১২৩
ডেথ সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেন --ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. মো. শাহজাহান।
‘আমি আমার রোগীর মৃতদেহ বুঝিয়া পাইলাম’ ---লিখে স্বাক্ষর করেন--শিশুর অভিভাবকও
অতঃপর মৃত শিশুটি নাড়া দিয়ে ওঠে; পুনরায় চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন শিশুটি জীবিত আছে।
বিস্তারিত:
সবার মন খারাপ। কেউ কাঁদছেন। কেউ হা-হুতাশ করছেন।
আর মা? কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান। কারণ কিছুণ আগেই তার কলিজার টুকরা দুই দিনের নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। এমন কি ডেথ সার্টিফিকেটও (মৃত্যুর প্রমাণপত্র) লিখে দিয়েছেন।
কিন্তু না। সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে ফুটফুটে শিশুটি আবার ফিরে এসেছে মায়ের বুকে।
ও এখন হাসপাতালে মায়ের বুকের ওম নিয়ে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকাল ৫টায় রোজিনার দুই দিন বয়সের নবজাতক শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যুর প্রমাণপত্র) দেন।
কাপড়ে মুড়িয়ে ওর ছোট্ট মৃতদেহ যখন নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা, তখন হঠাৎ শিশুটি নাড়া দিয়ে ওঠে। বিস্ময়ে সবাই অবাক! শিশুটিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন শিশুটি জীবিত আছে।
ডেথ সার্টিফিকেটে স্বার করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. মো. শাহজাহান। শিশুর অভিভাবকও ‘আমি আমার রোগীর মৃতদেহ বুঝিয়া পাইলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন।
শিশুটি এখন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ বোর্ড।
নবজাতকের মা সিলেট শহরের মজুমদারি এলাকার রোজিনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার সন্তান বেঁচে আছে, এতেই আমি খুশি। সে আবার সুস্থ হয়ে উঠলেই আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ থাকবে না। ’
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. মো. শাহজাহান বলেন, ‘শিশুটিকে যথাযথ পর্যবেক্ষণের পর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ’
এটি দায়িত্বের অবহেলা কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, এটা দায়িত্বে অবহেলা নয়। ব্যতিক্রম ঘটনা।
’
সুএঃ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।