে। রোলিং এর কারনে মাথা ঘুরছে অসম্ভব ভাবে। মাথার ভেতরটা ফাকা ফাকা লাগছে।
ইচ্ছে করছে বসে পড়ি ফ্লোরে কিংবা কোন চেয়ারে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের সামনে বসা যাবে না। মনে হচ্ছে বমি করে দিব এখনই।
ক্যাপ্টেন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। বাইরে অনবরত বাজ পড়ছে সাথে আছে বৃষ্টি আর বাতাসের শব্দ।
কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না।
আমাকে গলা উঁচু করে আমাকে বললেন বললেন- ক্যাডেট, তুমি রাডারে চোখ রাখ।
আমি বললাম- ওকে স্যার।
এটা খোলা সমুদ্র ঠিক আছে, ট্রাফিক কম এখানে। আশেপাশে জাহাজ বেশি নাই তাই রক্ষে।
নয়ত এই ঝড়ের মাঝে বাইরে কি আছে কিচ্ছু বুঝা যায় না, জাহাজের রাডারের ও অবস্থা খুব খারাপ। পুরান আমলের জিনিস। কাজ চলে যায় কোনমতে।
ক্যাপ্টেন এই ঝড়ের মাঝে ব্রিজ উইং এ গেলেন। সাহস আছে বটে লোকটার।
সাহস না থাকলে কি আর এমনি এমনি এত অল্প বয়সে ক্যাপ্টেন হয়েছেন উনি!!
জাহাজ তখন ১৬-১৮ ডিগ্রি রোলিং করছে। দাঁড়িয়ে থাকার কোন জো নেই। ভয়ানক কষ্ট হচ্চে। মনে হচ্ছে মাথা ছিঁড়ে পড়ে যাবে। দাঁতে দাঁত চেপে কোনমতে বমি আটকে আছি।
ক্যাপ্টেন ব্রিজ উইং থেকে কি যেন দেখে তাড়াহুড়ো করে ফিরে এলেন। উনি পুরা ভিজে গেছেন।
তারপর এবি জাকির কে বললেন-“রিডিউস দ্যা সিপ কোর্স টু টু নাইন জিরো।
একটু পর জাকির বলল-“নাউ শিপ কোর্স ইস টু টু নাইন স্যার’
ক্যাপ্টেন বললেন-“এই কোর্স স্টেডি রাখ হুইল।
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন- “আমরা আমাদের নরমাল কোর্স বাদ দিয়েছি, এখন সি ওয়েভকে হেড করেছি, এতে জাহাজের রোলিং কমে যাবে।
এ ছাড়া কোন উপাই নাই। সাগর ভাল হলে কোর্স এডজাস্ট করে নিব।
আমিও খেয়াল করলাম, জাহাজ যদিও পিচিং করছে খুব কিন্তু এখন রোল কম করছে। উফ! ভয়ানক অবস্থা। মনে হচ্ছে কেউ জাহাজটিকে একশত হাত উপরে তুলছে আবার ধাপ করে ছেড়ে দিচ্ছে।
ঢেউএর বাড়ির সাথে সাথে পুরো জাহাজ কেঁপে কেঁপে উঠছে। আমি আল্লাহকে ডাকছি।
ক্যাপ্টেন স্যারের মুখে এখন কোন ভাব বুঝা যাচ্ছে না। উনি আবারও এক দৃষ্টে রাডারের দিকে তাকিয়ে আছেন। এভাবে আরও এক ঘণ্টা যাবার পর মনে হোল আকাশ একটু ফর্সা হচ্ছে।
মানে ভোর হচ্ছে। আমি আর পারছি না। ক্যাপ্টেন স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন-“তোমার খারাপ লাগলে কেবিনে চলে যাও। ভোর হয়ে গেছে। আর লাগবে না তোমাকে।
আমি সুধু বললাম- থেঙ্ক ইউ স্যার।
বলেই এক দৌড় দিলাম। আমার বাথরুমে ঢুকে ওয়াক ওয়াক করে বমি করে ফেললাম।
উফ! মনে হচ্চে মাথা ছিঁড়ে যাবে। তারপর কুলি করে ইউনিফর্ম ছেঞ্জ না করেই সোজা বিছানায়।
আর কিছু মনে নেই আমার। বোধ হয় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।
================================
সবশেষে - সকাল ১১ টায় ওয়েদার ভাল হল। জাহাজকে আবার নিজের কোর্সে ফেরত আনা হল। অতঃপর কোনোরূপ বিপদ ছাড়াই আমারা চিটাগং গেলাম।
আসলে লিখাটি পড়ে সমুদ্রের ঝড়ের হিংস্র রুপ বুঝতে পারবেন না। এই ভিডিও টি দেখুন- কিছুটা বুঝতে পারবেন মনে হয়-
আমি আরও ঝড়ের পড়েছি কিন্তু ঐ রাত্রির মত ভয়ানক ঝড়ে আর কখনই পড়ি নাই আমার সমুদ্র জীবনে।
এত ঝড়, জীবনের এত রিস্ক- তবুও নাবিকরা বার বার ছুটে যায় সমুদ্রে।
কারন কি জানেন??
কারন হল- সমুদ্র আমাদের বেঁধে রাখে অদৃশ্য এক মায়া জালে। সে মায়ায় পড়ে নাবিকরা বার বার ছুটে যায় নীল সমুদ্রে।
বড়ই কঠিন সে মায়া।
ভাল থাকবেন সবাই।
================================
@ মোডু- আমাদের প্লাস মাইনাচকে ফিরিয়ে আনুন প্লিজ! প্লাস মাইনাচ ছাড়া লিখে মজা পাচ্ছি না। এই লেখাটা হয়ত আরও আকর্ষণীয় করে লিখতাম যদি প্লাস মাইনাচ থাকত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।