আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীল ছবি সেইদিন আর এইদিন



মাঝে মাঝে দেশের বাড়ি গেলে মনে হয় আমরা কত ভালো ছিলাম। আমরা যখন ছোট ছিলাম তৃতীয় শ্রেনীতে পড়তাম ৫ম শ্রেনীর সামনে ভয়ে যেতাম না , কারন তারা অনেক বড়, কিছু দিন পড়েই হাইস্কুলে যাবে বিশাল ব্যাপার। আর এখন ুল্টা। একদিন আমার ছোটোবেলার প্রাইমারী স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছি দেখি এক দ্বিতীয় শ্রেনীর ছেলে ৫ম শ্রেনীর একজনকে বলছে খা*পোলা বাইরে আয় তরে মারুম। আমার স্পষ্ট মনে আছে " সোনা বন্ধু তুই আমারে ভোতা দাও দিয়া কাইটা ফেলা" এই গানটা পড়ে ফুয়াদ আপডেট করছে যখন প্রথম শুনি তখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি।

একদিন এক বন্ধু এসে বলল কঠিন একটা গান পাইছি গ্রামে বইসা শোনা যাইব না। তো আর কি করার গান তো শুনতেই হবে। তখনছিল বর্ষা কাল নৌকা করে টেপরেকর্ডার , বেটারি নিয়ে চলে গেলাম নদীর মধ্যে যাতে কেউ না শুনতে পায়, কারন বড়রা জানতে পারলে গ্রামে আর লজ্জায় মুখ দেখাতে পারব না। আস্তে করে সাউন্ড দিয়ে নদীর মধ্যে বসে সেই গান শুনলাম। আর এখন আমাদের গ্রামে মোটামুটি সবার হাতে মোবাইল।

তারা ব্লুটুথ দিয়ে নীল ছবি আদান প্রদান করে। ১২-১৪ বছরের ছেলে গুলির ভাব দেখলে মনে হয় তারা অনেক বড় হয়ে গেছে। তাদের সামনে পড়লে নিজেকে খুব ব্যাকডেটেড মনে হয়। তাদের কেউ কেউ আবার কানে দুল ও পড়ে। গ্রামে এখন আর সেই আগের মত শান্তি নেই।

কেউ কাউকে ভয় পায়না কারন সবার টাকার গরম। আমাদের গ্রামে সব পরিবারের একজন ইউরোপে থাকে তাই তাদের মধ্যে টাকার গরম দেখানোর একটা নিরব প্রতিযোগীতাও চলে। যে এ, বি ,সি পড়তে পারেনা সেও Nসিরিজের মোবাইল ব্যাবহার করে। দেখি আর মনে মনে বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম গান টা গাই" ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।