১৯৯৮ সাল থেকে কক্সবাজারে যাই নিয়মিত । ঘোরাঘুরি করি সব জায়গাতে । কোন এক পূনির্র্মাতে প্রেমে পড়েছিলাম " এনজেল ড্রপ " নামে রেষ্টুরেন্টের । পূর্নিমা বসে আমার প্রিয় নুডুলস আর কফি । কখনো একা কখনো বন্ধুদের সাথে ।
সবাইকে বলি যেন সন্ধ্যার পূর্নিমাকে উপভোগ করে " এনজেল ড্রপ " রেষ্টুরেন্টে । ভ্রমণ বাংলাদেশের " টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৮৫ কিমি হাঁটা " উপলক্ষে এবার গিয়েছিলাম কক্সবাজার । হাঁটা শেষ করে সন্ধ্যাটাকে আনন্দময় করে তুলতে গিয়েছিলাম " এনজেল ড্রপ " এ । চিকেন সালাদ , সু্প আর স্পাইট অর্ডার করলাম । খাবার আসার পর দেখলাম সু্পের বাটি আর্ধেক ।
সুপে মাসরুম দেয়া । মাসরুমে অনেকের এর্লাজি থাকে তাই মাসরুম দেয়ার আগে জেনে নিতে হয় খাবারে মাসরুম দেয়া হবে কিনা । কিছু সার্টিফিকেটধারী অশিক্ষিত বাঙ্গালী ব্যবসা বোঝে না । তারা মনে করে ব্যবসায় একবার নাম হয়ে গেলে কোয়ালিটি খারাপ করলেও পাবলিক তা খাবে । খুব মন খারাপ হলো যখন দেখলাম স্পাইটে পানি ।
আমরা শরীর খারাপ ছিল প্রায় ১১ দিন । যখন স্পাইট মুখে দিলাম তখন বিস্বাদ লাগলো । তখন সুমন আর খুকু আপাকে বললাম টেষ্ট করতে । তারাও পান দেখলো একই স্বাদ । ওয়েটারকে বললাম সে তার ভুল বুজলো ঠিক কিন্তু স্বীকার করলো না ।
সুমন বলাতে সে বদলালো স্পাইট । মেজাজ খারাপ হলো । চলে আসলাম সেখান থেকে । সাথে একরাশ বিরক্তি আর খারাপ লাগা । শালা জাতিটার মধ্যে খালি ভেজাল ।
আমার পূর্ব পুরুষরা নাকি রাশিয়া থেকে এসেছে । শালা আমার মধ্যেও ভেজাল ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।