যে সমস্ত নারীরা লাল মাংস বেশী খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সুইডিশ নারীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের ডঃ সুসানা লারসন ও তার সহকর্মী গবেষক দল এ গবেষণা করেছে।
ডঃ সুসানা ও তার দল ৩৯ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৩৪,৬৭০ জন নারীর ওপর ১০ বছর ধরে গবেষণা করে এ ফলাফল তুলে ধরেন।
১৯৯৭ সালে গবেষণা শুরুর সময় এই নারীরা কেউই হৃদরোগ বা ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন না।
১০ বছরের মধ্যে তাদের ১,৬৮০ জন স্ট্রোক আক্রান্ত হন।
গবেষকদল দেখতে পান প্রতিদিন সবচেয়ে বেশী ৮৬ গ্রাম লাল মাংস খান এমন পাঁচজন, যারা প্রতিদিন ৩৬.৫ গ্রাম লাল মাংস খান তাদের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশী স্ট্রোক হওয়ার (সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন) ঝুঁকিতে আছেন।
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ধমনীতে কোন কিছু (সাধারণত চর্বি) আটকে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণত স্ট্রোক হয়; একে সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনও বলে।
তাছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও এখনও অজ্ঞাত এমন কারণেও স্ট্রোক হয়, তবে এর হার তুলনামূলক কম।
গবেষণায় দেখা যায়, রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হওয়ার হার শতকরা ৭৮ ভাগ।
যে নারীরা প্রতিদিন ৪১.৩ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস খান তারা প্রতিদিন ১২.১০ গ্রাম মাংস গ্রহণ করা নারীদের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশী সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনের ঝুঁকির মুখে আছেন।
গবেষণায় সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন ছাড়া অন্য ধরনের স্ট্রোক ঝুঁকির সাথে লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
লাল মাংস ধূমপায়ীদের চেয়ে অধূমপায়ীদের জন্য বেশী ঝুঁকিপূর্ণ।
নারীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের চেয়ে যারা ডায়াবেটিস রোগী নয় তাদের জন্য লাল মাংস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
অধূমপায়ী ও ডায়াবেটিসহীনদের ক্ষেত্রে লাল মাংসে সেরিব্রাল ইনফ্রাকশন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী, শতকরা ৬৮ ভাগ।
লাল ও প্রক্রিয়াজাত উভয় মাংসই রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয় যা স্ট্রোকের প্রধান কারণ। লাল মাংসে থাকা আয়রন মুক্ত র্যাডিকেল বাড়িয়ে তোলে যা শরীরের টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়াম থাকে। এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।