শনিবার তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত ঐতিহ্যগতভাবে পরস্পরের অংশীদার। আমরা চাই, ত্রিপুরায় আরো বেশি বাংলাদেশি বিনিয়োগ আসুক। ”
বাংলাদেশ ও ভারত ‘পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল’ মন্তব্য করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী এই দুই দেশের উচিৎ নিজেদের সম্পদ ও সুবিধা ব্যবহারে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ অনেকটা গতি পেয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পোশাক ও কাঁচা পাটসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
মানিক সরকার বলেন, “আমি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি, পালটানায় স্থাপিত ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট দিতে ত্রিপুরা প্রস্তুত আছে। ”
মানিক সরকারের বাম ফ্রন্ট সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের জন্য বরাবরই ভারতের কেন্দ্র সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি ত্রিপুরায় ব্যবসা শুরু করেছে, যার মধ্যে প্রাণ ও নিটোল-নিলয় গ্রুপও রয়েছে।
ত্রিপুরার আনারস থেকে জুস তৈরির জন্য আগরতলার কাছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বসাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। এজন্য বাংলাদেশি এ কোম্পানিকে দুই একর জমিও বরাদ্দ দিয়েছে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন।
এছাড়া আগরতলার একই এলাকায় ৭০ কোটি রুপির একটি টায়ার তৈরির কারখানা খোলার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশের নিটোল-নিলয় গ্রুপ।
ত্রিপুরায় একটি কাগজ কল স্থাপনের বিষয়েও বাংলাদেশি এ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।
আগরতলা চেম্বার অব কমার্সের এম এল দেবনাথ বলেন, “আমাদের এখানে পর্যাপ্ত কাঁচামাল রয়েছে। এখানে কাগজ কল খুললে তা হবে নিটোল গ্রুপের জন্য একটি ভাল বিনিয়োগ। ”
ত্রিপুরায় আরো অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।