পুলিশে থাকা কয়েকজন বন্ধু জানিয়েছেন, আজ রাতে ব্যাপক নাশকতা চালাতে পারে শিবির। হিন্দু সম্প্রদায়, সাংস্কৃতিক কর্মী, লেখক, কবি, আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর হামলার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং আসুন সবাই সাবধানে থাকি। আত্মীয় ও পুলিশের ফোন নাম্বার নিজেদের কাছে রাখি। কোন অঘটন ঘটলে পুলিশকে সাথে সাথে জানাই।
জামাতের বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অব্যহত থাকুক। একাত্তরে ওরা যা করেছে এখনও আবার তা করার চেষ্টা করছে। যা-ই হোক না কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে।
পাশাপাশি একটা কথা বলা দরকার প্রাণহানী যাতে কম হয় সে কৌশলে সরকারকে এগুতে হবে। আগে থেকেই একটি প্রবণতা ছিলো আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করলেই তাকে জামাত বলে হয়রানী করা।
বর্তমান পরিস্থিতির সূযোগে কেউ যেনো জামাত বলে কাউকে হত্যা না করে, গুলি চালানোর সূযোগ তৈরী না করে দেয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় আহত এক শিবির কর্মীকে বাঁচাতে পরে পুলিশ সদস্যরাই রক্ত দিয়েছেন। এমন উদাহরন-ই মানবিকতা। জামাত-শিবির অমানবিক আচরন করলেও আমরা যাতে মানবিক আচরন করি। যারা একেবারেই রাস্তায় কাউকে অস্ত্র নিয়ে মারতে আসছে তাদের ব্যাপারে পুলিশ অবশ্যই একশনে যাবে।
কিন্তু পুলিশের সব সময়ের যে শিক্ষা প্রথমে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করা, এরপর পায়ের দিকে শটগানের গুলি (শটগানের গুলি ও রাবার বুলেটে মানুষ সাধারনত মারা যায়না আহত হয়) ও একদম আক্রান্ত হয়ে গেলে, উপায় না থাকলে, ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে, সরাসরি গুলি সেটি-ই হওয়া উচিৎ।
যা-ই হোক এত মানুষ মারা যাচ্ছে তা ভালো লাগছে না। খারাপ লাগছে। সাঈদী’র ফাসি হয়েছে ভালো হয়েছে। এ রায় দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।
কিন্তু প্রাণহানীও কম হোক। আমাদের দেশকে, এদেশের মানুষকে খোদা তা’আলা হেফাজত করুন। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।