আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খন্ড-বিখন্ড ভারতঃ শান্ত ও সমৃদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশ

জীবনের এত গভীরে প্রবেশ করে কি লাভ, জীবনটা হউক হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যের মত !

তথাকথিত ভারতীয় এক জাতি তত্ত্বের অস্তিত্ব ইতিহাসে কখনো ছিল না, তা মেনে নেওয়া যায় না। ইতিহাস পর্‍্যবেক্ষণ করলে আমরা দেখতে পাই ভারতীয় উপমহাদেশকে কোন না কোন রাজবংশ তোলয়ারের জোরে একত্রিত করে শাসন করেছে,দিল্লীকে কেন্দ্র করে যা পরিচালিত হত, এরপর ও আর দেখতে পাই তত্কালীন দিল্লীর অধীনে একশত এর উপরে রাজ্য ছিল যা ঐ অঞ্ঝলের রাজা দ্বারা স্বাধীন ভাবে চলতো, কেবল মাত্র দিল্লীর অনুগত থেকে খাজনা প্রদান করলেই ছোট রাজার রাজত্ব বহাল থাকতো যা কখোনই ভারতীয় একজাতীয়তাবাদ প্রমাণ করে না । ইতিহাস খ্যাত মোগল সাম্রাজ্য দ্বারা ও ভারতীয় একজাতীয়তাবাদ প্রমাণ করা যাবে না কারণ ইহা মোগলগণ ও দিল্লীর অভিজাত উচ্চবর্ণের দ্বারা নিয়ন্ত্রনীত হত সেখানে ছিল না ভারতীয় অপরাপর নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব। এভাবে বিভিন্ন রাজবংশ সর্বশেষে বৃট্রিশরা ভারত শাসন করেছে। বর্তমান ভারত রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতির জন্য প্রধানত হিন্দু ধর্মের উপর নির্ভরশীল ।

ভারতীয় রাষ্ট্র দাড়িয়ে আছে জাতিভেদজনিত শোষণের উপর গুটিকয়েকটি রাজ্য ছাড়া চকচকে ভারতকে খোজেঁ পাওয়া যাবে না ,ভারতের ৭৪ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র অথচ ভারত তার সমরসজ্জায় ব্যস্ত সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র রাজ্যগুলোর উন্নয়ন নিয়ে ভারতের কোন মাথা ব্যথা নেই, থাকবেই বা কি করে ইতিহাসের পালা বদলে সাম্রাজ্যবাদী দিল্লী আগের মতই আছে। তাই উন্নয়ন বঞ্চিত,শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য ভারতকে বিভক্ত হওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে,তাই মানবতার মুক্তির খাতিরে বাংলাদেশ,পাকিস্তান,..এর উচিত চীনকে কৌশলগত সহযোগিতা করা এবং চীনের উচিত জাতিভেদ প্রথার ফাটলকে সামনে রেখে নিজের স্বার্থে এবং সমগ্র এশিয়ার প্রগতির জন্য ভারতের বিভিন্ন জাতি সম্প্রদায়ের(আসমী,তামিল,কাশ্মিরী,শিখ,ইত্যাদি)সাথে হাত মিলানো এবং তাদের স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাহায্য করা,ভারতকে ইউরোপের মত ১৫থেকে২০টি জাতি রাষ্ট্রে বিভক্ত করা । যদি ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্টীর চেতনাকে জাগ্রত করা যায় তাহলে এই অঞ্চল প্রগতির পথে অগ্রসর হতে পারবে। এখানে বলে রাখা দরকার যে কাশ্মীর ছাড়া ও ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রম তীব্ররূপ নিয়েছে। শোষণ বঞ্চনা আর জাতিগত নিপীড়নের শিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে সর্বভারতীয় ঐক্যতানের চেয়ে বড় সুষম উন্নয়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ।

কিন্তু ভারতের অভিজাত শাসক শ্রেণীর কাছে তা উপেহ্মিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।