মুছে যাক গ্লানি,মুছে যাক জরা....

আমাদের সংগ্রাম চলছেই। নিজ দেশের অক্ষণ্ডতার জন্য অস্ত্র ধরেছিলাম ৭১-এ। আমার অজস্র সহকর্মী সেদিন নির্যাতিত হয়েছিল শুধু মাত্র দেশকে ভালোবাসার অপরাধে !! দেশ বিভক্ত হলো (এটাকে নাকি স্বাধীনতা বলে !!)। আমরা কিন্তু হাল ছাড়িনি। বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, সবময়ই আমরা মানুষের সমর্থন পেয়েছি। তাই, গণতান্ত্রিক সরকারগুলো আমাদের সাথে হাত না মিলিয়ে পারেনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের ফলাফল বলে দেয় মানুষ আমাদের কতটা ভালোবাসে। খুশি হয়েছিলাম, দেশ প্রেমিক মানুষ এখনও দেশে আছে ! কিন্তু কোথায় কী ?! আমাদের মূল থেকে সরানোর চেষ্টা করা হলো। আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম দেশটাকে আবার আগেরমত করার জন্য।

ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম সেই হারানো সুর,"পাকসার জমিন সাদ বাদ"। বৈধ পথেতো তা হওয়ার নয়। বাধ্য হয়েই আমাদের সেই পুরোনো পথই বেছে নিতে হলো। আত্মপ্রকাশ ঘটালাম "জেএমবি"র রূপে। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, আঙুলতো বাঁকাতেই হবে।

খরাপ লাগে,এ দেশের মানুষের মাঝে এত করেও ইসলামি জোশকে জাগ্রত করতে পারলাম না। স্বীকার করছি, আমাদের ব্যর্থতা ছিল; আমরা তরুণ প্রজন্মকে মোটিভেট করতে পারিনি ভালোভাবে। তারই ফলাফল ২০০৮ এর নির্বাচন। দেশের মানুষ কেন নিজেদের ভালোটা বোঝে না ?? আসলে, মিডিয়ার নষ্টামিতে তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জেনে ফেলাতেই আমাদের এই দূর্দশা !! কিন্তু, আর ভুল করবনা । এবার, তরূণ সমাজকে মোটিভেট করব।

আমরা এখন পত্রিকা, নিউজ চ্যানেল সবখানে। এমন কি আমরা আছি ব্লগেও। আর, তরুণদের মগজ ধোলাই শুরুও করে দিয়েছি এরই মধ্যে। তথাকথিত বাংলা সংস্কৃতি(আসলেতো হিন্দু সংস্কৃতি ) নিয়ে লাফালাফি অচিরেই বন্ধ করে দেব আমরা। আমরা রবীন্দ্রসংগীতকে নিষিদ্ধ করেছিলাম ।

কিন্তু এখনতো আর তা সম্ভব নয়। তাই, নিরুৎসাহিত করি মানুষকে এসব নিয়ে মাতামাতি করতে। ওসব, ধুয়ে ধুয়ে পানি খাওয়ার দিন শেষ, এটা তাদের বুঝতে হবে। এত কিছুতেও যদি কাজ না হয়, তবে জেনে রাখুন, আবারো আসব আমরা। আবারও বলছি,সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুলতো বাঁকাতেই হবে ।

তাই, আবার জ্বলে উঠব আমরা। আমাদের ভয়ঙ্কর রূপের কিছুই দেখেনি মানুষ , এবার দেখবে, ইনশাল্লাহ ।
।