থাইল্যান্ড সফর করে একদিন বিশ্রামের পর ফুটবলাররা আজ থেকে আবার প্রশিক্ষণে নামছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই পর্দা উঠছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের। তারপর আবার গ্রুপে তিন শক্তিশালী দেশ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান পড়ে গেছে। এই অবস্থায় কোনোভাবে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছেন না কোচ ক্রুইফ। যদিও তিনি থাইল্যান্ড থেকে দলের সঙ্গে ফেরেননি।
কিন্তু রেনে কোস্টার ও সৈয়দ গোলাম জিলানীকে পরামর্শ দিয়েছেন কীভাবে প্রশিক্ষণ করাতে হবে। ক্রুইফের ফেরত না আসা নিয়ে বিতর্ক উঠলেও বাফুফের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন উনি টেলিফোনে জানিয়েছেন ১০ আগস্টের মধ্যে ফিরে আসবেন। এরমধ্যে ঈদের ছুটি থাকবে বলে খুব একটা সমস্যা থাকবে না। তবে বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেকে ক্রুইফের উপর অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তাদের কথা সে আমাদের পেইড কোচ।
ওর সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয়েছে। যেখানে লেখা আছে কখন কীভাবে ছুটি দেওয়া হবে। থাইল্যান্ড থেকে না এসে সে অবশ্য চুক্তিভঙ্গ করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ক্রুইফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তানা হলে ভবিষ্যতেও এমন করবেন।
সহকারী কোচ জিলানী বলেছেন, প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড সফরটা খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করেছে। যদিও দুই অনুশীলন ম্যাচে প্রথমটি হেরে যায়। কিন্তু সুন্দর পরিবেশে প্রস্তুতি হওয়াতে দলের গতি আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ত্রুদ্ধইফ যা চাচ্ছেন তা তিনি আদায় করছেন।
ডে বাই ডে খেলোয়াড়রা ইমপ্রুফ করছেন। শক্তিশালী গ্রুপ প্রসঙ্গে জিলানী বলেন, আমাদের লক্ষ্য সাফ শিরোপা। তাই প্রতিটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুতরাং গ্রুপে কে আছে তা আমরা চিন্তা করছি না। আমার বিশ্বাস যেভাবে চলছে তা মাঠে কাজে লাগাতে পারলে ভয়ের কিছু দেখছি না।
চূড়ান্ত দল কবে ঘোষণা হবে এ ব্যাপারে জিলানী বলেন, এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে হেডকোচের সিদ্ধান্তের উপর। তিনি যাদের বেটার মনে করবেন তাদেরকেই রাখবেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর বুঝা যাবে মূল দলে ঠাঁই পাওয়ায় কারা যোগ্যতা রাখেন। বর্তমানে ২৪ জন খেলোয়াড় ক্যাম্পে আছেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাধারণত ২০ জন নিয়ে দল গঠন করা হয়।
এক্ষেত্রে চার ফুটবলারের বিদায় নেওয়ার কথা। কে কে বাদ পড়তে পারেন এ ব্যাপারে জিলানী বলেন বলা মুশকিল। কারণ চূড়ান্ত দলে ২০ জন থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বাফুফে ইচ্ছা করলে ২২ বা ২৩ জনেরও রাখতে পারেন। জিলানী বলেন, ক্রুইফ আসার পর এ নিয়ে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলবেন।
সম্ভবত পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার পরই চূড়ান্ত দল ঘোষণা হবে। জিলানী চূড়ান্তভাবে না বললেও জানা গেছে সাফে এবার বাংলাদেশের চূড়ান্ত দলের সংখ্যা ২৩ জনই হতে পারে। এক্ষেত্রে গত মাসে ক্যাম্পে যোগ দেওয়া জার্মানির প্রবাসী ফুটবলার রিয়াসাত খাতুনের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তার পারফরম্যান্সে কোচ খুশি হতে পারছেন না। বিশেষ করে ইনজুরি সমস্যা থাকাতে রিয়াসাত নিজেকে তুলে ধরতে পারছেন না।
আবার প্রবাসী ফুটবলার ডেনমার্কের জামাল ভূঞা শুধু চূড়ান্ত দলে নয় বেস্ট ইলেভেনে সুযোগ পাচ্ছেন এটা নিশ্চিতই বলা যায়। এদিকে তরুণ স্ট্রাইকার শাখায়াত হোসেন রনি অসুস্থতার কারণে প্রথম দিকে অনুশীলনে কোচের নজর কাড়তে না পারলেও এখন তার উন্নতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। থাইল্যান্ডে দুই ম্যাচেই রনি আসাধারণ খেলেন। আজ প্রস্তুতি শুরু হলেও ঈদের জন্য বুধবার থেকে ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে। খেলোয়াড়রা চাচ্ছিলেন কমপক্ষে ৭ দিনের ছুটি।
না ১১ আগস্ট পাকিস্তান আসছে বলে ছুটি সম্ভবত তিন দিনের হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।