এই লেখাটির সারাংশ ১৮+ গল্প দিয়ে শেষের প্যারায়। কেও পুরাটা না পড়তে চাইলেও শেষের প্যারাটা মিস করবেন না।
ঘুষ একটি সর্বরোগের অতি সমাদৃত সার্বজনজ্ঞাত ভাইরাস হলেও এটি নিয়ে যেন কোন মহলেরই কোন মাথা ব্যাথা নেই বরং এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হতে পারছেন না তাদের যেন আস্ফলন "আহারে আমরা ঘুষ পাই না"
দেশের প্রশসন তথা পুলিশ যখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তখন দেশের আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙ্গে পরে সেটি আর পুনঃলেখার বিষয় গণ্য করাই ভুল। এই বঙ্গদেশে পুলিশ বিভাগ দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করাতে সবার নজর সাময়িক কারলেও এখন আর নজর নেই কারো এই দিকে। সবাই ভুলে গেছে থেমে গেছে সুশিলের কলম, সাংবাদিকের সংবাদ, ঠাই নেই বুদ্ধিজীবিদের কলামে।
ঠাই মিলেছে ভুক্তভোগীদের দীর্ঘস্বাসের অন্তরে।
পুলিশ বিভাগের এই ভাইরাসে উন্নতি দেখে বিচার বিভাগ আর থেমে থেকে নিজেদের নিরবুদ্ধিতার পরিচয় দিতে পারেন নাই। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে স্ব-আনন্দে পাল্লা দিয়ে পেছনে ফেলেছেন পুলিশ বিভাগেরও।
গণতান্ত্রিক দেশের আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন দায়বদ্ধ থাকেন জনপ্রতিনিধিরে কাছে; জনপ্রতিনিধি দায়বদ্ধ থাকেন জনগনের কাছে। অবস্থাদৃষ্টে কে যে কার কাছে দায়বদ্ধ তা খুজে বের করা অত্যন্ত দুরহ হলেও জনগনের কাছে যে কেও দায়বদ্ধ না এ কথা হলফ করে বলতে পারবে পথের কানা/শ্রবনশক্তী হীন ভিখারীও।
এবং সর্ব নষ্টের মূলে যে এই জনপ্রতিনিধি বাবুরাই তা অনেক সুশিল সমাজ ও বুদ্ধিজীবিরা জানলেও অদৃশ্য কারনেরই তাদের লেখনীতে আসেন না কেওই, নাকি তাদের বেলায় লেখনীতে শুকিয়ে যায় কলমের কালি।
প্রতিনিধিত্বের উত্তাপ আমরা প্রশাসন তথা বিভিন্ন নিয়োগের বেলাই শুনতে পাই মজার কিছু তথ্য। এর একটি মজার প্রতিক হচ্ছে-- নিয়োগ বানিজ্য। এই বানিজ্যের সাথে সবসময় জনপ্রতিনিধিদের জরিত থাকার অভিযোগ উঠলেও তা তারা বরাবরই অস্বীকার করে থাকেন। এই অস্বীকার আর কাকের চোখ বন্ধ করে পায়খানার গল্প যে একই তা স্বয়ং উনারাও অস্বীকার করবেন না নিশীথে।
একজন পুলিশ তার নিয়োগের সময় লাখ লাখ টাকা এই জনপ্রতিধিদের দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার কথা যেন মডেল হয়ে গেছে। টাকা না দিয়ে চাকুরী পেলে যেন চাকুরী লাইফ স্বার্থকই হল না। নিয়োগের পর পদান্নতি, ইচ্ছামত জায়গায় বদলী, উপর মহলের খাতির ইত্যাদিতে যে ব্যয় হয় তা সুদের কথা বাদ দিয়ে আসল তুলতেই লাগবে হয়তো একযুগ যদি সে সৎপথে থাকেন। আর দ্রুত লগ্নীকৃত অর্থ আদায়ের জন্য ঘুষ নামক মহা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ছাড়া উপায় থাকে না। ঠিক এভাবেই সরকারী প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রেই একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
যার ফলে এই ভাইরাসের বিস্তার ক্রমশই বেড়ে চলেছে।
সব শেষ আমার এক বড় ভাইয়ের ১৮+ গল্পদিয়েই শেষ করি- ধর তুই আমার নিকট দায়বদ্ধ, আমি তোর সামনে এক মেয়েকে তার ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় চুম্বন করলাম, তারপর ঐ মেয়েকে যদি তুই আমার সামনে ধর্ষণ করিস আমি কি তোকে কিছু বলতে পারব? উত্তর অবশ্যই না সূচক। ঠিক এই ভাবেই আমাদের জনপ্রতিনিধিরা চুম্বন করছে আর সেই চুম্বনের সুযোগে ধর্ষিত হচ্ছে আপামর জনগণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।