আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই। একদিন এক চাষি দেখল, তার আখ ক্ষেতে বসে চারজন লোক তার ইক্ষুগুলো সাবাড় করে চলেছে। সে একটু নিকটে গিয়ে দেখল এই চারজন হচ্ছে একজন জেলে, একজন ব্রাহ্মণ, একজন মসজিদের ইমাম, আর একজন শিক্ষক। সে ভাবল যে তার পক্ষে চারজনকে একসাথে কিচ্ছু করা সম্ভব নয়।
তাই সে একটি বুদ্ধি বের করলো।
সে তাদের নিকটে গিয়ে প্রথমেই জেলেকে একটি ইক্ষু দিয়ে মারতে লাগলো আর বলল যে, উনি হচ্ছেন ব্রাহ্মণ মানুষ, আর উনি আমাদের ইমাম, আর উনি আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়ান, উনারা আমার আখ যত খুশী খাবেন, কিন্তু তুই ব্যাটা জেলে কেন খাবি। এই কথা শুনে বাকি তিনজন তো খুশী।
জেলে মার খেয়ে পালিয়ে গেল। তখন সে ব্রাহ্মণ কে মারতে লাগলো।
তখন সে বলল যে, উনি আমাদের ইমাম, আর উনি আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়ান, উনারা আমার আখ যত খুশী খাবেন, কিন্তু তুমি হিন্দু হয়ে আমার আখ কেন খাবে। ব্রাহ্মণও কোনভাবে পালিয়ে বাঁচল।
তারপর সে শিক্ষককে মারতে লাগলো। সে বলল যে, উনি আমাদের ইমাম উনি যত খুশি খাবেন, কিন্তু তুমি শিক্ষক তুমি এইসব করতে পারনা। শিক্ষকও পালিয়ে বাঁচল।
তারপর সে ইমাম সাহেবকে ধরল। সে বলল আপনি মসজিদের ইমাম, নামাজ কালাম পড়াবেন, কিন্তু আমার আখ খাবেন কেন। এই বলে সে কয়েক ঘা বসিয়ে দিলো। ইমাম সাহেব পালিয়ে বাঁচলেন।
এদেশের জনগণের ক্ষোভ আজ প্রতিটা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে।
সবার বিরুদ্ধে একসাথে কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু সবগুলো দলকেই তার প্রাপ্য পেতে হবে। জামাত কে দিয়ে এটা শুরু, শেষ হয়তো অন্য কাউকে দিয়ে হবে। শেষরক্ষা যদি করতে চান তাহলে প্রত্যেক দলই তাদের দলের মধ্যে থাকা রাজাকারদের বর্জন করুন এবং তারা যাতে বিচারের আওতায় আসে সে ব্যাবস্থা করুন।
জনগণ সবাই কে তার প্রাপ্য দিবে, এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।