তবে রিটকারী হজযাত্রী রেজাউল ইসলামের ক্ষেত্রে হাই কোর্টের আদেশ বহাল থাকবে; অর্থাৎ তিনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী এয়ারলাইন্সে করে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
বেসামিরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের এক আবেদনে চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী আট সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এদিন আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদালতের আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেম্বার বিচারপতি আট সপ্তাহের জন্য হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন। তবে তিন রীটকারীর মধ্যে প্রথমজনকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী এয়ারলাইন্স বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল সরকারের হজ সংক্রান্ত এক সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১৩ সালে কেবল সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহন করা হবে।
ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হজযাত্রী রেজাউল ইসলাম, আল মাহমুদ ট্রাভেলসের স্বত্ত্বাধীকারী আব্দুল কবির খান ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাধারণ সম্পাদক গত মাসে এই রিট আবেদন করেন।
এর ওপর প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ সোমবার যে কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
সরকারের ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করে আদালত।
বাংলাদেশ সরকার, ধর্ম সচিব ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, কেবল দুটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত ‘কম্পিটিশন অ্যাক্ট-২০১২’ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেবল দুটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহন করলে টিকেট পেতে তাদের ওই দুটি বিমান সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়। এ ধরনের ‘মনোপলি’ সৃষ্টি করার মতো কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। আর ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২১ অক্টোবর।
হাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল কবির খান জানান, ৬২৯টি এজেন্সি এবার হজে যাত্রী পাঠাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।