আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুত, পেত্নী, শাকচুন্নী, মামদো - এগুলোর পার্থক্য কি?

Speak no evil, hear no evil, see no evil.

আমরা সবাই ছোটবেলায় ভুত প্রেত এর অনেক গল্প পড়েছি বা শুনেছি। অনেক নামের ভুত এর ভীড়ে কোনটা কি তা হয়ত বুঝতে পারিনি। তাহলে চলুন জেনে নেই কোনটা কি! ভুতে বিশ্বাস করি আর নাই করি জেনে নিতে ক্ষতি কি? অন্তত: বাচ্চাদের সাথে কিছুক্ষন মজার সময় তো কাটানো যাবে! ভূত হচ্ছে পুরুষ এবং পেত্নী হচ্ছে মেয়ে অশরীরি আত্মা! এদের আবার অনেক রকমফের আছে। ১। মোহিনী- এটা একটা পেত্নী।

এরা সাধারানত: সে সব মেয়েদের আত্মা যারা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বা বিয়ের আগেই আত্মহত্যা করেছে। এরা সুন্দর সুন্দর ছেলেদের মোহিত করে নিয়ে যায় এবং তাদের আর খুজে পাওয়া যায় না। এরা খুব প্রতিশোধ পরায়ন! ২। শাকচুন্নী - এরা সাধারানত: সে সব বিবাহিত মেয়েদের আত্মা যারা তার বা স্বামীর পরকীয়ার জন্য জীবন দিয়েছে। এরা হয় খুব পুরুষ লোভী বা পুরুষ বিদ্বেষী ।

৩। শাকিনী - এরা সাধারানত: সে সব মেয়েদের আত্মা যারা বিয়ের পরে অসুখে বা নির্যাতনে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা মোহিনীদের মত অত মারাত্মক না হলেও নির্যাতনকারী স্বামী বা শ্বশুর বাড়ীর লোকদের ওপর আক্রোশ থেকে আক্রমন করে। ৪। ডাকিনী - এরা সাধারানত: সে সব মেয়েদের আত্মা যারা অসময়ে কোনো কারনে মারা গেছে।

মোহিনী, শাকিনী বা শাকচুন্নী সবাই ডাকিনীর অন্তর্ভুক্ত। ৫। চোরাচুন্নী - এরা সাধারানত: সে সব মেয়েদের আত্মা যারা জীবনে চোর ছিলো। পুরুষ চোরের হোলো চোরাচুন্না বা চোরাভুত। এরা মরার পরও চুরি ছাড়তে পারে না।

৬। ডাইনী - এরা অত্যন্ত সুন্দরী মেয়েদের আত্মা। এদের ডাইনী বুড়ি বলা হলেও এরা কোনোদিন তাদের রুপ যৌবন হারায় না। ৭। ব্রক্ষ দৈত্য - এরা সাধারনত: হিন্দু ব্রাক্ষনদের ভুত।

এরা খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে কিন্তু উল্টাপাল্টা হলেই মারাত্মক অভিশাপ দিয়ে বসে। ৮। মামদো ভুত - হিন্দু শাস্ত্র মতে এরা সাধারনত মুসলমান পুরুষ ভুত! ৯। পেচা পেচী - এই আত্মা গুলো পেচা বা পেচি র মত রুপ নিয়ে বনে জংগলে বাস করে এবং মানুষ দেখলে খেয়ে ফেলে। ১০।

নিশী - এরা ছেলে মেয়ে উভয়ে হতে পারে। তান্ত্রিক রা এদের লালন পালন করে এবং অন্য মানুষ কে বশ করার বা ক্ষতি করার কাজে লাগায়। এরা পর পর তিন বার মানুষ এর নাম উচ্চারন করতে পারেনা বিধায় অন্ধকারে এদের দু ডাকের মধ্যে উত্তর নেয়া উচিত নয়। ১১। স্কন্ধকাটা - এসব ভুত/পেত্নীদের মাথা থাকে না! ১২।

দৈত্য - এরা পুরুষ আত্মা যারা ভীষন শক্তিশালী হয় শারীরিক ভাবে। এরা অদৃশ্য থাকে না এবং এদের হাতে গদা বা মুগুর থাকে! ১৩। আলেয়া - এসমস্ত ভুত/পেত্নী জলাশয়ে বসবাস করে এবং মাঝি বা জেলেদের ভয় দেখায়। এরা সাধারনত ধোয়ার আকারে থাকে! অনেক সময় এরা আবার উপকারও করে থাকে! উফফ বাবা! এত্ত ভুত পেত্নী!!??

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।