শনিবার টিভি চ্যানেল ‘ইএসপিএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বদেশের ফরোয়ার্ড রোনালদোর সঙ্গে ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদোর তুলনা করে মরিনিয়ো বলেন, “২০০০ সালে আমার কোচিং-জীবন শুরু। তার আগে কয়েকটা বড় ক্লাবে বড় মাপের কয়েক জন কোচের সহকারীর ভূমিকায় কাজ করেছিলাম। ৩০ বছর বয়সে আমি কোচিং করিয়েছিলাম বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের। রোনালদোকেও কোচিং করিয়েছিলাম, এই রোনালদোকে (ক্রিস্টিয়ানো) নয়, আসল জনকে, ব্রাজিলিয়ান রোনালদো। ”
মরিনিয়োর এই মন্তব্যে রোনালদো মনোক্ষুন্ন হলেও সাবেক গুরু সম্পর্কে কোনো কটু কথা বলেননি।
কারণ ২০০৮ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের কাছে পুরনো দিনের সুন্দর মুহূর্তগুলোই সবচেয়ে বড়।
সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে এক সংবাদ সম্মেলনে দার্শনিকসুলভ মনোভাব নিয়ে রোনালদো বলেন, “কোচদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সুখস্মৃতিগুলোই আমি শুধু মনে রাখতে চাই। কারণ আমি যে পাত্রে খাই সে পাত্রে থুতু ফেলি না। যারা আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে তাদের নিয়েও আমি কোনো কথা বলি না। ”
মরিনিয়ো-রোনালদোর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই আগামী বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময়) গিনেস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল ও চেলসি।
রিয়াল-অধ্যায়ের ইতি টানার পর সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এটাই মরিনিয়োর প্রথম লড়াই।
রোনালদোর কাছে অবশ্য লড়াইটা মরিনিয়ো নয়, চেলসির বিপক্ষে। এ প্রসঙ্গে পর্তুগিজ তারকা বলেন, “আমরা চেলসির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, তাদের কোচের নয়। (নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে) এটা শুধুই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তাহলে দারুণ উজ্জীবিতভাবে লা লিগা শুরু করতে পারবো। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।