আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১ এ আপনাদের ক্ষমতা অনেক দেখেছে এদেশের মানুষ, নতুন করে আর দেখতে চাইনা

বাস্তবতার দুস্টচক্র ঠিক এই মুহুর্তে দেশে যা ঘটে যাচ্ছে তার কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই। ৭১ এর নারকীয় হত্যাকান্ডগুলো বোধ করি এর চেয়েও জঘন্য ছিল। সেই জঘন্য হত্যাকান্ড যারা চোখে দেখেছেন, অথবা যাদের পরিবারের সদস্যরা এর শিকার হয়েছেন তাদের কাছে এর ভয়াবহতা কেমন আমি জানিনা। তবে এটুকু বুঝতে পারছি, দেশের প্রতিটি নাগরিক আজ একধরনের ইন্সিকিয়রিটিতে ভুগছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চরমভাবে অসহায় ছিল আজ।

এত গোয়েন্দা ইনফরমেশন থাকার পরও কেন এমন পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলনা?? হায়নার দল নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তিনজন পুলিশ সদস্যকে। তাদের পরিবারকে কি দিয়ে সান্তনা দিবেন প্রধানমন্ত্রী???? যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাহলে সেখানে জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে??? র‍্যাব-পুলিশকে কতটাকা বেতন দেন প্রধানমন্ত্রী যে সেই টাকার লোভে চকরী করতে গিয়ে হায়নার শিকারে পরিনত হবে??? অত্যন্ত দুঃখজনক হল এই যে, পুলিশের গুলিতে কিছু নিরিহ পথচারী মারা গেছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত এই বিষয়ে পুলিশের স্পস্ট ব্যাখ্যা আছে, আর সেটি হল, যখন কোন অঞ্চলে/এলাকায় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা করবে, তখন বাধ্যহয়ে পুলিশ আত্তরক্ষার্তে গুলি ছুড়বে এটাই স্বাভাবিক, এবং এমন পরিস্থিতিতে স্টুপিডের মত সাধারন পথচারী ওই এলাকায় গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা না। কাজেই ওই সময়ে ওই এলাকায় যারা ছিল তারা হয়ত পুলিশ আর না হলে দুর্বিত্ত। পুলিশের এমন ব্যাখ্যা অবশ্যই যৌক্তিক।

কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, যেহেতু বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনো একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জুটে না, তারা গুলীর ভয়ে বাড়িতে বসে থাকবেনা। কাজেই সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি কে আরো কঠোর হতে হবে, কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সাধারন পথচারী মারা না যায়। জামাত-শিবিরের নেতা কর্মিদেরকে কি বলব বুঝতে পারছিনা। তারাকি এটা বুঝেনা যে, তারাওতো কোন না কোন মায়ের সন্তান। তারা মারা গেলে তাদের বাবা-মা কতটা কষ্ট পাবেন এই চিন্তাটুকু কি তারা করতে পারছেনা? কিসের নেশায় আজ এমন হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে তারা??? স্বর্গের স্বপ্ন দেখিয়ে ছোট্ট ছোট্ট ছেলেগুলোকে জামাতের নেতারা শিবির বানিয়েছে, এরপর লেলিয়ে দিচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহীতায়।

দলের হাইকমান্ড মানতে গিয়ে এই যে ছেলেগুলো কুকুর বিড়ালের মত গুলি খেয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরছে, এর দায়ভার জামাতনেতারা এড়াবে কিকরে? একটা যুবক ছেলের উপর বাংলাদেশের একটা পরিবার কতটা নির্ভরশীল থাকে সেটা কি জামাতের নেতারা জানেনা???? আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বন্ধকরুন এই নৃশংসতা। সাঈদী এমন কেউ ছিলনা যে তার জন্য একদিনে ৩৭ জনকে লাশ হতে হবে। আজ যে ছেলেগুলো মারা গেছে, জামাতের কোন কেন্দ্রিয় নেতা দেখতে গিয়েছে তাদের পরিবাবের আহাজারী?? যায়নি। ৭১ এ আপনাদের ক্ষমতা অনেক দেখেছে এদেশের মানুষ, নতুন করে আর দেখতে চাইনা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।