।
সিল্ক সিটিতে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। পাশে ই ই ই এর একটা ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছেলে। ভালো আলাপী মিশুক টাইপ। টুকটাক টুকটাক অনেক কথাই হলো।
রেলগাড়ি যমুনা ব্রিজ পার হবার পর থেকে অনেকটা সময় যাবৎ একটানা চলছে, কিছু সময় যাবৎ গানও ভালো কিছু হচ্ছে না। ছেলেটা তার মোবাইল দিয়ে গান বাজাতে শুরু করলো। সে মোবাইলে গান একটা চালানোর পরই এলো বাবু গলার গান। বাবুটা ফোরে পড়ে। ছেলেটা তাকে ঐ দিন মেরেছে বলে সে খুব কষ্ট পেয়েছিলো।
কষ্টের ঠেলায় সে বললো আপনি আমাকে মারলেন, আপনি মারলেন! পুচকা বাপমায়ের একমাত্র। আমি ভাবছিলাম বাপমা ছেড়ে এলেই কি এমন করে অন্যের ছেলেমেয়েকে ভাইয়া-আপু বলে ধরতে মনে চায় - নাকি বাপ-মা-না-ছেড়ে-আসা ইউনির পোলাপাইনেরাও এমন পাগল হয় তাদের স্টুডেন্টের জন্য। পুচকা খুব রেগে বললো আপনি আমাকে মারলেন! দেখেন আমি আপনাকে কি করি? দেখেন আমি আপনাকে কি করি? :কি করবে? আমি, আমি গান গাবো। এই বলে সে গান গাওয়া শুরু করলো। ওর মাস্টার তখন মোবাইলে গান রেকর্ড করা শুরু করলো।
গান গাওয়া শুরু করতে গিয়ে প্রথমে কতকবার সে হেসেই অস্থির হতে লাগলো। তবু পুরো গানটা সে গাইলো। তার ভাঙা ভাঙা গলায় চমৎকার লাগছিলো। ফোরের বাবু। বাবুর গান শুনতে শুনতে তার গল্পটাও শুনলাম।
মানুষ যখন যেখানে থাকে সেখানে সে তার স্নেহের বস্তু ভালোবাসার বস্তু বানিয়ে নেয়। এজন্য বাড়ি ফিরতে খুশি লাগলেও ইউনি স্টুডেন্টদের বাড়ির পথে যেতে আসতে - বাড়িতে - নিজের স্টুডেন্টদের কথা মনে পড়ে।
যাহোক সদাশয় রেল কর্তৃপক্ষ এরপরই আলগা করো খোঁপার বাধন গানটি বাজানোর ফলে আমরা সকলেই মন খারাপের স্মৃতি থেকে বের হলাম একটুখানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।