ভাবনার সিঁড়িতে জমানো থাকে বাহারী পাতারা। তুমি আসবে বলে
আকাশের মেঘমালা যত , সাজে নানান সাজে।
ভ্রুকুটি তোমাকে মানায় না । চেয়ে দেখো কি করে সাজিয়েছি
এক চিলতে বারান্দার নির্জনতাটুকু!
ফুল নয় ,শুধু পাতাবাহার আর বাহারি সব ক্যাকটাস!
মাঝে মাঝে পাখিরা আসে।
কয়েকটা মৌমাছিও রোজ এসে ঘুরে যায় ফুলের খোঁজে।
ভাবুক তোমাকে বসতে দেই।
রেলগাড়ির কামরার মতন। মুখোমুখি আমরা দুজন!
অদ্ভুত একাকীত্বতা ছুঁয়ে থাকে আমাদের।
দুজনে কি একা হওয়া যায়? উত্তরটা তুমি জানো এবং আমিও জানি।
চায়ের কাপের টুংটাং এবং পাতাদের ফিসফিস শব্দ শুনি।
সামনের টেবিলে পড়ে থাকে অদ্ভুত সেই বইটা।
“শ্রেষ্ঠ জীবনানন্দ”,
যার এক একটা পাতা উল্টালে মনেহয় এক একটা পৃথিবী ভ্রমন।
উনি কি মানুষ ছিলেন?
........................... আমি তো বলি নক্ষত্র!
মানুষ কি করে এভাবে নক্ষত্রকে বুঝতে পারে?
অন্ধকারকে ছুঁতে পারে?
গাংচিল হয়ে উড়তে পারে? ঘাসফুল হতে পারে বনভূমে?
তোমার আঙুল ছুঁয়ে এক একটা কবিতায় ঘুরে বেড়াই।
নীলিমা থেকে মোটরকার............সব ,সব কবিতা।
নদী নক্ষত্র মানুষ এই কবিতায় এসে থেমে যাই কিছুক্ষন।
“এখানে জলের পাশে বসবে কি? জলঝিরি এই নদীর নাম;
অপরুপ;আমি তবু ঝাউবনী বলি একে’—আস্তে বললাম;
নদীর দুপারে ঢের উঁচু উঁচু ঝাউবন,নীড়—
চুপচাপ ঘাসের ওপরে ব’সে কিছুক্ষন তারপরে আমরা দুজনে
কোন কথা খুঁজে তবু পেলাম না আর যেনো। “
.........কবিতা শেষে তুমিও বললে, উনি মনেহয় নক্ষত্রই ছিলেন।
আমাদের কবিতা সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকে বিকালের রং
নাকি ভোরের শিশির।
তোমার জানালার ওপাশে রোদ্দুর গলে
আমি সন্ধ্যাবাতি জ্বালি আমার বারান্দার কোনে।
তুমি চলে গেলে খুঁজে বেড়াই ধূলাবালির কণা।
মানুষরা হেঁটে চলে গেলে ধূলা পড়ে থাকে। নক্ষত্ররা চলে গেলেও কি তাই?
শীতের মখমল কম্বল গায়ে দিতে দিতে ভাবি
“ভাবনাতেই বসতবাড়ি বানিয়েছি,
ভাবনাতেই উঠোন জুড়ে ভোরের শালিখ। “
কার কবিতার লাইন?
বলতে পারলে গুনে গুনে তোমার জন্য এনে দিতে পারি আরব্য রজনীর রাতজাগা কাহিনীর মতন
১০১ টা গল্পকাহিনী!
আমাদের নির্জন বনভূমে একদিন গেয়ে উঠতে পারি চেনা কোন গান!
এবং একদিন তোমার চোখে চোখ রেখে
বলতে পারি, ভালবাসি নদী, সমুদ্র এবং জোছনা
আর
একজন নক্ষত্র পিয়াসীকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।