"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার কাছে বরাবরের সবচেয়ে বিরক্তির কাজ বলে মনে হয় নিজে নিজে সেইভ হওয়া আর প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করা। অনিচ্ছা সত্বেও দুইটা কাজ ই আমাকে নিয়মিত করতে হয়। যদিও আমি সহজে সেইভ হইনা। দেশে থাকতে ১০-১৫ দিন পরপর দোকানে গিয়ে সেভ হলেও বইরে আসার পর আর মোহসীনের সেলুন পাই নাই। মোহসীনের অভাবটা এখন হারে হারে টের পাইতাছি।
১ মাস দেড় মাস পর যখন দেখি অতিরিক্ত দাঁড়ির কারনে আমাকে হাইতির দুর্ভীক্ষপীরিতদের মত দেখাচ্ছে তখন সেভ হওয়ার রিস্ক নেই।
বাধ্য হয়ে আমাকে প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করতে হয়। কাজটা বিরক্তির হলেও আমি নিয়মিত ব্রাশ করি। নইলে সারাদিন মুখ ভার লাগে আর পড়শোনা ও কাজ কোনটাই ভালো লাগে না।
যাইহোক, আজ সকালে যখন আমি ওয়াশরুমে দাঁত ব্রাশ শুরু করলাম তখন আজিব একটা থিংন্কস আমার মাথায় এলো।
জিনিসটা হলো এমন যে,
যদি মানবজাতীর এতগুলা unusual দাঁত না থাইকা শুধু উপরের সারির সামনে ২টা ও নিচে ২টা আর দুই মাড়িতে ৪ টা ৪টা করে ৮টা এবং সর্বমোট ১২ টা দাঁত থাকতো তাহলে ব্রাশ করার পিছনে এত সময় নষ্ট করতে হতো না। সময় এবং টুথপেষ্ট দুইটাই যথেষ্ঠ পরিমানে save করা যেত। পাবলিকের তখন কমন ডায়ালগ থাকতো "১ থাপ্পর দিয়া তর ১২টা দাঁত ফালাইদিমু। "
ভাই আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমার মাথায় নতুন নতুন কনসেপ্ট আসলেও আমি আল্লাহ এবং তার ক্রিয়েশন উভয়টাই বিলিভ করি।
না মানলে দেখা যাবে বুড়া বয়সে আমার শাস্তি হিসাবে ঐ অবস্থাই করবেন....... উপরের সারির সামনে ২টা ও নিচে ২টা আর দুই মাড়িতে ৪ টা ৪টা করে ৮টা এবং সর্বমোট ১২ টা!!!!!
তবে আইডিয়াটা খারাপ ছিলো না,এতে করে কিছুটা সময় বেঁচা যেত।
বি দ্র: যারা প্রথম দিকে আমার আইডিয়াটার সাথে একমত প্রকাশ করছেন তাদেরও ঐরকম শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ নয়। so be careful.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।