আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই তবে ছাত্রনেতা, এরই নাম প্রাধ্যক্ষ! -একটি স্মতিচারনমূলক মন্তব্য



এই তবে ছাত্রনেতা, এরই নাম প্রাধ্যক্ষ! এই তবে ছাত্রনেতা, এরই নাম প্রাধ্যক্ষ! শিরোনামের প্রথম আলো নামক দৈনিকে প্রকাশিত নিচের লিন্কের লেখাটি পড়ে আমার এই স্মতিচারনমূলক মন্তব্য লিখতে ইচ্ছে হ'লো: Click This Link ছাত্র রাজনীতির নামে দূর্বৃত্তদের অত্যাচার এবং সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষদের ক্ষমাহীন নীরবতার সেই পুরনো গল্প। আজ থেকে অনেক বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হ'লের বৈধ ছাত্র হিসবে হ'লে থাকতে গিয়ে দেখি, ঠাঁই নেই। অছাত্র, অস্ত্রধারী মাস্তানরা রয়েছে হলে হলে, কোন রুমে তাদের অস্ত্রাগার, কোন রুম তাদের কিচেন ইত্যাদি (অবিশ্বাস্য শোনালেও, এটাই ছিলো বাস্তবতা)। বড় আশা ক'রে গেলাম প্রাধ্যক্ষের ঘরে। পরবর্তী কথোপকথন ছিলো অবিকল নিম্নরূপ: - আস্সালামুআলাইকুম স্যার : ওআলাইকুম সালাম, কে তুমি, কি চাই? -স্যার, আমি সূর্যসেন হলের ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আজই এসেছি মফস্বল থেকে।

কিন্তু স্যার, থাকার কোনো সিট পাচ্ছি না। মেধা ভিত্তিক সিট বন্টনের ব্যবস্থায় আমার অবশ্যই একটা সিট পাওয়া উচিত। স্যার মাস্তানদের দখলে হল। প্লিজ আপনি একটু বিষয়টা দেখুন স্যার, আমরা যারা নবাগত ছাত্র, তারা যেন মেধাভিত্তিতে সিট বরাদ্দ পায়। : বাবা তুমি বিয়া করেছো? (কৌতুকমাখা কন্ঠে) - না স্যার।

এখন কিভাবে বিয়ে করবো। সবে ইন্টারমিডিয়েট পাশ ক'রে ভার্সিটিতে ফার্স্ট ইয়ারে সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি হ'য়েছি। : বাবা, বিয়া-শাদী কর, বাল-বাচ্চা হো'ক। তখন রক্ত অনেক ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আমাদের অসহায়ত্ব বুঝতে পারবে, তখন আর মেধাভিত্তিক সিট বন্টন হ'লোনা ব'লে চেচামেচি করবে না। এরপরে অনেক বছর পেরিয়ে গেছে, আমি বিবাহিত এবং অনাগত সন্তানের পিতা ।

আজও বুঝতে পারিনা, বিয়ে এবং পিতৃত্ব কেন একজন প্রাধ্যক্ষের কর্তব্য পালনের প্রেরণা না হয়ে অন্তরায় হবে? হয়তো এই ধাঁধাঁটির উত্তর না জেনেই আমায় কবরে যেতে হবে। কি ক'রে ভুলি: " অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃনা যেন তারে তৃণসম দহে!"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।