আমি কাউকে অন্যায় করতে দেখি তখন আমার খুব খারাপ লাগে আমি চেষ্টা করি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ৮ বছরে অর্জিত সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। তিনি বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক লারিজানির কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছেন।
২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সম্পদে যে পরিবর্তন এসেছে, তা হলো- তিনি তার পুরোনো বাড়িটি পুনর্নিমাণ করেছেন। তবে বাড়িটি পুনর্নিমাণের জন্য তিনি ব্যাংক ও প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ফান্ড থেকে ঋণ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ফান্ড ও ব্যাংক থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য অসংখ্য মানুষ ঋণ নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টও সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে সেই ঋণ নিয়েছেন। ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোন ধরনের প্রভাব খাটাননি। একইসঙ্গে বাড়ি পুনর্নিমাণের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনরাও সহযোগিতা করেছেন।
পুনর্নিমিত দুই তলা ভবনে চারটি ফ্লাট রয়েছে। ওই ভবনেই তিনি ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করবেন।
যে জমিতে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটার আয়তন মাত্র ১৭৫ বর্গমিটার। জমিটুকু বাবার কাছ থেকে পাওয়া। এরইমধ্যে তিনি সরকারি বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন।
আজই প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের দায়িত্বের শেষ দিন। আগামীকাল ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. রুহানি সংসদে শপথ নেবেন।
ড. আহমাদিনেজাদ মোট আট বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৫ সালে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় আসেন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাধারণ জীবনযাপনের পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।