বেশ কয়েক বছর আগের কথা । তখন টুক টাক english বলতে শিখলাম । দুই এক লাইন বলি আর আমার আনন্দ দেখে কে?!?!? এটা তো আমার একান্ত আনন্দ । কেননা এটা যে কেমন আনন্দ, এটা তো তখন কেবল আমিই বুঝতে পেরেছি । তাহলে এই আনন্দ এর কথা বলছি কেন?
বেশ কিছুদিন ধরে , এক জনকে বাংলা শেখানোর চেষ্টা করছি (অবশ্যই তার আগ্রহে )।
এক জন ইংরেজ ভদ্রলোক । তার খুব ইচ্ছা যে বাংলা শিখবে । দেখলাম , আগেই আনেক বাংলা শিখেছে । বাংলা বলতে পারে, কিন্ত বুঝতেই যত সমস্যা (যদিও উচ্চারনে তার নিজের ভাষার টান প্রচুর )। তার অভিযোগ যে, “বাংলা মানুষরা আনেক দ্রুত কথা বলে“ ।
skype তে যখন আমরা কথা বলি, তখন অনেক মজা হয় ! আগেই বলেছি উচ্চারনে তার নিজের ভাষার টান রয়েছে । টুমি, বেংগালি .... ইত্যাদি । যখন সে সঠিক ভাবে বলতে পারে, তার আনন্দ দেখে কে? কোন কিছু english এ বলার পর, সেটা বাংলায় শোনার জণ্য আগ্রহ নিয়ে থাকে । না বললে ,সেটা আবার মনে করিয়ে দেয় ।
এইতো আজ সন্ধা বেলা , মোবাইলে কল দিয়েছিলো ।
প্রায় 30 মিনিট কথা বললাম । প্রথমে তো বুঝতেই পারি নি, ইনি কি সেই? প্রায় সঠিক উচ্চারনে গড় গড় করে বলে যাচ্ছে । আমিতো আবাক, ঘটনা কি? বেশ কিছুক্ষন দুজনে বাংলায় কথা বললাম(একেবারে english ছাড়া)। আমি তার কথা বুঝতে পারছি, সে আমার কথা বুঝতে পারছে । তার আনন্দ দেখে কে? যদিও তার আর আমার বয়সের ব্যবধান প্রায় 30 বছর ।
কিনতূ তখন তাকে একজন শিশুর মতই মনে হয়েছিল । আবশ্য কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম , উচ্চারনে আরো উণ্ণতি করতে হবে।
প্রথম দিনেই সে আমাকে অবাক করে দেয় । আপনি, তুমি, তুই – এই তিনটি কি জিনিস ? তাকে বোঝাতে গেলে, সে-ই আমাকে বুঝিয়ে দেয় !!!!!! প্রথমে আমাকে “আপনি“ বলত, যদিও অনেক বলার পর এখন “তুমি“ বলে ।
বাংলাদেশে এসেছিল 4 বার ।
বেশকিছু জায়গা ঘুরেছে । আমি সেসব জায়গায় এখনো যেতে পারিনি(ঢাকা ছাড়া)। “ডাল ভাত“ খেয়েছে । ওটা তার ভীষন প্রিয় ।
সিনেমা হলে “মনপুরা“ দেখেছে ।
গান , মিউজিক গুলো যে ভাল লেগেছে ওটাও বলল। শুধু তাই না , পরিচালকের নাম যে “গিয়াস সেলিম“(গিয়াস উদ্দিন সেলিম)- এটা শোনার পর আমার মাথায় হাত!!!
পরিশেষেঃ প্রসতুতি নিচ্ছি, দেশের বাইরে চলে যাব । ভিনদেশী খাবার, culture ...... এর প্রতি আমার আকর্ষন অনেক । কিন্ত আমার মনে পরে গেল, আমাদেরও “ডাল ভাত“ আছে । এটা একটা মাত্র “শেকড়“ ।
একটা গাছের এরকম হাজার হাজার “শেকড়“ আছে । কিন্তু আমাদের গাছের এই কি অবসথা !?!?!?! ঝড় আর আপুষ্টি তে আমাদের গাছ আজ মৃত প্রায়। জানিনা অণ্যরা বিশ্বাস করে কিনা, আমি করি, আমি (অণ্যরা না দিলেও) গাছের পুষ্টি দেব। গাছ আবার ডাল পালা মেলে মাথা তুলে দাড়াবে । ঝড় থামবে ।
আবার ঝড় এলেও মোকাবেলা করবে । কিন্তু দশা আর মৃত প্রায় হবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।