আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রি পোস্ট- এই প্রতারক থেকে সাবধান-২৪তম বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে প্রতারনা

কিছু কথা কিছু গান

প্রতারক নজরুলের ছবিঃ এক বাসায় কাস্টমস কর্মকর্তা,আরেক বাসায় ম্যাজিস্ট্রেট,আর নিজ এলাকায় এসপি। এভাবেই নিজেকে পরিচয় দেন মীরপুর রূপনগর এলাকার নজরুল ইসলাম। সে নিজেকে একজন ২৪তম বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে চাকরি,বিদেশ পাঠানো,বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতারনা করে চলেছে। সাবেক এই বিএনপি কর্মী এখন জাদরেল আওয়ামিলীগার। পল্লবী থানা আওয়ামি লীগের এক নেতার খুব কাছের সে।

মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য নজরুল ও তার সহযোগীরা এনবিআর,দুদক কর্মকর্তা,ম্যাজিস্ট্র্যাট পরিচয় দিয়ে ফোন করেন । ফোন করার সময় নিজেকে ২৪ তম বিসিএস ক্যাডার(আবগরি ও শুল্ক) পরিচয় দেন। তার পরিচয়ের সত্যতা প্রমানের জন্য তার সহযোগীরা সচিবালয়ের কয়েকজন উপসচিব ও যুগ্ম সচিবের নামে ফোন দেয়। এত সাধারন য কোন পুলিশ বা য়েকবর্তমানে মীরপুরের কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার মাধ্যমে তিনি বড় আওয়ামী লীগার। জানা গেছে,এক সময় সাবেক সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের তদবিরবাজি দলের অন্যতম সদস্য এই নজরুল।

প্রতারকের ছবি নিচে দেয়া হল নজরুলের পরিচয়ঃ নজরুলের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিং জেলার গফরগাঁও থানার আউটবাড়িয়া গ্রামে। বাবার নাম বেলায়েত হোসেন শিরীষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,নজরুল ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ১৯৯৬ সালে সে ঢাকায় এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বাসায় কাজের লোক হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে সেই কর্মকর্তা সচিব পর্যায়ের একজন(সম্মানিত তাই নাম দিলাম না)।

এই সচিবের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে সে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এখন তাদের(সরকারি কর্মকর্তাদের) নাম ভাঙ্গিয়ে নজরুল তদবির বাজিতে লিপ্ত হয়। ২০০২ সাল থেকে বাবরের তদবির বাজ দলের সাথে যুক্ত হয়। এভাবে বেশ কয়েক জায়গা থেকে পুলিশে চাকরি দেয়া,বিদেশে লোক পাঠান,ভূমি জালিয়াতি ইত্যাদি কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মীরপুরের রুপনগর ও দূয়ারীপাড়া এলাকায় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।

২০০৭ সালে প্রতারনার জন্য গফরগাঁও থানায় ৩টি মামলা হয়। একই বছর মে মাসে ঢাকার পল্টন থানায় ৪০ লাখ টাকার প্রতারণার মামলা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি থানায় তার নামে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে প্রতারনার মামলায় গফরগাঁও থানায় গ্রেপ্তার হয়। তাকে গফরগাঁও থানায় পুলিশ প্রতারক লিখে পুরো বাজার ঘোরায়।

এর পর থেকে তার গ্রামের লোক তাকে চোরা নজরুল,বাটপার নজরুল হিসেবে পরিচিত। নজরুলের সিন্ডিকেট নজরুলের অন্যতম সহযোগী তার স্ত্রী সেলিনা,নার্গিস নাম্নী এক মহিলা,খলিল, গফরগাও থানার সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার আশরাফ,আওয়াল,লতিফ। তারা ভূয়া পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাট কিনে দেয়া,চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারনা করে। এমনকি এই ভুয়া পরিচয় দিয়ে নজরুল দূয়ারীপাড়া আণবিক শক্তি কমিশণ হাউজিংয়ে প্লট নেয়। বাসার নাম ইসলাম মঞ্জিল,বাসা নং-৪৯,রোড ৩/৩।

এ এলাকায় নিজেকে এনবিআর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। কোন বাসায় কি পরিচয় খোজ নিয়ে জানা যায়,নজরুল ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করে। ২০০৮সালে মীরপুরের কালশীতে সাংবাদিক আবাসিক কলোনীর ৩ নং রোডের ৭৫নং বাসার চার তলায় কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে থাকত। পরে বর্ধিত পল্লবীর ১ নং রোডে ট্রাস্ট গার্ডেন এ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে থাকত প্রতারক নজরুল। একই এলাকার আরিফাবাদ হাউজিং এর ১ নং রোডে সে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে থাকত।

বর্তমানে নজরুল রুপনগর আবাসিক এলাকায়(আরিফাবাদ হাউজিং) ৩ নং রোডের ৩৮ নম্ব্রর বাসায় থাকে বলে জানায়। কিছু কথা এই প্রতারক বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে ২৪ তম বিসি এসের এন বি আর ,পুলিশ বা দুদকের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ফোন করে। এমনকি তার দলের কোন সদস্য ধরা পড়লে সে এই পরিচয় ব্যবহার করে। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই চক্র তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। কারন হিসেবে ভূক্তভোগীরা জানান,নজরুল তার গাড়ীতে রাজস্ব বোর্ডের পরিচয় ব্যবহার করলেও পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,২৪তম বিসিএস ক্যাডার নামধারী এই ব্যক্তি প্রবাসী শিক্ষা ,প্রবাসী কল্যাণ,খাদ্য ও দুর্যোগ ,ধর্ম,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ রয়েছে। এ কাজে সে কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম ভাংগাচ্ছে। বর্তমানে মিরপুরের রুপনগর এলাকার সুন্দরবন রিয়েল এস্টেট এর নাম ভাঙ্গিয়ে নজরুল ও তার স্ত্রী ভুমি জালিয়াতি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নজরুলের ফোন নম্বর-০১৭৩২৯৯৭৯৯০,০১৭২৯৪৮৮১৭০,০১৬৭৪০০৯১২৪,০১৬৭৩৩০৩০৬০,০১৬৭০৮৩০০২০,০১৯২২৫৩৭০১৮ । আমারে কেউ কিছু করতে পারবেনা আমারে কেউ কিছু করতে পারবেনা।

পুলিশ,এনবিআর,দুদকের বড় বড় লোক আমার বন্ধু। আপনার মত অচল সংবাদপত্রে নিউজ আসলে কিছু হবেনা। টাকা দিয়ে সব কিইন্যা ফালামু। থানা ,ম্যাজিস্ট্রেট কেউ কিছু করতে পারবোনা। লেখেন ,বেশি কইরা লেখেন।

এনবিআর সুত্রে জানা গেছে, এই নজরুল এন বি আর সহকারি কমিশনার না। সূত্র আরও জানায়,নজরুল ২০০৪ সালে কাস্টমসের এমএলএসএস হিসেবে চাকরিচ্যুত্য হয়। বিমান বন্দরে ঘুষ গ্রহণের সময় ধরা পড়ে চাকরিচ্যুত্য হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ,পুলিশ ও রাজস্ব বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় এই প্রতারক দুয়ারীপাড়া ও রুপনগর এলাকায় অভয়ারণ্যগড়ে তুলেছে স্থানীয়দের অভিযোগ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।