আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এতেকাফ : বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে প্রেমের প্র&#

রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে এতেকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। সুন্নাতে মুআক্কাদা বলা হয় এমন সুন্নাতকে যা পালন না করলে গোনাহ হয়। আর কেফায়া বলা হয় এমন ইবাদতকে যা কিছু মানুষ আদায় করে দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। রমজানের শেষ ১০ দিনের এতেকাফ এমন এবাদত, যা প্রত্যেক মসজিদের আওতাধীন এলাকার কিছু লোক আদায় করে দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর কেউ আদায় না করলে সবার গোনাহ হবে। এতেকাফ যেমনি কিছুটা কষ্টসাধ্য তেমনি অনেক ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ। প্রিয় নবী (সা.) এতেকাফের অনেক ফজিলত ও মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত_ তিনি বলেন, নবী কারীম (সা.) সব সময় রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করেছেন। তারপর তার বিবিরাও এতেকাফ করেছেন। বুখারি, মুসলিম। এই হাদিস দ্বারা আমরা জানলাম যে, এতেকাফ করা নবী কারীম (সা.) এর নিয়মিত আমল ছিল। তাই এই আমল আমাদের জন্যও জরুরি। তবে এক মসজিদের আওতাধীন যত বাড়িঘর আছে তাদের মধ্য হতে যে কেউ এতেকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এতেকাফ করতে পারে। তারা এতেকাফের নিয়তে ঘরের একটি রুমে রমজানের শেষ ১০ দিন অবস্থান করতে পারে। এতে তারা অনেক সওয়াবের অধিকারী হবে। পুরুষদের এতেকাফের যে নিয়ম মহিলাদেরও সেই একই নিয়ম। যেসব কারণে পুরুষের এতেকাফ ভেঙে যায় সেসব কারণে মহিলাদের এতেকাফও ভেঙে যায়। এতেকাফের যাবতীয় নিয়মাবলী পালন করা মহিলাদের জন্যও জরুরি। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, পুরুষরা এতেকাফ করে মসজিদে আর মহিলারা ঘরে। হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়, হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী কারীম (সা.) প্রত্যেক রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর তিনি তা করতে পারলেন না। অতঃপর পরবর্তী বছর যখন এলো তিনি ২০ দিন এতেকাফ করলেন। তিরমিজি। রাসূল (সা.) আরও বলেন, এতেকাফকারী গোনাহ থেকে বিরত থাকে এবং তার আমলনামায় সব ধরনের নেকি লেখা হয়। যেরূপভাবে নেক আমলকারীর আমলনামায় লেখা হয়। ইবনে মাজাহ। হজরত আয়শা (রা.) বলেন, এতেকাফকারীর জন্য এই নিয়ম পালন করা আবশ্যক (১) সে যেন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে না যায়, (২) কোনো জানাজায় হাজির না হয়, (৩) স্ত্রী সহবাস না করে, (৪) তার সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষিও না করে, (৫) একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে না যায়, (৬) এতেকাফ রোজা ব্যতীত হয় না, (৭) এতেকাফ জামে মসজিদ ছাড়া হয় না। আবু দাউদ। প্রিয় পাঠক! এই আমলগুলো যদিও এতেকাফকারী করতে পারবে না, তবু আল্লাহপাক তাকে এসব আমলের সওয়াব দান করবেন। কারণ সে তো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই এতেকাফ করছে। উল্লেখ্য, রমজানের এতেকাফ সুন্নাতে মুআক্কাদা। এটা রোজা ছাড়া হয় না। তাই এই দিনগুলোতে যদি কেউ রোজা না রেখে এতেকাফ করে তাহলে তার এতেকাফ হবে না। বছরের অন্যান্য সময় আমরা ইচ্ছা করলে নফল এতেকাফ করতে পারি। সেটা রোজা ছাড়াও হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহিহ শুদ্ধভাবে এতেকাফ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : খতিব, বাইতুর রহমত জামে মসজিদ, গাজীপুরা, টঙ্গী।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।