টেস্টটিউব বেরি এবং ক্লোন আবিষ্কারের ফলে নতুন একটি বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। কেউ বলছেন, এসব আবিষ্কারের ফলে মানুষের যৌনক্ষুধা একদিন থাকবে না। নারী-পুরম্নষের মধুর সম্পর্ক থাকবে না। যখন কোন নারী সনত্মান নিতে চাইবে তখন পুরম্নষের সঙ্গে হয়ত তার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে না। এর মানে, মানুষের জৈবিক ক্ষুধা চলে যাবে প্রযুক্তির কাছে।
তখন যে সময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে সে সময় তারা অধিক উপার্জনের দিকে ঝুঁকবে। আগামীর পৃথিবী, মানুষের জীবন ইন্টারনেটে বন্দি হয়ে পড়বে। কেনাকাটার জন্য মানুষকে ঘণ্টার ঘণ্টা সময় নষ্ট করে বাজারে ছুটতে হবে না। যানজটে আটকে থেকে নাভিশ্বাস উঠবে না। সড়কপথে নিরাপত্তাহীনতা থাকবে না।
একটি মাত্র ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে যে কোন কেনাকাটা শেষ করতে পারবে ই-মেইল পদ্ধতিতে। বইয়ের স্তূপ করতে হবে না ঘরে, লাইব্রেরিতে। ইন্টারনেটে পেয়ে যাবে জীবনের সব প্রয়োজনীয় প্রাত্যহিক জিনিসপত্র। এর চেয়ে সহজ জীবনযাত্রা আর কী আছে! আজ থেকে ৫০ বছর পরে চাকরিজীবিদের হয়তো অফিসে যাওয়ার দরকার হবে না। তারা অফিস করবেন বাসায় বসে, অনলাইনে।
ফলে রাসত্মাঘাটে থাকবে না কোন যানজট। হবে না পরিবেশ দূষণ।
বেকার যুবককে চাকরি খুঁজতে খুঁজতে পায়ের স্যান্ডেল ড়্গয় করতে হবে না। ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে পেয়ে যাবে চাকরির খবর। ইন্টারনেটেই দরখাসত্ম পাঠিয়ে দেবে সংশিস্নষ্ট অফিসে।
এড়্গেত্রে যৎকিঞ্চিৎ খরচ হবে বৈকি। তবে ঝুুঁকি-ঝামেলা খুব কম থাকবে।
আজ থেকে ৫০ বছর পরে পৃথিবীতে আধিপত্য বিসত্মার করবে রোবট। বুদ্ধিমান রোবট চলাফেরা করবে অলিতে-গলিতে। নিজের স্বাধীনতায় সে কাজ করবে।
হয়তোবা তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনে নেমে পড়বে। সেদিন মানুষ কী করবে? মানুষ কি অসহায় হয়ে দেখবে এসব দৃশ্য? আজ রোবটরা যেমন মানুষের হাতের পুতুল, চাকর, তেমনি আগামীতে মানুষরাও কি রোবটের হাতের পুতুল হয়ে যাবে? হতেও পারে। (আগামীতে আরও লেখার ইচ্ছা রইল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।