mail.aronno@gmail.com
এইসব মিথ্যেরাই কুরে কুরে খায় চোখ! একটি জীবিত টেবিলের পাশে কয়েকটি মৃত-চেয়ার আমার। কোন ঝংকারে কেঁপে ওঠে প্রাচীন তার, কোন দীর্ঘশ্বাসে সরে আসি আরেকটু বিছানার ধারে। পড়ব পড়ব করেই ফুরিয়ে যায় রাত! ফুলের মতই সুন্দর তুমি পোড়ামাটি, উনুনের গর্ভে বেঁচে-বর্তে থাকো, লাল। আমাকে হত্যা করো তুমি পিতা, নতুবা আমারই শরীরে রেখে দেব তোমার মুন্ডু, আর দুর্ঘটনার মতো যে যার সন্তাপ নিয়ে ফিরে যাব গোরে। এই যে আবরণ থেকে রোজ ঝরে যাচ্ছে সুতা, তারাও ফিরে যাবে গর্ভের গভীরে, কোনো না কোনো কোকুনের আশায়।
ওহ রমণী, এতো উলঙ্গ কেন তুমি, কেন তোমার এতো শীৎকার? মাংসের থালা নিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি পাড়ার হোটেলে, আর ফেরি করে দ্যাখো কেমন বিকিয়ে চলেছে শশা জরিনার রোগাটে ভাতার। এইসব লোভনীয় বিজ্ঞাপনই পঙ্গু করেছে আমায়, এইসব সুস্বাদু খাবারই করেছে নির্বীজ। গৃহে গৃহে চাষবাদ হোক লিঙ্গ, আপেল, যৌন-সমাচার। আমার তো হোটেলের পাশেই দোকান, দোকানের পাশে ঘর। যে কোনো ঋতুমতী নারীকে তাই বলতে পারি, ‘আয়নার ওপাশ থেকে দ্যাখো; দ্যাখো, ব্যালকনি থেকে যেভাবে দেখে লোভাতুর গৃহিনীসকল।
’ পোষা বেড়ালটাকেই না হয় ফিরিয়ে দাও আদর, ফিরিয়ে দাও কুকুরের কাছে তোমার আলজিভ। বীর্যপাত শেষ হয়ে গ্যালে আমিও তো মুতি দেয়ালে, প্রতিবাদের ভাষায়। আমিও তো হাসতে হাসতে উগড়ে দিতে পারি গলিত মাংস, সতেজ ধর্মাচার।
ধুররা ঘুড়িটি রোজ নেমে আসে ঘুমে, অবুঝ শিশুটি প্রতিবারই হারিয়ে ফ্যালে নাগরিক ফিডার। কে কাকে ডাকছি, ‘ওহে মাঝি, পারাপার’; বস্তুত মানুষের হাড়ে হাড়েই ছেয়ে গ্যাছে চরাচর।
খুব সাবলীল এইসব চিৎকার। এতোটা পথ এভাবে ফিরিয়ে দেব বলেই রোজ আমি ঘুরে ঘুরে দেখি, যৌন উত্তেজনা ও যাদুঘর।
২৭ জানুয়ারী ২০১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।