আগামী প্রজন্মের জন্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।
একটি রি পোস্ট প্রোডাকসন
২০০৭এর এগার জনুয়ারী জন্ম নেয় জরুরী সরকারের আর ভবঘুরে বাঙালী মুসলমানে গুষ্টি একে স্বাগত জানায় আলাদ্বীনের দৈত্য ভেবে। এই বুজি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। কিন্তু কোনো সমস্যার সমাধনের এজেন্ডা যে ছিলো না দৈত্যের। এজেন্ডা ছিলো রাজনীতির বিশুদ্ধকরন বা বি.এন.পি ধংসকরন প্রতিদিন এ কার্যক্রম অংশ হিসেবে প্রতিটি থানায় সন্ধায় পাঠিয়ে দেয়া হত একটি কাগজ যাতে লেখা থাকত এত জন বি.এন.পি নেতা কর্মী চাই।
এডভোকেটকে বলা হত এত টি মামলা চাই কাল সকালে ফাইল রেডি করুন। এরকম একটি হোম ওয়ার্কের অংশ হওয়া থেকে বেচে যাই ০৭ এর জুন মাসে।
সঠিক তারিখ মনে নেই দেশ ছাড়ার অল্প কয়েকদিন বাকী তাই বাড়ীতে থাকছি। যখন গ্রামে থাকি/আসি কারেন্ট না থাকলে বা ঘুম না আসলে সন্ধার পর বাড়ির সামনে ১০০ গজ দুরের ব্রিজে গিয়ে বসে আড্ডা দেই। এটা একটা পুরোনো অভ্যাস এ আড্ডা কখনো কখনো রাত ২ টায় গিয়ে থামে, আর গ্রামের বন্ধু বান্ধবরাও কোথাও না পেলে এখানে এসে অপেক্ষা করে।
তাছাড়া কাফ্যু বা জরুরী আইনের সীমাবদ্ধতা শহরেই কার্যকর থাকে বলে বুঝি এবং জানি। ঐ দিনও এমন এক আড্ডার তাছাড়া কয়েক সাপ্তাহ পর প্রবাসে পারি দিচ্ছি তাই অনেকে এসেছিল দেখা করতে। সব মিলিয়ে আমরা বারো জন। রাত মাত্র দশটা এমন সময় দুটা মটর সাইকেল একটা পিকাপ ভ্যান নিয়ে হাজির মামুরা। এরই মাঝে সবাই সারে পরেছে আমি রইলাম সেখানেই।
নিজের ঘর সেখান থেকে আবার পালাবো কি।
এই তোর নাম কি?
নেয়ামূল হক।
এহানে কি করছ?
ফোনে কথা বলতেছি।
বাড়ি কই?
এইত ইটাই।
কি করছ?
পড়াশোনা।
কোথায়?
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।
সাবজেক্ট ?
হিসাব বিজ্ঞান।
এহানে কি করছ?
বাড়িতে নেট নাই তাই ফোন করতে এখানে আসছি।
ছাত্রতো ভালই জানছ কলম দিয়া একটা গুতা দিয়া জীবনটা শেষ করে দিতে পারি।
হ্যা
তাইলে সত্য সত্য বল এখানে কি করছ?
এই রকম তেনা পেচাইলো দেড়টা ঘন্টা।
মাঝে মাঝে ঝাড়ি ঝুড়ি দিল। যেমন জানচ তুই কলম দিয়া একটা গুতা জীবনটা খাইয়া দিতে পারি। একে ৪৭ মামলায় ঢুকাইয়া দিতে পারি। ড্রাগ মামলায় ডুকাই দিতে পারি। এই রকম হরেক কিসিম।
এরা এতো কিছু পরও মোবাইলটা নেয়নি। এ দীর্ঘ সমায়ে তারা হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেয় নি সেটাই ছিলো ভাগ্য। এ তর্কের মাঝে প্রথমে কল দেই এস.আই জামাল মামুরে, পরে ইউ.পি চেয়ারম্যান হুমায়ুন ভাইকে। কল দিয়ে কিছু বলিনি শুধু হাতে রাখলাম যাতে তারা বুজতে পারে আমার সাথে কি হচ্ছে। প্রকৃয়াটা কাজ হল জামাল মামু ফোন দিলো এখানের ডিউটি অফিসারকে, চেয়ারম্যান আমার মোবাইল হয়ে কথা বললেন কনস্টেবলের সাথে ও পরে অফিসারের সাথে।
এ ভাবেই এ যাত্রায় বেচে যাই।
যাদের কারনে বেচে গেলাম সেদিন:
দুঃসম্পর্কের ভাইগ্নার এস.আই বন্ধু
স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান হুমায়ুন ভাই
ফেরদৌসী ভাবী (অবসর প্রাপ্ত সুবেদারের স্ত্রী)
স্থানীয় শত সাধারন পাব্লিক নর-নাড়ী যারা দুই পাশ থেকে বন্ধ করে রেখে ছিলেন।
ঘটনার পর দিন ঘুম থেকে উঠে জানলাম রাতে আমাদের ও পাশের দু ইউনিয়ন থেকে ১৯ জনকে তুলে নিয়ে গেছে হানাদারেরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।