অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব'
‘কাম অন বেবি লাইট মাই ফায়ার...’
কল্পনার পরাগরেণু গুলো শ্রুতিগোচর বিভ্রমগুলোর স্বপ্নমাখা লম্ব-অভিক্ষেপ হয়ে দালানের চাদোয়ায় বদ্ধভ্রান্তি সমাবেশে মিলিত হয় । সবুজ দেবীর হাতছানি অবিচলিত চোখের পাতায় । ইন্ট্রোভার্ট বক্রনাসিকের কুঠিরে ছাইরঙা মেঘগুলো ঘনীভুত হয় যেভাবে অনিষিক্ত ডিম্বাণুর ক্লিভেজ গুলো ফুরিয়ার রুপান্তরে ইন্ট্রিগ্রেটেড শুঁয়োপোকার জন্ম দেয়, শস্যাগারে আধারের রংয়ে আলোকিত পতঙ্গ গুলো উৎসবে মেতে উঠলে প্রভাতের রাগের সাথে বিদ্রোহ করে আলম্বিত চোখে, জেগে উঠে ক্যাফেইন গ্রস্থ জীয়ন্ত লাশ....
শুধুমাত্র দ্বিপ্রহর রজনীতে,
জলধনিয়া আর বড়নখার ফুল গুলো পুষ্পকোমল আঁধারে নিশীথ সূর্যের কাছে রুপোর সওদায় ব্যস্ত হলে ঝিঁঝি পোকা গুলো আর্তনাদে চিৎকার করে বলে
‘কাম অন বেবি লাইট মাই ফায়ার...
গিভ মি সাম সুগার, বেইবি...
গিভ মি সাম সুগার’
----------------------------
চাঁদ ও মেঘ
আকাশে মেঘের ব্যারিকেড
চাঁদ ও মেঘের আলোছায়ার পৃথিবী এক অধিবাস্তব ফ্রেম
বিরহিক ছন্দে ভেসে বেড়ায় ভবঘুরে সে মেঘ
যেন বিভুতিভুষনের কাশবনে স্মৃতির আনাগোনা
হাতে দুই পেগ, এক পেগ জ্যোৎস্না, আর এক পেগ আধাঁর ।
মেঘের ঝাঁপি ফেরি করে বাতাস
সাদা ডানার চিল যেন সুতা কাঁটা ঘুড়ি
চক্রাকারে ঘুরে খুঁজে ফিরে আবাস;
মেঘ যেন খামে বন্দি বিবাগী স্বপ্ন বা সাদা মোম
সে স্বপ্নের শীর্ন দেহে হৃদয় নিংরানো আবেগ ।
মাঝে মাঝে ছড়ায় মেঘ হেমলক বিষ
চাঁদের শুভ্র শরীরে
মেঘ যেন ঘাতক, আর চাঁদ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী
যে হেমলক মিশেছিল সক্রেটিস রক্তে
তবে কি কালোর মাঝেই আলোর সৌন্দর্য?
দুঃখের জলকনা শ্লথ মেঘ গুলো কালো
যেন বাধা পড়েছে তার মাঝে অনৈশ্বরিক কোন আলো
গুমোট বাধা মেঘের আকাশে ধুসর অনুভূমিক কুয়াশা
জল জমে মেঘ হয়েছে স্ফটিক,
বৃষ্টি নেই, আছে শুধুই হতাসা ।
চন্দ্রগ্রস্থ ঐশ্বরিক মহাজনের ইচ্ছার মনোপলি
অপাংক্তেয় আমি চলেছি নির্ঘুম
সারাটা পথ নিজ্জঝুম,
সাদা মেঘের জল শুষে নিয়েছে আমার চোখ
হাতে জ্বলন্ত সিগারেট আর এক পেগ স্মৃতি ।
ভোগ দাবানল
প্রবৃত্তির অনূরোধে সপিছে কায়মন
জল পিপাসায় মত্ত মীনের তনূমন
কেলিয়া অতনূ প্রেমের প্রবাহে
বাসন্তি চন্দ্রিমা মিশিছে অভয়ারন্যে
আরক্ত প্রভাতের শিশিরের সলিলে
হৃদয় স্পন্দন অস্তমিত বশীভূত তিমিরে
শ্বাপদের দংশনে সায়াহ্নে ইন্দ্র
ভোগ দাবানলে মর্মবন লাঞ্চিত ।
কবির স্বপ্ন
সাদা-কাল-লাল-নীল কত স্বপ্ন দেখি দিন-রাত
কবিতার স্বপ্ন, কবিতার অমরত্বের স্বপ্ন ।
শব্দ ও নৈঃশব্দের আলো-আধাঁরিতে স্বপ্ন দেখি,
আধো-আলোছায়ার পডন্ত বিকালে স্বপ্ন দেখি
স্বপ্ন দেখি সঙ্গীহীন গাঙচিলের একাকিত্বে ।
গভির কালো রাতে
এক আকাশ তারার মেলার নিঃসীমতায় স্বপ্ন দেখি ।
চাঁদের আলোর কার্নিশে
কবিতার ছন্দ আর অন্তমিলের স্বপ্ন দেখি ।
ধুলো পড়া রাজপথে শব্দহীন অনুচ্চারে স্বপ্ন দেখি ।
স্বপ্ন দেখি কালোয় কালোয় মিলে যাওয়া কবিতার অনন্ত স্বর্গের চারনভুমিতে।
চাঁদের বৈধব্য বাড়ে
ইতিহাসের চিহ্ন মুছে যায়
বনলতাসেন-বিষাদ বা সুনীলের নীরার অশ্রুজলে ।
“ক্লান্ত প্রান এক” কবি আজ বিমুর্ত
কবিতার স্বপ্ন, শ্রাবস্তীর কারুকার্জময় মুখের স্বপ্ন
প্রিয়তমার একটি কবিতা আকার স্বপ্ন
নীলঞ্জনার নীল চোখে স্বপ্ন দেখি
আর দ্বান্দিক ভাবনায় থাকি বিচলিত ।
কবিদের স্বপ্নই কি শুধু অলৌকিক হয়, নাকি স্বপ্ন সবসময়ই অলৌকিক?
বনলতার ঠোটের স্পর্ষ না পেয়ে খুজে বেড়ায় অবাঞ্চিত, অপভ্রংশ বিশেষন ।
কবিতা হয়েও যায় শতশত দুঃখসিক্ত টিশুপেপার
জলন্ত কুপে পডে থকে কবিতার ছাই, বিস্মরনের নদীতে কর্কশ শব্দ ।
কবিদের স্বপ্নই কি শুধু নিঃস্বপ্ন হয়ে যায়?
নিস্তব্দতার ক্যানভাসে উড়ায় কাল প্রজাপতি মন ।
কবিরা কি শুধুই ধুপদানীর ধুপ ?
নাকি শুধু ব্যর্থরাই কবি হয়?
সংকটের ব্যাকরণ
বধীর অস্ত্রাঘাতে বিপর্যস্ত যান্ত্রিক সমাজ
লাশের গন্ধে জমাট পৃথিবীর নিঃশ্বাস
বর্বরের তুলিতে আঁকা জার্মান হলোকাস্ট
বাস্তবতার মরিচিকার নান্দনিক অভিষাপ
জন্মান্ধ সভ্যতার কাঁটাতারের আচ্ছাদনে
সংকটাচ্ছন্ন বস্তুবিশ্বের অবয়ব ।
দোদুল্যমান অনূভুতির নিরব আবহে
বিউগলের করুন সুরের মাতম
ভার্চূয়াল অনুভুতির বিরাণভূমিতে
আত্মিক মুদ্রার বিষন্ন প্রুক্ষেপণ ।
চিন্তার প্রচ্ছদে রংয়ের বাহুল্য
ভিতরটা অন্তসারশূন্য, নির্লপ্ত
শৃঙ্খলের বেড়াজালে অনূভুতির ব্যাকরণ
দিব্যজ্ঞানের ফানুস বর্নহীন, ক্ষীয়মাণ ।
হাতপাখার দায়শোধ
স্থিতিশক্তি আয়তনের পরিবর্তন প্রতিরোধে ব্যর্থ,
মোমের অস্থির অগ্নি স্ফুরণ জন্মদেয় উদ্বায়ী বিন্দু-বাষ্প ।
সেই জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা দুপুরে হাতপাখা-বাতাস
যেন বসন্তাকাশে প্রভাতালোর পরশ-আভাস ।
দায়শোধের সোনালী সানসেট আর সুদুরেই নক্ষত্র-বিলাস
প্রভাতী পাখির গানে আবির্ভুত নব অংশুমালী
বকুলের সুবাসের ঘ্রানসুর জাগায় পূর্ণতা, নয় কোন কিংবদন্তী,
জ্যোৎস্না ভাস্বর চন্দ্রানন সে ও তো কলঙ্কিনী
সিগারেট
জ্বলছে সিগারেট
দূর থেকে কাছে আসে ভিতরটা পুড়িয়ে
আরও কাছে নিবিড় হয় নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে ।
মোহাচ্ছন্ন ধোয়ার স্বপ্নীল সম্মোহনে
ছড়িয়ে যায় প্রশ্বাসে বুকের মাঝে ।
জাগিয়ে তোলে নিরব নিথর মগজ
ধুম্রজাল দৃষ্টিকে করে ঝাপসা, শ্বাসনালী দেয় ধাক্কা,
ফুসফুসীয় ধমনীর বাষ্পস্নান, শোষন ও শোধন
বাকিটা ছড়িয়ে যায় স্বপ্নের বেলকুনী বা নিয়ন আলোর রাজপথে ।
কিছুটা কায়দায় ছড়িয়ে পড়ে গোল রিং হয়ে,
আর বাকিটা, অজানায় যায় চলে
ফেরিওয়ালা বাতাসের সাথে ।
কিছুটা নিঃসঙ্গতায় ছড়ায় নৈশাব্দিক রোমান্টিসিজম
স্বপ্নের নীহারিকা পথে তারাদের হাতছানিতে
কিছুটা বাড়িয়ে দেয় বিক্ষত স্মৃতির দুঃসহ অতীত
চন্দ্রাহত মনের মহাশূন্যের ছায়াপথে ।
লাস্টটান দিয়ে ফেলা বেনসন
এস্ট্রেতে নিয়ে আনে নতুন দর্শন
এরপর গুনতে থাকে ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটার নিশ্বাষ
এপিটাফের দ্বান্দ্বিকতায় ।
বিস্বাদ সরোবর
চিরহরিৎ অরন্যে ক্রন্দসী আকাশ
বর্ষন করে অভিশাপ
তপ্ত বালুর বুকে লুকায় মেঘ
কেঁদে উঠে ক্যাকটাস ।
অনামিশার অভিশাপে
ডুবে গেছে চাঁদ
হতাসা গুলোতে মিশে আছে
লবনাক্ত বিস্বাদ ।
ক্রমশ বাড়ছে নিসঙ্গ তুষারধবল চাদের উদাসীনতা
উষ্ণ লালের মাঝে বাধছে বাসা ছদ্মবেশী শ্বেতকনা ।
শান্তির পায়রা গুলো নিমিশেই মিলিয়ে ইথারের দিগন্তে
কর্পুরের মত ।
সমাজ শরীরে লেপ্টে গেছে
কালপুরুশের উত্তপ্ত ট্যাটু
শরীরের প্রতিটি লোমকুপে
অনুভুত হয় ইবলিসের অস্তিত্ব ।
পাপে পুর্ন মানষ সরবর
হাড়ের দেয়ালে গড়ে উঠে উইঢিবি
সপ্তষীর নির্বাক প্রশ্নের অসূয়া প্রতিযোগ
পৌনপুনিক পাপে ভারি স্খলনের উচ্চতা ।
কেটে ফেলা গাছের বিষন্নতায় চারদিক চুপচাপ
দীর্ঘ হাসি তামাশা শেষে এক গনিকাপল্লীতে নেমে আসে আত্মিক বিপর্যয়
নারী শরীরের সৌন্দর্যের নামই কবিতা
আর পাঠশালার মাঠে আবাদ হয় সবুজ অর্থময়তার ঘাস ।
সবুজ মাকাল ফলের মাঝে পূর্ণবিকশিত রক্তিম ক্ষত
নিজের জালে আটকা পড়ে আঠাল পোকা
লোভী পিপডা পাহারা-কুঠুরির আড়ালে করে আমিষের চোরাচালান
বিরান ভুমিতে শুধুই বিউগলের করুন সুরের মাতম ।
মৃত পিপেড়ার মত চায়ের কাপে
ভেষে উঠে মেইনষ্টিম
ভাষমান নিস্পৃহ পিপড়ার অতন্দ্র অনুভুতি
পড়ে থাকে ইতিহাসের পরাধীন পুতুল হয়ে ।
নীল পঙক্তিমালা
পারদ বাষ্প ফ্লোরোসেন্টের ফসফরাসে আলোতে
বিশ্বস্ত ক্যামেলিয়া যোগান দেয় তেইশ ওয়াট উষ্ণতা ।
শিরায় শিরায় অন্তিম প্রজ্জলনের সম্মোহীত স্পন্দন
নেশাতুর চোখে বাড়তে থাকে অমিয় নীল গরল অবরোধ,
পেরেকে বিদ্ধ কবিতায় সদ্ভোগের ঘামগন্ধে সিনথেটিক জীবনবোধ
ব্যথা উপসমের মরফিন নেশায় জাগে হ্যারিকেন সমন ।
ইঁদুরের ছেদন দাঁত ব্যস্ত অন্তহীন রাতের ভোজে
বেবুন শরীরের চিলেকোঠায় উত্তেজনার পারদ বাড়ে
বাতাসের ভাঁজে অভিসারী সর্মপণ শীৎকারে
বিষন্ন মেদে রচিত হয় নীল পান্ডুলিপি, নাভির ভরকেন্দ্র আঁধারে ।
চন্দ্রশেখর সীমায় শীতল শ্বেত বামন
ভর বাড়িয়ে জন্ম দেয় অপজাত কৃষ্ণবিবর,
শুষে নেয় অধরে আলোক নির্যাস, অবক্ষয়িত রুপান্তর
গূঢ়মার্গে অনুরণিত হয় শতরুপা পৃথিবীর রুপাবরণ ।
আলো-ঝলমল রৌদ্র সকালে দাবানলের অনলপ্রভ,
আর ক্রয় জাবেদায় ইতিহাস হয় আহ্নিক গতির কিলোওয়াট-ঘণ্টা ।
আঁধারে-বিষন্ন স্বপ্নের ছন্দ পতনের শব্দমালা
আমি আঁধার দেখেছি
হয়ত কালস্রোত রচনা করেছিল মুদ্রাকর-প্রমাদ
অথবা বাষ্পে ঘনীভূত ঝাপসা বিষাদবাতিক;
নির্জল গদ্যে হারিয়ে যাওয়া ছন্দ,
শরীরের প্রতিটি লোমকুপে আজ ইবলিসের অস্তিত্ব
আঁধার দেখেছি পুজীবাদি ইন্দ্রজালের অনাসৃষ্টিতে
‘দেশ লিমিটেড কোম্পানি’র বিষাক্ত মাকাল মানচিত্রে
দোপেয়ে দৈত্যের ধর্মীয় রণক্ষেতে;
প্রাচুর্যের দৈনতায় ডাষ্টবিনে জমাট টিস্যু পেপারে
বাস্তুহারা কাঁকের সকন্ঠ প্রতিবাদে
আঁধারে ।
আমি আঁধার চিনেছি
মৌনতার সুতায় বন্দী বিমুর্ত রাতে ।
আলো-ছায়ায় অর্ন্তদন্ধ শম্বুক-সদৃশ কবি
ভাবনাহীন সময়ের নিসঙ্গ একাকী জীবনে
শিয়ালের মত খোঁজে মাটি চাপা কৃষ্ণপক্ষীয় লাস
ক্ষুদার্থ অন্ধতমসে কান্নার কোরাস
অথবা রাহুগ্রস্ত নক্ষত্রকে আড়ালকারী
উৎকেন্দ্রিক ও বিষন্ন স্বপ্নের আর্তনাদ
বেঘোর ঘূর্ণিতে ছন্দ পতনের শব্দমালা
নক্ষত্রপিন্ড কক্ষপথ থেকে যেন আছড়ে পড়ে .
তারাগুলো যেন সমুদ্রের নোনা জলে
কোটি আলোক বছরের পোড়া ঘাঁ ধুয়ে পবিত্র হয়,
আঁধারে ।
আমি আঁধার শুনেছি
দুর শহরের আলোতে নৈশ্যপ্রহরীর হুইসালে
বস্তির শিশুর অবিরত কান্নায়
অন্ধকবির নোনাজলের সংলাপে,
বিপ্রতীপ আধারে গত জন্মের পাপে
জীবনের আলো ছায়ায় পুরোনো কাসুন্দি ছক-কাগজে
গণিত বিশারদ উন্মোচন করে ভাগশেষ,
ভুল ব্যাকরণে চেতনার নামক পদার্থের বাষ্পে অবস্থান্তর,
ক্ষূর্দাথকীট ঠাসা দুষিত হৃৎপিন্ড খোজে
অবশ মস্তিষ্কের গাঁজার মহাজন,
আধারে ।
সভ্যতার অনুরণন
বৃক্ষবাকল অথবা পশুচামড়ায় বর্শাধারীর মানবীয় লজ্জা নিবারন
প্রাগৈতিহাসিক রক্তনীল দেহে বাস্তুতন্ত্রের বিচরন ।
ভুলে ভরা পাণ্ডুলিপিতে নিপুন বংশ বৃদ্ধি সভ্যতার,
শেয়ার মার্কেটে, ইউরিনিয়াম বিভাজনে আর মিউনিসিপ্যালটির ট্রাকে ।
কালক্রমে বৃত্তের বাহিরে টানে কেন্দ্রবিমূখী শক্তি
সভ্যতার অনুরণনে কুকুরের আর শুয়োরের নন-ফ্রয়ডিয় ক্লোন,
কালোকাচ আবৃত জাগুয়ারের গতি উড়িয়ে যায় রঙিন ধুলো ।
পাঁচতারা শীতাতপ সভ্যতার ইট-চুন-সুরকির দেহে
আফ্রোদিতির জ্যামিতিতে উল্লাস করে
পুজিবাদী জিয়াসের হায়না ।
প্যান্ডোরাই জন্ম দিয়েছে দোপেয়ে দৈত্য;
আবার জেগে উঠুক আগামেন তনয়া ইলেক্ট্রার ক্রোধ,
ধ্বংস হোক নগর বিশ্বাসঘাতক ।
স্মৃতি-অনুভুতির অনুরণন
দিগন্তে নিমজ্জমান রক্তিম আভায় হাতুড়ে কবি
হাতে জলন্ত সিগারেট, ফুসফুস রঙিন
নিশ্বাসে নেই অম্লজান,
আর পুরনো চাঁদ জাগায় ইচ্ছার কাঁপন ।
মানব সরোবরে অনুভুতির বুদবুদ
তরাঙ্গাকারে ছড়িয়ে পড়ে,
কবিতায় অনুভুতির অনুরণন
আলো ছায়ার অধিবাস্তব ফ্রেমে ।
দৃষ্টিসীমার দিগন্তে নীলাভ্র অলক মেঘ
জোয়ারভাটা লাগাম টেনে ধরে জীবনের
ভুলগুলো সব উপলে খোদিত বিলাসবহুল বৈশিষ্ট্যরেখা
তোমাদের কাছে হয়ত তা রাতের প্রমোদাললয়ে
লবনের মত পানিতেই গলে যাওয়া ।
সাইনবোর্ড দেয়ালে ভেজা পোষ্টার
ঘুমহীন চোখে জেগে থাকে ল্যাম্পোষ্ট,
নাস্তিকের সমালোচনায় অথবা আস্তিকের ভাবলেসহীনতায় ।
রাজপথ চোরাস্তায় মুঠোফোনে প্রেটোনিক ভালবাসা
তারার আলোর সেতুতে কবি খোঁজে
অদ্ভুত আলোর সবুজ মেঘ অরোরা ।
পৌরাণিক স্মৃতি-উদ্রেককারী পবন অস্পর্ষী ভ্রমর
মিসকলে মোর্স কোডের ছন্দিত রুপান্তর
রঙিণ বাতাবরণে কবিতা আকে দুষ্টুমিভরা প্রয়াস
হাতড়ে খুজছে পথ, হয়ত তারে পুতুল নাচছে
উপরিতলের নিচের পৃথিবী ঘুরছে, কেঊ কি পাচ্ছ শুনতে?
ঘাতক কাঁটা
মায়াবী পর্দায় দুলে ওঠে কালের কলস, লোক
লোকান্তরের আরব্য রজণী শঙ্কিলতায় আচ্ছন্ন;
উত্তরীয় সমীরনের অট্টহাস্যের নাট্যলীলায় প্রলয়ের হুঙ্কার,
অনাসৃষ্টির বৃত্তে আবৃত মেঘছায়া তলের সর্প্তষী
সময়ের নিয়ত সংকোচনে বিমূঢ, সায়াহ্নের আধাঁরে
কালের অদৃষ্ট চক্র; বিস্বাদ যামীনিতে শুধুই মর্সিয়ার হাহাকার ।
জয়নূলের ক্যানভাসে পচাঁ লাশের পাশে উন্মক্ত শকুন,
জ্যামিতিতে আঘাত হেনেছে ধ্বংস কাব্যের মরুপশু;
বখতিয়ারের ঘোড়ার প্রতণূ প্রতাশার ভাগাড়ে
ছোবল মারছে নগর শকুন, আরধ্য স্বাধীনতার
সশস্ত্র সৌন্দর্যের বেদীতে তিমিরের উৎসব,
শব্দ গেরিলাদের স্মৃতি বাতাসে উন্মুক্ত সোডিয়াম;
বন্দী শিবিরে পানকৌড়ির রক্তের পাশে কোকিলের
কাল ছদ্মবেশ, রক্তাত্ত প্রান্তরে গলা টিপে মেরেফেলা
কথার শ্মশানে শিয়াল খোজেঁ লাশ, সোনার তরীর
সিন্ধুহিন্দোলের বিষের বাঁশিতে প্রলয় শিখা, ঠাকুমার
ঝুলির রৌদ্র করোটিতে বিধ্বস্ত নীলিমা, সাঁঝের
মায়ার আশার বসতিতে বিস্রস্ত পান্ডুলিপি;
চুপটি করে খামছে ধরেছে ঘাতক কাঁটা ।
ভালবাসা ও বন্ধূত্ব
বন্ধুত্বের সোনালী আভায় গ্রহন লাগে
সৃষ্টি হয় অনাসৃষ্টি্র বৃত্ত
মিশিয়ে দিলে তাহার সাথে
ভালবাসা নামক ধূমায়িত হ্লুদ রাজঅম্ল ।
নোনাজল হয়ে নেমে আসে
সেই অসমসত্ব মিশ্রন
হৃদপিন্ডের বাস্তুভিতায়
নাগরিক সন্নাসীর নীল রক্তক্ষরন ।
অনুকাব্য
কন্সপিরেসি
ইদুর মিলেছে শকুণের সাথে,
করেছে শষ্য ক্ষয়;
লাল পিপঁড়া উৎসব করে,
উইপোকাও উদ্ধত হয় ।
রং
বৃক্ষের ফুলে থাকে গন্ধ, পাতায় তিক্ততা
প্রাচুর্যে আছে চিত্তের দৈনতা;
বিভিন্নতায় আছে বৈচিত্র, আর
বহুত্বের মাঝে আছে একত্বের দর্ষন ।
ভপঞ্জর
খোলা হাতের তালু, উরবর জমিন
পূর্নচাঁদের জ্যোৎস্নামন্ডিত অমলিন
ধরতে গেলে সেই উরবর জ্যোৎস্নার কূহেলিকা
নেমে আসে কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথির অনামিশা ।
একটি জলজ কবিতা
জল্ করের প্রসাদপুষ্ট পারাবার
তেজ কটালের বাণে আনে পুর্ণ জোয়ার
ঘূর্নী জলস্তম্ভের, জলাবর্ত তরঙ্গের
নিষ্ঠুর আনন্দবিহার লবনাক্ত বরুনার
জল মগ্ন বিভৎস আলপনা জলছবির
জল আনে চোখে জলপিপির ।
গহীন জলজ আধাঁর
সে আধাঁর বড়ই সামুদ্রিক
নিঃশ্বাস নেয় অভিষাপের লোনাগন্ধ
জলকল্লোল জন্ম দেয় জলবিম্ব
জল বিম্ব সৃষ্টি করে জলভ্রম
জল ভ্রমে নাবিক করে জ্যামিতিক ভুল ।
পারভার্টের মোহময় স্বেচ্ছাচারিতা
অসুরক্ষিত আত্মার অবশিষ্ট্যাংশ শরীর এলিয়ে দেয় পান্থনিবাসে
জ্যোৎস্নালোকিত প্রণয়ের প্রগাঢ়ত্বে আমি বন্দী হই দাসত্বে
আরো বেশি করে অনুধাবন করি বুকে হেঁটে চলে
মৃদু স্বরে বলে যাই প্রেমঘন শ্লোক, পাতার মত মর্মরিত হয়ে
মুখর বসন্তের শ্রাবনী আবেগ বাস্পের ফিনকি প্ররোচিত করে ইন্দ্রিয়চেতনাকে
বিদ্যুত-চমকের জ্বলনাংক অভব্য প্রতিরূপকে সঞ্জীবিত করে তোলে উচ্চরবে
মেনকার স্বর্গ আর বিশ্বামিত্রের তপস্যায় লোমকুপের রন্ধ্রে শকুন্তলার অনুভব ।
তীব্র যন্ত্রণা দায়ক নিষিদ্ধ অঙ্গাবরণ ক্রমে হয় উন্মোচন
শৃঙ্গে ভোরের অরূপরতন শিশির ফোঁটার সর্পিল দীর্ঘসূত্রতা
বরফের খাড়া ঢাল বেয়ে পিছলে নেমে আসে মহাকালের অতল গহ্বরে
মনের মধ্যে আসুরিক বীজ বপন করি বিস্ফোরিত ভুলে
কর্পূরের আরকে মাতাল হয় অন্তরত্মা বিছুটি পাতার উন্মক্ততায়
আমিষভুক পারভার্টের স্বেচ্ছাচারিতায় ।
বাংলাদেশ
দরজার দিকে প্রবাহিত নির্ঝরীনি শাখা ধারাবাহী
দৈত্যের বুটের ছাপ আর মাঝে মাঝে করোটি;
সিক্স সুটারে দুমড়ানো বুদ্ধিগুলো হয়ে গেছে প্রেটনিক
তীরে স্ফুলিঙ্গের শীতলীকৃত কালো ফোঁটা
ডান ঝাপটানো লাল মুনিয়ার পদ সঞ্চালনে স্খলিত পান্নার রং;
মাটির পিঁঞ্জর ভেদ করে চলে চলে গিয়েছিল ধাতব ক্যাপসুল
স্রোতে নিমজ্জিত গাল আর তরল আগুনে ভিজে যাওয়া চুল;
হয়ত শেষবারের মত উচ্চারন করেছিল
“রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী” ।
অতপর
......
.....
অতপর
নৃতাত্বিক বিবর্তনের গনতান্ত্রিক দেশ
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ ।
------------
[ডিডিকেটেড টু জুন আপু
প্রথম লেখাটা নতুন বাকি গুলো বিভিন্ন সময় পোষ্ট করে ডিলিট করেছিলাম বা ড্রাফট এ ছিল!!]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।