আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘নিজামী-মুজাহিদের নেতৃত্বে সংঘঠিত হয় কেরানীগঞ্জের সবচেয়ে বড় গণহত্যা’


মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নেতৃত্বে নজরগঞ্জে ২ এপ্রিল ভোররাতে কেরানিগঞ্জের সবচেয়ে বড় গণহত্যা সংঘটিত হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ওই গণহত্যায় স্বজন হারানো প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আক্তারউদ্দিন। শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত কর্মকর্তারা কেরানীগঞ্জের নজরগঞ্জে গণকবর পরিদর্শনকালে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা জানান। প্রসিকিউশন ও তদন্ত কর্মকর্তারা জিঞ্জিরা নজরগঞ্জ কবরস্থানে পৌঁছেন বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে। এ সময় মোহাম্মদ আক্তারউদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা নদীপাড়ে পালা করে পাহারা দিতাম-যাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু ২ এপ্রিল ভোররাতে লঞ্চে ও ট্রলারে করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এলাকায় প্রবেশ করে।

’ তিনি বলেন, ‘আমার তিন মামাকে মেরে একটা পাটিতে জড়ো করে রেখেছিলো হানাদাররা। পরদিন এসে আমি তাদের লাশ উদ্ধার করি। এখানে স্থানীয় রাজাকার এবাদুল্লাহ, মৃত নাসির, আকবর, জান মোহম্মদ প্রমুখের সহযোগিতায় কেরানীগঞ্জের তৎকালীন মুসলীম লীগের আমির নাজিম ও নিজামী-মুজাহিদের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধকালীন সবচেয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ’ মুক্তিযোদ্ধা সামিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই গণকবরে (নজরগঞ্জ) পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষের কবর রয়েছে। ঢাকা থেকে নিরাপত্তার জন্য এখানে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা কেউই শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি।

’ তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফজরের আজানের সময় এ এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর হামলা শুরু হয়। পাখির মতো গুলি করে ঘুমন্ত মানুষ হত্যা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। View this link
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।